• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

কামসূত্র । যৌনবিজ্ঞান

বাৎস্যায়নের কামসূত্র ও কামশাস্ত্র-যৌনবিজ্ঞান বিষয়ক অন্যান্য বাংলা বই

  • লাইব্রেরি
  • মূল অনুবাদ
  • সংক্ষিপ্ত
  • যৌনবিজ্ঞান

লাইব্রেরি

মূল অনুবাদ

সংক্ষিপ্ত

যৌনবিজ্ঞান

৪.১ পতিতাদের ইতিবৃত্ত

লাইব্রেরি » কামসূত্র । যৌনবিজ্ঞান » কামসূত্র (সংক্ষিপ্ত) » ৪.১ পতিতাদের ইতিবৃত্ত

অধ্যায় ৪ – রক্ষিতা

পতিতা অর্থাৎ বেশ্যারা। এরা হলো সেই সমপ্রদায়ভুক্ত নারী যারা পুরুষকে যৌন সুখ ভোগ করতে নিজেদের দেহ দিয়ে আপনাদের জীবিকা অর্জন করে।
অবশ্য তারা যে কোনও পুরুষকে দেহ দানের বিনিময়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করে, তা নয়। তারাও মানুষ- তাদেরও মন আছে, অভিরুচি আছে, ভাল-মন্দ বিবেচনা শক্তি।
তাই তাদের বিষয়ে অনেক কিছু সাধারণ মানুষের শিক্ষা করা উচিত। অনেক সময় যাদের সঙ্গে যৌন মিলন করতে পারে হাতে তাদের পয়সাও আছে, তবু তারা সেই লোককে ফেরৎ দেয়। কারণ সেই নারী তাকে পছন্দ করে না। যৌন মিলনে কিছুটা মনের মিলেরও প্রয়োজন হয়।
বেশ্যারা প্রয়োজনমত নিজেকে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও অলঙ্কারে ভূষিতা রাখে। যেন এক প্রকার পণ্য দ্রব্য। তাই তার বাড়ি এমন থাকবে যেন বাইরের লোক তাকে দেখতে পায় এবং সেও বাইরের লোককে দেখতে পায়। তার আরও জানা উচিত, সৌন্দর্য্য দিয়ে পুরুষকে জয় করতে পারলে তবে তার অর্থ মিলবে।
বেশ্যাদেরও আবার ঘটক বা দূত থাকে। তারা অন্য লোককে তার গুণ পণ্য বলে তাকে আকর্ষন করে নিয়ে আসে।

বেশ্যা যাদের খুশী রাখবে
নিম্নলিখিত লোকদের বেশ্যাদের সর্বদা খুশী রাখা উচিত। তা না হলে ব্যবসা চলে না। তা হলো-
(১) নগরের নগরপাল ও পুলিশের কর্তা।
(২) দেশের কোনও বিচারক বা বিখ্যাত আইনবিদ।
(৩) কোনও গণৎকার বা জ্যোতিষ।
(৪) কোনও ব্যায়ামবীর লোক।
(৫) কোনও সতীর্থ বা সমব্যবসায়ী।
(৬) কোনও শিল্পপতি।
(৭) কোনও পীঠমর্দ বা বিট বা বিদূষিকা, সুগন্ধি দ্রব্য বিক্রেতা বা মদ্য বিক্রেতা, কোন রজক বা নাপিত।
বাৎস্যায়ন বলেন উপরোক্ত লোকদের উপরে বেশ্যার কোন যৌন আকর্ষন থাকা উচিত নয়। তাদের কেবল অর্থ দ্বারা বশীভূত করে ব্যবসায়ে উন্নতি করবে।

বেশ্যারা যাদের পছন্দ করে
বেশ্যা কোন্‌ কোন্‌ ধরনের ব্যক্তিকে মনে প্রাণে কামনা করবে তাও বাৎস্যায়ন বলে গেছেন।
তারা হলো-
১। কোনও স্বাধীন ধনশালী লোক।
২। রাজ্যের কোন উচ্চপদস্থ কর্মচারী।
৩। যে ব্যক্তি অল্পদিনে প্রচুর সম্পত্তি বা টাকাকড়ি পেয়েছে।
৪। বেশ্যার সমব্যবসায়ী ব্যক্তির সঙ্গে যে সম্প্রতি কলহ করেছে।
৫। যে লোকের স্থায়ী নিশ্চিত উপার্জন আছে।
৬। যে কুৎসিৎ হলেও নিজেকে সুন্দর বলে মনে করে।
৬। যে আত্নপ্রশংসায় খুব বিরত।
৮। কোনও রতি অক্ষম লোক- সে নিজে মনে করে যে সে খুব রতি পারদর্শী।
৯। যে লোক আত্নপ্রশংসা ভালবাসে।
১০। যে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাস্ত করতে খুবই ইচ্ছুক।
১১। খুব দানশীল ব্যক্তি।
১২। যে লোক রাজা, ধনী বা সম্ভ্রান্ত লোকের সঙ্গে দিন যাপন করে।
১৩। যে নিজ ভাগ্যকে খুব বিশ্বাস করে।
১৪। অপরিমিত ব্যয়শীল লো্‌ক। টাকা খরচ করতে যার দরদ নাই।
১৫। যে লোক পিতামাতার অবাধ্য।
১৬। কোন ধনীর একমাত্র সন্তান।
১৭। নিঃসন্তান ধনী ব্যক্তি।
১৮। যে কামুক লোক তার কামক্রিয়া গোপন রাখতে পারে।
১৯। যে সন্ন্যাসী গোপনে কামক্রিয়া চরিতার্থ করে।
২০। কোনও সাহসী যোদ্ধা।
২১। কোন চিকিৎসক বা বৈদ্য।
২২। বহু দিনের পরিচিত লোক।

বেশ্যার পছন্দমত যুবকের গুণাবলী
বাৎস্যায়ন বলেছেন ভালবাসা, সুখ্যাতি ও ধন অর্জন করতে হলে বেশ্যার প্রয়োজন একজন বিলাসী যুবক। তার কি কি গুণ থাকবে, তা হলা হচ্ছেঃ-
১। সে উচ্চবংশীয় হবে।
২। তর্কশাস্ত্রে বেশ বুৎপন্ন হবে।
৩। রাজনীতিতে পারদর্শী হবে।
৪। কবি বা শিল্পী হবে।
৫। বেশ গল্প বলতে পারদর্শী হবে।
৬। সু-বক্তা ও বুদ্ধিমান লোক।
৭। বিভিন্ন কথায় যারা পাণ্ডিত্য দেখায়।
৮। মনে উচ্চাশা থাকবে।
৯। প্রাচীন লোকদের যারা শ্রদ্ধা করবে।
১০। প্রচুর গুণ থাকবে।
১১। সৎসাহসী হবে।
১২। একনিষ্ঠ প্রেমিক হবে।
১৩। বন্ধুদের প্রতি সৌহার্দ্যশীল হবে।
১৪। নানাবিধ বাকবিতণ্ডায় কুশলী হবে।
১৫। শরীর নীরোগ হবে।
১৬। কামশক্তি পরায়ণ হবে।
১৭। মদ্যপানদোষ থাকবে না।
১৮। সব নারীর প্রতি স্নেহ ভালবাসা দেখাবে।
১৯। স্বাধীনচেতা লোক হবে।
২০। মনে সন্দেহ থাকবে না।

বেশ্যার গুণাবলী
বেশ্যারও কতকগুলি বিশেষ গুণ থাকা একান্ত প্রয়োজন। তা হলো-
১। সে সুন্দরী হবে।
২। সে যুবতী হবে।
৩। দেহে সুলক্ষণ যুক্ত চিহ্ন থাকবে।
৪। মধুরভাষিণী হবে। সলজ্জ ভাব দেখাবে।
৫। অর্থের কথা চিন্তা না করে নিজের স্বামীর মত উপপতিকে ভালবাসে, এমন ভাব দেখাবে।
৬। দু-একটি মাত্র উপপতির সঙ্গে রতি মিলন করবে।
৭। স্থির চিন্তা করবে।
৮। উপপতির সঙ্গে প্রবঞ্চনা করবে না। ভাল ব্যবহার করা উচিত।
৯। কৃপণী হবে না। এতে উপপতি সরে পড়তে পারে।
১০। সাধারণ সমিতি বা যাত্রায় যোগদান করবে। এতে চাহিদা বাড়বে সন্দেহ নাই।
১১। নানা শিল্পের অনুরাগিণী হবে।
১২। সুকণ্ঠী গায়িকা হলে আরও ভাল হয়।

নারী পতিতা হয় কেন
১। অর্থাভাবে বা দারিদ্র্যতাবশতঃ অনেক সময়ে মেয়েরা পতিতা বৃত্তি গ্রহণ করে।
২। সংসারের অনাদর বা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পতিতা বৃত্তি গ্রহণ করে।
৩। স্বামীর অনাদর অত্যাচারও এ পথে যাবার মস্ত বড় একটি কারণ।
৪। অতি কামুকতা। যে স্বামীর দ্বারা পূর্ণ তৃপ্তি পায় না।
৫। একাধিক পুরুষে আকর্ষণ।
৬। অতিরিক্ত বিলাসের প্রতি আকর্ষণ।
৭। বৈধব্য।
৮। অন্যের প্ররোচনায় প্রভাবিত হওয়া।
৯। একজনকে ভালবেসে গৃহত্যাগ, পরে তার দ্বারা প্রত্যাখ্যান।
১০। সামপ্রদায়িক দাঙ্গা বা যুদ্ধের জন্য কুলত্যাগিনী।
১১। আজীবন কুমারী থাকা। পরে অন্য পথে গমন।
১২। গ্রামাদি থেকে সংগৃহিতা নারী।
১৩। গোপন প্রেম ও স্বামী কর্তৃক ধৃত ও স্ত্রী ত্যাগ।
১৪। স্ত্রীর সংসারে বিতৃষ্ণা-স্বামী হয়ত আজীবন চরিত্রহীন।
১৫। দারিদ্রতার জন্য কুমারী কন্যা বা স্ত্রীকে বিক্রয়।

পতিতাদের প্রকারভেদ
১। একমাত্র উপপিতিতে আকৃষ্ট।
২। নাচ গান জানা কলারসিক পতিতা- দেহমিলন বেশি চায় না। নির্দিষ্ট একজন নায়ককে রাখে।
৩। বাড়িউলি বা কোনও নারীর অধীনে বাস করা পতিতা।
৪। কোন রাজ অনুগৃহীত বিশেষ ধনী পতিতা, সে উপপত্নীর মত পৃথক প্রাসাদে বাস করে।

« পূর্ববর্তী:
« ৩.২ সহপত্নী
পরবর্তী: »
৪.২ পতিতার উপপতি »

Reader Interactions

Comments

  1. arif

    May 17, 2012 at 11:23 am

    সুন্দর তথ্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

    Reply
  2. mushfiq

    September 13, 2012 at 1:02 pm

    protom ara potita hoi kivabe?

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

লাইব্রেরি – লেখক – অনুবাদ – সেবা – কৌতুক – লিরিক – রেসিপি – ডিকশনারি

Return to top