অনীশ – ০৩

বুড়ি বলল, ‘স্যার, আসব?’

মিসির আলি বিছানায় কাত হয়ে বই পড়ছিলেন—বইটির নাম— ‘Mysteries ofafterlife’—লেখক F.Smyth.। মজার বই। মৃত্যুর পরের জগৎ সম্পর্কে এমন সব বর্ণনা আছে, যা পড়লে মনে হয় লেখকসাহেব ঐ জগৎ ঘুরে এসেছেন। বেশ কিছুদিন সেখানে ছিলেন। ভালোমতো সবকিছু দেখা। এ—জাতীয় বই যে লেখা হয়, ছাপা হয় এবং হাজার-হাজার কপি বিক্রি হয় এটাই এক বিস্ময়।

তিনি বই বন্ধ করে বুড়ির দিকে তাকালেন। মেয়েটির সঙ্গে বেশ কয়েকবার তাঁর দেখা হয়েছে। মেয়েটির ভাবভঙ্গিতে মনে হয় তাঁর সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে সে একধরনের আগ্রহ বোধ করছে। আগ্রহের কারণ স্পষ্ট নয়। তার কি কোনো সমস্যা আছে? থাকতে পারে।

মিসির আলি এই মুহূর্তে অন্যের সমস্যা নিয়ে ভাবতে চাচ্ছেন না। তাঁর নিজের সমস্যাই প্রবল। শরীর-সমস্যা। ডাক্তাররা অসুখের ধরন এখনো ধরতে পারছেন না। বলছেন যকৃতের একটা অংশ কাজ করছে না। যকৃৎ মানুষের শরীরের বিশাল এক যন্ত্র। সেই যন্ত্রের অংশবিশেষ কাজ না-করলেও অসুবিধা হবার কথা নয়। তাহলে অসুবিধা হচ্ছে কেন? মাথার যন্ত্রণাই-বা কেন হচ্ছে? টিউমারজাতীয় কিছু কি হয়ে গেল? টিউমার বড় হচ্ছে-মস্তিষ্কে চাপ দিচ্ছে। সেই চাপটা শুধু সন্ধ্যার পর থেকে দিচ্ছে কেন?

বুড়ি আবার বলল, ‘স্যার, আমি কি আসব?’

মেয়েটির পরনে প্রথম দিনের আসমানী রঙের শাড়ি। হয়তো এই শাড়িটিই তার ‘লাকি শাড়ি’। অপারেশন টেবিলে যাবার আগে সে বলবে-আমাকে এই লাকি শাড়িটা পরতে দিন। প্লীজ ডাক্তার, প্লীজ।

রাত আটটা প্রায় বাজে। এমন কিছু রাত নয়, তবু মিসির আলির ঘুম পাচ্ছে। কারো সঙ্গেই কথা বলতে ইচ্ছা করছে না। তিনি তার পরেও বললেন, ‘আসুন, আসুন।’

বুড়ি ঘরে ঢুকল না। দরজার ও-পাশ থেকেই বলল, ‘আপনার কি মাথা ধরা আছে?’

‘এখন নেই। রোজই সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়। আজ এখনো কেন যে শুরু হচ্ছে না বুঝতে পারছি না।’

বুড়ি হাসতে-হাসতে বলল, ‘মনে হচ্ছে মাথা না-ধরায় আপনার মন খারাপ হয়ে গেছে। স্যার, আমি কি বসব?’

‘বসুন, বসুন। আমাকে স্যার বলছেন কেন তা তো বুঝতে পারছি না!

‘আপনি শিক্ষক-মানুষ, এই জন্যেই স্যার বলছি। ভালো শিক্ষক দেখলেই ছাত্রী হতে ইচ্ছা করে।’

‘আমি ভালো শিক্ষক, আপনাকে কে বলল?’

‘কেউ বলে নি। আমার মনে হচ্ছে। আপনি কথা বলার সময় খুব জোর দিয়ে বলেন। এমনভাবে বলেন যে, যখন শুনি মনে হয় আপনি যা বলছেন তা মনে—প্রাণে বিশ্বাস করেন বলেই বলছেন। ভালো শিক্ষকের এটা হচ্ছে প্রথম শর্ত।’

‘দ্বিতীয় শর্ত কী?’

‘দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে জ্ঞান। ভালো শিক্ষককে প্রচুর জানতে হবে এবং ভালোমতো জানতে হবে।’

‘আপনি নিজেও কিন্তু শিক্ষকের মতো কথা বলছেন।’

বুড়ি বলল, ‘আমার জীবনের ইচ্ছা কী ছিল জানেন? কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষিকা হওয়া। ফ্রক-পরা ছোট-ছোট ছেলেমেয়ে ঘুরে বেড়াবে, আমি তাদের পড়াব, গান শেখাব। ব্যথা পেয়ে কাঁদলে আদর করব। অথচ আমি কী হয়েছি দেখুন—একজন অভিনেত্রী। আমার সমস্ত কর্মকাণ্ড বয়স্ক মানুষ নিয়ে। আমার জীবনে শিশুর কোনো স্থান নেই। স্যার, আমি কী বকবক করে আপনাকে বিরক্ত করছি?’

‘না, করছেন না।’

‘আপনি আমাকে তুমি করে ডাকলে আমি খুব খুশি হব। আপনি আমাকে তুমি করে ডাকবেন, এবং নাম ধরে ডাকবেন। প্লীজ।’

‘বুড়ি ডাকতে বলছ?’

‘হ্যাঁ, বুড়ি ডাকবেন। আমার ডাক নামটা বেশ অদ্ভুত না? যখন সত্যি-সত্যি বুড়ি হব, তখন বুড়ি বলে ডাকার কেউ থাকবে না।

মিসির আলি বললেন, ‘তুমি কি সবসময় এমন গুছিয়ে কথা বল?’

‘আপনার কী ধারণা?’

‘আমার ধারণা তুমি কম কথা বল। যারা কথা বেশি বলে, তারা গুছিয়ে কিছু বলতে পারে না। যারা কম কথা বলে, তারা যখন বিশেষ কোনো কথা বলতে চায়, তখন খুব গুছিয়ে বলতে পারে। আমার ধারণা তুমি আমাকে বিশেষ কিছু বলতে চাচ্ছ।’

‘আপনার ধারণা সত্যি নয়। আমি আপনাকে বিশেষ কিছু বলতে চাচ্ছি না। আগামীকাল আমার অপারেশন। ভয়ভয় লাগছে। ভয় কাটানোর জন্যে আপনার সঙ্গে গল্প করতে এসেছি।’

‘ভয় কেটেছে?’

‘কাটে নি। তবে ভুলে আছি। আপনার এখান থেকে যাবার পর—গরম পানিতে গোসল করব। আয়াকে গরম পানি আনতে বলেছি। গোসলের পর কড়া ঘুমের অষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ব।’

মিসির আলি হাই তুললেন। মেয়েটির কথা এখন আর শুনতে ভালো লাগছে না। তাকে বলাও যাচ্ছে না—তুমি এখন যাও। আমার মাথা ধরেছে। মাথা সত্যি—সত্যি ধরলে—বলা যেত। মাথা ধরে নি।

‘আপনি কি ভূত বিশ্বাস করেন স্যার?’

মিসির আলি হেসে ফেলে বললেন, ‘গল্পটা বল।’

‘কোন গল্পটা বলব?’

‘কেউ যখন জানতে চায়, আপনি কি ভূত বিশ্বাস করেন, তখন তার মাথায় একটা ভূতের গল্প থাকে। ঐটা সে শোনাতে চায়। তুমিও চাচ্ছ।’

‘আপনি ভুল করেছেন। আমি আপনাকে কোনো গল্প শোনাতে চাচ্ছি না। কোনো ভৌতিক গল্প আমার জানা নেই।’

‘ও, আচ্ছা।’

‘আর একটা কথা, আপনি দয়া করে ‘ও আচ্ছা’ বাক্যটা বলবেন না, এবং নিজেকে বেশি বুদ্ধিমান মনে করবেন না।’

‘বুড়ি, তুমি রেগে যাচ্ছ।’

‘আমাকে তুমি-তুমি করেও বলবেন না।’

বুড়ি উঠে দাঁড়াল এবং প্রায় ঝড়ের বেগে ঘর ছেড়ে চলে গেল। মিসির আলি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললেন। তাঁর মনে হল, প্রকৃতি শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যেই বিপরীত গুণাবলীর দর্শনীয় সমাবেশ ঘটিয়েছে। মেয়েকে যেহেতু সবসময়ই সন্তান ধারণ করতে হয়, সেহেতু প্রকৃতি তাকে করল—শান্ত, ধীর, স্থির। একই সঙ্গে ঠিক একই মাত্রায় তাকে করল—অশান্ত, অধীর, অস্থির। প্রকৃতির এইসব হিসাব-নিকাশ খুব মজার। দেখে মনে হয় পরিহাসপ্রিয় প্রকৃতি সবসময়ই মজার খেলা খেলছে।

মিসির আলি বই খুললেন, মৃত্যুর পরের জগৎ সম্পর্কে স্মিথ সাহেবের বক্তব্য পড়া যাক।

“স্থূল দেহের ভেতরই লুকিয়ে আছে মানুষের সূক্ষ্ম দেহ। সেই দেহকে বলে বাইওপ্লাজমিক বডি। স্থূলদৃষ্টিতে সেই দেহ দেখা যায় না। স্থূল দেহের বিনাশ হলেই সূক্ষ্ম দেহ বা বাইওপ্লাজমিক বডি স্থূল দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায়। সূক্ষ্ম দেহ শক্তির মতো। শক্তির যেমন বিনাশ নেই-সূক্ষ্ম দেহেরও তেমনি বিনাশ নেই। সূক্ষ্ম দেহের তরঙ্গধর্ম আছে। তরঙ্গদৈর্ঘ্য, স্থূল দেহের কামনা-বাসনার সঙ্গে সম্পর্কিত। যার কামনা—বাসনা বেশি, তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য তত বেশি।”

মিসির আলি বই বন্ধ করে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললেন। স্মিথ নামের এই লোক কিছু বৈজ্ঞানিক শব্দ ব্যবহার করে তাঁর গ্রন্থটি ভারিক্কি করার চেষ্টা করেছেন। নিজের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছেন পাঠকদের কাছে। গ্রন্থের শুভ ভূমিকার কথাই সবাই বলে—গ্রন্থের যে কী প্রচণ্ড ‘ঋণাত্মক’ ভূমিকা আছে, সে-সম্পর্কে কেউ কিছু বলে না। একজন ক্ষতিকর মানুষ সমাজের যতটা ক্ষতি করতে পারে, তারচেয়ে এক শ’ গুণ বেশি ক্ষতি করতে পারে সেই মানুষটির লেখা একটি বই। বইয়ের কথা বিশ্বাস করার আমাদের যে-প্রবণতা, তার শিকড় অনেক দূর চলে গেছে। একটা বই মাটিতে পড়ে থাকলে তা মাটি থেকে তুলে মাথায় ঠেকাতে হয়। এই ট্রেনিং দিয়ে দেওয়া হয়েছে সুদূর শৈশবে।

‘স্যার, আসব?’

মেয়েটি আবার দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। তাকে লজ্জিত এবং অনুতপ্ত মনে হচ্ছে। ঝড়ের বেগে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার অপরাধে সে নিজেকে অপরাধী করে কষ্ট পাচ্ছে।

‘স্যার, আসব?’

মিসির আলি হাসতে-হাসতে বললেন, ‘না।’

মেয়েটি ঘরে ঢুকে চেয়ারে বসতে-বসতে বলল, ‘একটু আগে নিতান্ত বালিকার মতো যে-ব্যবহার আপনার সঙ্গে আমি করেছি, এ-রকম ব্যবহার আমি কখনোই কারো সঙ্গেই করি না। আপনার সঙ্গে কেন করলাম তা-ও জানি না। আপনার কাছেই আমি জানতে চাচ্ছি-কেন এমন ব্যবহার করলাম?’

মিসির আলি বললেন, ‘এটা বলার জন্যে তুমি আস নি। অন্য কিছু বলতে এসেছ-সেটাই বরং বল।’

বুড়ি নিচু গলায় বলল, ‘আমি খুব বড় ধরনের একটা সমস্যায় ভুগছি। কষ্ট পাচ্ছি। ভয়ংকর কষ্ট পাচ্ছি। আমার সমস্যাটা কেউ-একজন বুঝতে পারলে আমি কিছুটা হলেও শান্তি পেতাম। মনে হয় আপনি বুঝবেন।

‘বোঝার চেষ্টা করব। বল তোমার সমস্যা।’

‘বড় একটা খাতায় সব লেখা আছে। খাতাটা আপনাকে দিয়ে যাব। আপনি ধীরেসুস্থে আপনার অবসর সময়ে পড়বেন। তবে একটি শর্ত আছে।’

‘কি শর্ত?’

‘কাল আমার অপারেশন হবে। আমি মারাও যেতে পারি। যদি মারা যাই, তাহলে আপনি এই খাতায় কি লেখা তা পড়বেন না। খাতাটা নষ্ট করে ফেলবেন। আর যদি বেঁচে থাকি তবেই পড়বেন।’

মিসির আলি বললেন, ‘তোমার এই শর্ত পালনের জন্যে সবচেয়ে ভালো হয় যদি খাতাটা তোমার কাছে রেখে দাও। তুমি মরে গেলে আমি খাতাটা পাব না। বেঁচে থাকলে তুমি নিজেই আমাকে দিতে পারবে।

‘খাতাটা আমি আমার কাছে রাখতে চাচ্ছি না। আমি চাই না অন্য কেউ এই লেখা পড়ুক। আমি মারা গেলে সেই সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আপনার কাছে খাতাটা থাকলে এই দুশ্চিন্তা থেকে আমি মুক্ত থাকব।’

‘দাও তোমার খাতা।’

‘কাল ভোরবেলা অপারেশন থিয়েটারে যাবার আগে-আগে আপনার কাছে পাঠাব।’

‘ভালো কথা, পাঠিও।’

‘এখন আপনি কোনো-একটা হাসির গল্প বলে আমার মন ভালো করে দিন।’

‘আমি কোনো হাসির গল্প জানি না।’

‘বেশ, তাহলে একটা দুঃখের কথা বলে মন খারাপ করিয়ে দিন। অসম্ভব খারাপ করে দিন। যেন আমি হাউমাউ করে কাঁদি।’

রাতের বেলার রাউন্ডের ডাক্তার এসে মিসির আলির ঘরে বুড়িকে দেখে খুব বিরক্ত হলেন। কড়া গলায় বললেন, ‘কাল আপনার অপারেশন। আপনি ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছেন, এর মানে কী?’

বুড়ি শান্ত গলায় বলল, ‘এমনও তো হতে পারে ডাক্তার সাহেব যে আজ রাতই আমার জীবনের শেষ রাত। মৃত্যুর পর কোনো-একটা জগৎ থাকলে ভালো কথা, কিন্তু জগৎ তো না-ও থাকতে পারে। তখন?’

ডাক্তার সাহেব বললেন, ‘প্লীজ, আপনি নিজের ঘরে যান। বিশ্রাম করুন।’

বুড়ি উঠে চলে গেল। ডাক্তার সাহেব বললেন, ‘এই ভদ্রমহিলার সঙ্গে কি আপনার পরিচয় আছে?’

‘সম্প্রতি হয়েছে।’

‘উনি তো ডেনজারাস মহিলা।’

‘ডেনজারাস কোন অর্থে বলছেন?’

‘সব অর্থেই বলছি। যে-কোনো সিনেমা-পত্রিকা খুঁজে বের করুন—ওঁর সম্পর্কে কোনো-না-কোনো স্ক্যান্ডালের খবর পাবেন। একবার সুইসাইড করার চেষ্টা করেছেন—একগাদা ঘুমের অষুধ খেয়েছিলেন। এই হাসপাতালেই চিকিৎসা হয়। একবার গায়ে আগুন লাগাবার চেষ্টাও করেছেন। তাঁর বাঁ পায়ের স্কিন অনেকখানিই নষ্ট। বাইরে থেকে স্কিন গ্রাফটিং করিয়েছেন।’

‘মনে হচ্ছে খুব ইন্টারেস্টিং চরিত্র।’

‘অনেকের কাছে ইন্টারেস্টিং মনে হতে পারে। আমার কাছে কখনো মনে হয় না। এই মহিলার লক্ষ লক্ষ টাকা। ইচ্ছা করলেই তিনি ইংল্যান্ড আমেরিকায় গিয়ে অপারেশনটা করাতে পারেন। দেশেও নামী-দামী ক্লিনিক আছে, সেখানে যেতে পারেন। তা যাবেন না। এসে উঠবেন সরকারি হাসপাতালে। কেন বলুন তো?’

‘কেন?’

‘পাবলিসিটি, আর কিছুই না। অপারেশন হয়ে যাবার পর পত্রিকায় খবর হবে—অমুক হাসপাতালে অপারেশন হয়েছে। স্রোতের মতো ভক্ত আসবে। হসপিটাল অ্যাডমিনিসট্রেশন কলাপস্ করবে। আমাদের পুলিশে খবর দিতে হবে। পুলিশ লাঠি চার্জ করবে। আবারও খবরের কাগজের প্রথম পাতায় নিউজ হবে। হাসপাতাল থেকে রিলিজ্ড হয়ে যাবার পর তিনি খবরের কাগজে ইন্টারভ্যু দেবেন। সাংবাদিক জিজ্ঞেস করবে, আপনি বিদেশে চিকিৎসা না-করিয়ে এখানে কেন করালেন? তিনি হাসিমুখে জবাব দেবেন—’আমি দেশকে বড় ভালবাসি।’ খবরের কাগজে তার হাস্যমুখী ছবি ছাপা হবে। নিচে লেখা—রূপা চৌধুরী দেশকে ভালবাসেন।

‘তাঁর নাম রূপা চৌধুরী?’

‘কেন, আপনি জানতেন না?’

‘না।’

‘রূপা চৌধুরীর নাম জানেন না শুনলে লোকে হাসবে। ওর কথা বাদ দিন; আপনি কেমন আছেন বলুন। মাথাধরা শুরু হয়েছে?’

‘এখনো হয় নি, তবে হবে হবে করছে।’

‘আগামী বুধবার পিজিতে আপনার ব্রেনের একটা ক্যাট স্ক্যান করা হবে।’

‘টিউমার সন্দেহ করছেন?’

‘হ্যাঁ।’

‘সর্বনাশ!’

‘আগে ধরা পড়ুক, তারপর বলবেন সর্বনাশ। তবে সর্বনাশ বলার কিছু নেই—মস্তিষ্কের টিউমার প্রায় কখনোই ম্যালিগনেন্ট হয় না। তা ছাড়া মস্তিষ্কের অপারেশন প্রায়ই হয়। অপারেশন তেমন জটিলও নয়। নিউরো সার্জনরা আমার কথা শুনলে রেগে যাবেন, তবে কথা সত্যি।’

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *