০৬. একটি তরুণী মেয়ে

একটি তরুণী মেয়ে বাড়ির ছাদ থেকে পা ফসকে পড়ে গিয়ে মরে গেছে। ঘটনা খুব বিশ্বাসযোগ্য নয়। বয়স্কা মহিলা পা ফসকে পড়ে গেছেন—বিশ্বাসযোগ্য, অল্প বয়েসী মেয়ে পড়ে গেছে এটিও বিশ্বাসযোগ্য। তরুণী মেয়ের অপঘাতে মৃত্যু মানেই নানান প্রশ্ন। বিশেষ করে সেই মেয়ে যদি কাজের মেয়ে হয়।

আমার বাবাকে নিশ্চয়ই এইসব ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিছুদিন তাঁকে খুব চিন্তিত দেখেছি। তারপর একসময় তিনি চিন্তামুক্ত হয়েছেন। বিত্তবানরা খুব সহজেই চিন্তামুক্ত হতে পারেন। তাদের সামান্য অর্থ ব্যয় হয়—এই যা।

শরিফার বাবাকে কিছু টাকা দেয়া হল—কত আমি জানি না। নিশ্চয়ই সে যত আশা করেছিল তারচে বেশি। কারণ সেই বেচারা টাকা হাতে নিয়ে আমাদের সবার মঙ্গল কামনা করে দীর্ঘ মোনাজাত শুরু করল। মোনাজাতের বিষয়বস্তু হচ্ছে—

আমাদের মতো ভালোমানুষ সে তার জীবনে দেখে নি। আমাদের কাছে তার মেয়ে খুব সুখে ছিল। কপালে সুখ সইল না।

শরিফার স্বামীও বেশ কিছুদিন ঘোরাঘুরি করল। বেচারার দাবি সামান্য। যে সাইকেলটা তার জন্যে কেনা হয়েছিল সেই সাইকেল যেন তাকে দিয়ে দেয়া হয়। সম্ভব হলে পাঁচ হাজার এক টাকা। এই টাকাটা তো আইনত তারই প্রাপ্য—ইত্যাদি।

আন্টি তাকে ভাগিয়ে দিলেন এবং বলে দিলেন—কখনো যেন তাকে গেটের ভেতর ঢুকতে না দেয়া হয়।

সব ঝামেলা মিটে যাবার পর বাবা এক সন্ধ্যায় আমাকে ডাকলেন। বাবার পরিচয় আপনাকে দেয়া হয় নি—এখন দিচ্ছি। তিনি মোটামুটি কঠিন ধরনের মানুষ। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি। শান্ত—ধীর, স্থির। তিনি খুব রেগে গেলেও সহজ ভঙ্গিতে কথা বলতে পারেন। পেশায় তিনি পাইলট। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আছেন। আমার সব সময় মনে হয়েছে পাইলট না হয়ে বাবা যদি ইউনিভার্সিটির অংকের টিচার হতেন তাঁকে খুব মানাত। বই পড়া তাঁর প্রধান শখ। বেশিরভাগ সময় আমি তাঁর হাতে বই দেখেছি। হালকা ধরনের বই না—বেশ সিরিয়াস ধরনের বই।

বাবা তাঁর স্টাডিতে একা বসেছিলেন। তাঁর সামনে একটা বাটিতে খেজুর গুড় টুকরো করা। শীতকালে খেজুর গুড় তাঁর প্রিয় একটা খাবার। প্রায়ই দেখেছি গল্পের বই পড়তে পড়তে তিনি খেজুর গুড়ের টুকরো মুখে দিচ্ছেন। আমি ঘরে ঢুকতেই বাবা বললেন—মা বস।

আমি তাঁর সামনে বসলাম।

‘কেমন আছ মা?’

আমি বললাম, ভালো।

‘শরিফা মেয়েটি এইভাবে মারা গেল নিশ্চয়ই তোমার মন খুব খারাপ?’

আমি বললাম, হ্যাঁ মন খারাপ

বাবা ইতস্তত করে বললেন, তোমাকে কিন্তু কান্নাকাটি করতে দেখি নি। আমার কাছে তোমাকে বেশ স্বাভাবিকই মনে হয়েছে।

আমি বুঝতে পারলাম না বাবা ঠিক কী বলতে চাচ্ছেন। তাঁর কথা বলার মধ্যে জেরা করার ভাবটা প্রবল। যেন আমি কিছু গোপন করার চেষ্টা করছি বাবা তা বের করে ফেলতে চাচ্ছেন।

‘শরিফা যে সন্ধ্যায় মারা গেল—সেই সন্ধ্যায় তুমি কি ছাদে গিয়েছিলে?’

‘না।’

‘সেদিন ছাদে যাও নি?’

‘না।’

‘আমি যতদূর জানি—ছাদ তোমার খুব প্রিয় জায়গা। বেছে বেছে ওই দিনই ছাদে যাও নি কেন?’

‘ওই দিন যেতে ইচ্ছে করে নি।

‘তুমি ঘরের দরজা বন্ধ করে চিৎকার করে কাঁদছিলে। দরজা ভেঙে তোমাকে বের করা হয়। তুমি প্রথম যে কথাটি তখন বল তা হচ্ছে শরিফা মারা গেছে। তাই না?’

‘হ্যাঁ।’

‘সে যে মারা গেছে তোমার তা জানার কথা না। কারণ কেউই জানে না। তুমি জানলে কীভাবে?’

আমি চুপ করে রইলাম। বাবা বাটিটা আমার দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বললেন নাও গুড় খাও। আমি এক টুকরো গুড় নিয়ে মুখে দিলাম। বাবা শান্ত গলায় বললেন, তুমি রাগ করে, কিংবা নিজের অজান্তে ওকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দাও নি তো?

‘না।’

‘অনেক সময় খেলতে গিয়েও এরকম হয়। হয়তো হাসতে হাসতে ধাক্কা দিয়েছ— সে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেছে। তোমার কোনো দোষ ছিল না।’

‘না।’

‘আচ্ছা ঠিক আছে। তোমার পড়াশোনা কেমন হচ্ছে?’

‘ভালো।’

‘গান কেমন হচ্ছে?’

‘ভালো।’

‘এবারের গানের টিচার কেমন?’

‘ভালো।’

‘গান কি তুলেছ না এখনো সারে গামা করে যাচ্ছ?’

‘একটা গান তুলেছি।’

‘কী গান?’

‘নজরুল গীতি।’

‘গানের লাইনগুলি কী?’

‘পথ চলিতে যদি চকিতে—গাইব?’

‘না থাক। আরেকদিন শুনব।’

‘আমি কি এখন চলে যাব?’

‘আচ্ছা যাও।’

আমি উঠে চলে এলাম। বাবা ভুরু কুঁচকে বইয়ের পাতা উল্টাতে লাগলেন। তিনি আমাকে বিশ্বাস করেন নি এটা বোঝা যাচ্ছে। তিনি যে আমাকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাও বুঝতে পারছি। খুব অল্প বয়সেই আমি আসলে বেশি বেশি বুঝতে শিখেছিলাম। বেশি বুঝতে পারাটা এক ধরনের দুর্ভাগ্য। যারা কম বুঝতে পারে—এই পৃথিবীতে তারাই সবচে সুখী। বোকা মানুষরা কখনো আত্মহত্যা করে না।

বাবা আমার কথা বিশ্বাস না করলেও আন্টি করলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে নিজ থেকে তাঁকে আমার কিছু বলতে হল না। তিনি আপনাতেই সব বুঝতে পারলেন। ঘটনাটা এরকম—রাতে তিনি আমার সঙ্গে ঘুমাতে এসেছেন (শরিফার মৃত্যুর পর তিনি প্রতি রাতেই আমার সঙ্গে ঘুমাতেন।) বাতি নিভিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে মৃদু গলায় গল্প শুরু করলেন—তাদের গ্রামের বাড়ির গল্প। বাড়ির পেছনে একটা পেয়ারা গাছ ছিল। তিনি পাকা পেয়ারার খোঁজে গাছে উঠেছেন। হঠাৎ দেখলেন গাছের ডাল পেঁচিয়ে একটা সাপ। সাপটার গায়ের রঙ অবিকল পেয়ারা গাছের ডালের মতো। সাপটা তাঁকে দেখে পালিয়ে গেল না—উল্টো তাঁর দিকে আসতে শুরু করল।

এই পর্যায়ে আন্টি গল্প থামিয়ে দিলেন। আমি বললাম, কী হয়েছে?

আন্টি বললেন, ফোঁপাচ্ছে কে? আমি ফোঁপানির শব্দ শুনছি। তুমি কি শুনছ?

শব্দ আমিও শুনছিলাম। ফোঁপাচ্ছে শরিফা। খাটের নিচে বসে মাঝে মধ্যেই সে ফোঁপানির মতো শব্দ করে। আমি আন্টির প্রশ্নের জবাব দিলাম না। চুপ করে রইলাম। আন্টি বললেন, মনে হচ্ছে খাটের নিচে কেউ বসে আছে। ফোঁপাচ্ছে। তুমি শুনতে পাচ্ছ না?

‘না।’

‘আমি পরিষ্কার শুনছি—পচা গন্ধও পাচ্ছি। তুমি গন্ধ পাচ্ছ না?’

‘না।’

আন্টি উঠে বসলেন। টেবিলল্যাম্প জ্বালালেন। বিছানা থেকে নেমে তাকালেন খাটের নিচে। আমি তাকিয়ে রইলাম আন্টির মুখের দিকে। আমি দেখলাম ভয়ে এবং আতঙ্কে হঠাৎ আন্টির মুখ ছোট হয়ে গেল। তিনি বিড়বিড় করে কী যেন বললেন। কী বললেন, আমি বুঝতে পারলাম না। আন্টি ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলছিলেন। তার ফর্সা গাল হয়েছে টকটকে লাল। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। আন্টিকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যাবেন। আন্টি চাপা গলায় বললেন – কে কে?

‘আম্মা আমি শরিফা।

‘শরিফা!’

‘জে আম্মা। আমি এইখানে থাকি।’

‘শরিফা!’

‘জে আম্মা। আমি হাঁটাচলা করতে পারি না—এইখানে থাকি। আমারে বিদায় দিয়েন না আম্মা। আমার যাওনের জায়গা নাই…।’

আন্টি উঠে দাঁড়ালেন। টলতে টলতে খাটের কাছে এসে খাটে উঠলেন। আমাকে জড়িয়ে ধরে তৎক্ষণাৎ শুয়ে পড়লেন। আমি বললাম, কী হয়েছে?

আন্টি জড়ানো গলায় বললেন, কিছু না। তুমি ঘুমাও।

আমি বললাম, খাটের নিচে কিছু দেখেছেন আন্টি?

তিনি বললেন, না। তুমি ঘুমাও। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লাম। আন্টি সম্ভবত সারা রাতই জেগে রইলেন। পরদিন ভোরে জেগে উঠে দেখি আন্টি হাঁটু মুড়ে বসে আছেন। ঘরে তখনো টেবিলল্যাম্প জ্বলছে। আন্টির চোখ জ্বলজ্বল করছে। এক রাতেই তাঁর চোখের নিচে গাঢ় হয়ে কালি পড়েছে। আন্টি ক্লান্ত গলায় বললেন, ফারজানা তুমি কি রান্নাঘরে গিয়ে বলে আসবে আমাকে এক কাপ চা দিতে?

আমি বললাম, আন্টি আপনার কি শরীর খারাপ করেছে? তিনি বললেন, না। শরীর ভালো আছে।

আন্টি বিছানায় বসে চা খেলেন। তাঁকে খুব চিন্তিত মনে হল। আমাকে অবিশ্যি তিনি কিছুই বললেন না। আমি সহজ স্বাভাবিকভাবেই হাত-মুখ ধুয়ে নাস্তা করলাম। স্কুলে চলে গেলাম। আন্টি সারা দিন আমার ঘরেই থাকলেন। ঘর থেকে বেরুলেন না।

বাবা সে সময় দেশে ছিলেন না। বছরে একবার পাইলটদের নতুন করে কী সব শেখায়। রিভিয়্যু হয়। বাবা সেই ট্রেনিঙে তখন আমস্টারডামে। বাড়িতে আমি আর আন্টি। আন্টি আমার ঘরেই থাকেন। তিনি রাতে একেবারেই ঘুমান না। আমার কিন্তু ঘুম পায়। আগের অনিদ্রা রোগ তখন সেরে গেছে। বিছানায় যাবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ি। মাঝে মাঝে বাথরুম পেলে কিংবা পানির পিপাসা পেলে ঘুম ভাঙে। আমি দেখি আন্টি মেঝেতে বসে আছেন। তার বসার ভঙ্গি শরিফার বসার ভঙ্গির মতোই। তিনি মৃদু স্বরে শরিফার সঙ্গে কথা বলেন।

‘শরিফা!’

‘জে আম্মা?’

‘কী করছ?’

‘কিছু করনের নাই আম্মা। বইসা আছি।

‘এখান থেকে চলে যাও।’

‘কই যামু? যাওনের জায়গা নাই। পথঘাটও চিনি না।’

‘চাও কী তুমি?’

‘কিছু চাই না। কী চামু?’

‘দিনের বেলা তোমাকে দেখি না কেন? দিনে তুমি কোথায় যাও?’

‘জানি না আম্মা। কী হইতেছে আমি কিছুই বুঝি না। দিশা পাই না।’

‘তোমার ক্ষুধা হয়?’

‘জে হয়। জবর ভুখ লাগে—কিন্তু আম্মা খাওন নাই। আমারে কে খাওন দিব?’

‘এখন ক্ষুধা হয়েছে?’

‘জে হয়েছে।’

‘বিস্কুট আছে খাবে? বিস্কুট দেব?’

‘জে না। আফনাগো খাওন আমি খাইতে পারি না।’

‘তুমি কি খুব কষ্টে আছ?’

‘বুঝি না আম্মা। কিচ্ছু বুঝি না। দিশা পাই না।

‘তুমি যে মারা গেছ তা কি জান?’

‘জে জানি।’

‘কেউ কি তোমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলেছে?’

‘জে।’

‘কে ফেলেছে?’

‘ছোট আফা ফেলছে। ছোট মানুষ বুঝে নাই। তার ওপরে রাগ হইয়েন না আম্মা।’

‘ফারজানা তোমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলেছে?’

‘জে।’

‘তুমি কি তাকে দেখেছ ধাক্কা দিয়ে ফেলতে?’

‘জে না। পিছন থাইক্যা ধাক্কা দিছে। অন্য কেউও হইতে পারে।

.

অতিদ্রুত আন্টির শরীর খুব খারাপ করল। তিনি একেবারেই ঘুমাতে পারেন না। গাদা গাদা ঘুমের ওষুধ খান—তারপরেও জেগে থাকেন। সারাক্ষণ নিজের মনে বিড়বিড় করে কথা বলেন। অর্থহীন এলোমেলো সব কথা। হঠাৎ হাসতে শুরু করেন সেই হাসি কিছুতেই থামে না। আবার যখন কাঁদতে থাকেন—সেই কান্নাও চলতে থাকে।

বাবা যখন দেশে ফিরলেন তখন আন্টি পুরোপুরি উন্মাদ। কাউকেই চিনতে পারেন না। আমাকেও না। আন্টির চেহারাও খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মুখ শুকিয়ে মিসরের মমিদের মতো হয়ে গেছে। দাঁত বের হয়ে এসেছে। সারা শরীরে বিকট গন্ধ। বাবা হতভম্ব হয়ে গেলেন। আন্টির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল। চিকিৎসায় কোনো লাভ হল না। ক্রমে ক্রমে তাঁর পাগলামি বাড়তে থাকল। বাবাকে দেখলেই তিনি ক্ষেপে উঠতেন। একদিন সকালে পাউরুটি কাটার ছুরি নিয়ে তিনি বাবার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারত। ভাগ্যক্রমে ঘটে নি—শুধু বাবার পিঠ কেটে রক্তারক্তি হয়ে গেল।

আন্টিকে ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হল। আন্টির বাবা এসে তাঁকে নিয়ে গেলেন। সেখানে থেকে তিনি কিছুটা সুস্থ হলেন। তখন তাঁকে আবার আমাদের এখানে আনা হল। তিনি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হল।

মাঝে মধ্যে আমি ওনাকে দেখতে যেতাম। তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতেন না। কঠিন চোখে তাকিয়ে থাকতেন। আন্টিদের বাড়ির কেউ চাইত না যে আমি যাই। আমি যাওয়া ছেড়ে দিলাম।

শরিফার প্রসঙ্গে আসি। শরিফার হাত থেকে আমি খুব সহজে মুক্তি পেয়ে যাই। শরিফাকে আমি এক রাতে বলি—শরিফা তোমার কি উচিত না তোমার স্বামীর সঙ্গে গিয়ে থাকা?

শরিফা বলল, ‘জে উচিত।’

‘তুমি তার কাছে চলে যাও।’

‘‘হে কই থাকে জানি না আফা।’

‘আমি তাকে এনে দেব?’

‘জে আফা।’

আমি শরিফার স্বামীকে খবর পাঠালাম সে যেন এসে তার সাইকেল নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর যেন আসে।

সে খুশি মনে সাইকেল নিতে এল। সাইকেলের সঙ্গে সে অন্য কিছুও নিয়ে গেল। মিসির আলি সাহেব—আপনার জন্যে বিস্ময়কর খবর হল—মাসখানেক পরে আমি খবর নিয়ে জানতে পারি শরিফার স্বামীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তার আত্মীয়স্বজনরা তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে গিয়েছিল। ভর্তি করাতে না পেরে শহরেই তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *