ইতিহাসের আলোকে বৈদিক সাহিত্য – সুকুমারী ভট্টাচার্য
বৈদিক সাহিত্যের পরিধির মধ্যে সংহিতা থেকে সূত্ৰ-সাহিত্য পর্যন্ত বিধৃত, অর্থাৎ খ্রীস্টপূর্ব দ্বাদশ শতক থেকে খ্রীস্টীয় পঞ্চম-ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত প্ৰায় দেড় হাজার বছরে বেদকেন্দ্ৰিক যে-সাহিত্য রচিত হয়েছিল তার ইতিহাস। এ-সাহিত্যের প্রথম পর্যায়ে, বহুদেবতার উদেশে রচিত স্তব, প্রার্থনা যেমন আছে, তেমনি আছে সমাজজীবনের নানা গৌণ চিত্র ও কিছু অধ্যাত্মবিষয়ক রচনাও।
পরবর্তী ব্ৰাহ্মণসাহিত্যে যজ্ঞের প্রণালী, উপযোগিতা, পুরোহিতের ভূমিকা ও দক্ষিণা সম্বন্ধে নির্দেশ এবং তৎসংশ্লিষ্ট কিছু আখ্যায়িকাও আছে। তার পরে কর্মকাণ্ড অর্থাৎ যজ্ঞকৰ্ম ও যজ্ঞতত্ত্ব অনেকটা গৌণ, রূপকায়িত আকারে দেখা দেয় আরণ্যকসাহিত্যে, যার পূর্ণ পরিণতি উপনিষদে। এদুটিকে জ্ঞানকাণ্ড বলে।
এই গ্রন্থে বেদকে তার আর্থসামাজিক পরিবেশের মধ্যে রেখে বিচার করার চেষ্টা রয়েছে। বেদ লিখিত রচনা নয়, কথ্য ও শ্রৌত রচনা, ফলে লিখিত রচনা থেকে তার প্রকৃতি ও উপাদান কতকটা ভিন্ন। পরিশেষে, বৈদিক সাহিত্য যে শুধু ধর্মগ্ৰন্থই নয়, সাহিত্যও বটে, এই কথাটি স্মরণে রেখে যথাসম্ভব এর সাহিত্যিক মূল্যায়নেরও প্ৰয়াস আছে এ গ্রন্থে।
লেখিকা একাদিক্ৰমে আঠাশ বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপিকা ছিলেন। বহু জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থের রচয়িতা। বর্তমানে এশিয়াটিক সোসাইটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলোরূপে গবেষণা গ্ৰন্থ রচনায় নিযুক্ত।
- ১. ঋগ্বেদ সংহিতা – প্রথম অধ্যায় (33)
- ২. সামবেদ সংহিতা – দ্বিতীয় অধ্যায় (6)
- ৩. যজুর্বেদ সংহিতা – তৃতীয় অধ্যায় (7)
- ৪. অথর্ববেদ সংহিতা – চতুর্থ অধ্যায় (16)
- ৫. ব্রাহ্মণ – পঞ্চম অধ্যায় (17)
- ৬. আরণ্যক – ষষ্ঠ অধ্যায় (6)
- ৭. উপনিষদ – সপ্তম অধ্যায় (15)
- ৮. বেদাঙ্গসূত্র – অষ্টম অধ্যায় (24)