আরোগ্য-নিকেতন (১৯৫৩)

আরোগ্য-নিকেতন অর্থাৎ চিকিৎসালয়। হাসপাতাল নয় দাতব্য চিকিৎসালয়ও নয়—দেবীপুর গ্রামের তিন পুরুষ চিকিৎসা-ব্যবসায়ী মশায়দের চিকিৎসালয়। স্থাপিত হয়েছিল প্রায় আশি বৎসর পূর্বে।… Read more ০০. সূচনা

উনিশশো পঞ্চাশ সাল–বাংলা তেরশো ছাপ্পান্ন সালের এক শ্রাবণ-অপরাহ্নে জীবন মশায় এমনি করেই তাকিয়ে ছিলেন আকাশের দিকে। পথের উপর থেকে কেউ… Read more ০১. উনিশশো পঞ্চাশ সাল–বাংলা তেরশো ছাপ্পান্ন

মন খারাপ হল না ডাক্তারের। মতির মায়ের বয়স হয়েছে, বয়সের অনুপাতে দেহ অনেক বেশি। ভেঙেছে। বাত-জ্বর, পেটের গোলমাল–নানানখানা রোগ তো… Read more ০২. মন খারাপ হল না ডাক্তারের

জীর্ণ আরোগ্য-নিকেতনের দাওয়ায় তখন জনদশেক রোগী এসে বসে আছে। এদের অধিকাংশই মুসলমান। আজ তিন পুরুষ ধরে দীনবন্ধু মশায়ের আমল থেকে… Read more ০৩. জীর্ণ আরোগ্য-নিকেতনের দাওয়ায়

পরানের বিবি একটু ভালই আছে। আরও ভাল থাকা তার উচিত ছিল। কিন্তু তা থাকছে না। নাড়ির গতি দেখে ডাক্তারের যা… Read more ০৪. পরানের বিবি একটু ভালই আছে

এই ‘বোগাস’ শব্দটা শশী প্রয়োগ করেই বেশি গোল বাঁধিয়েছে। শব্দটার অর্থ মশায়-গিন্নি জানেন না, তবে ধ্বনিগত ব্যঞ্জনা বা সমস্ত কথাবার্তার… Read more ০৫. বোগাস শব্দটা শশী প্রয়োগ করে

জীবন মশায়ের মনে পড়ল। এক কিশোর শাল আর এক কিশোর তমাল চারায় প্রতিযোগিতা হয়েছিল—তাতে কিশোর তমাল লজ্জা পায় নি। নবগ্রামে… Read more ০৬. জীবন মশায়ের মনে পড়ল

তাঁর সহপাঠী, বোর্ডিঙে পাশের সিটের ছাত্র, এরা তাঁকে সাবধান করে দিয়েছিল। কিন্তু একটু দেরি হয়ে গিয়েছে তখন। দোষ তাদেরও ছিল… Read more ০৭. বোর্ডিঙে পাশের সিটের ছাত্র

শুভকর্মে বিলম্ব করতে নাই এবং কর্মহীন মানুষের মনের মধ্যে মরে হাতছানি অহরহ ইশারা জানিয়ে ডাকে। জগদ্বন্ধু মশায় অবিলম্বে ফাল্লুনের শেষেই,… Read more ০৮. শুভকর্মে বিলম্ব করতে নাই

হঠাৎ আজ নিজের নাড়ি ধরলেন জীবন মশায়, কত দেরি? কত দূরে সে? দীর্ঘক্ষণ নাড়ি ধরে বসে রইলেন। কই, কিছুই তো… Read more ০৯. হঠাৎ আজ নিজের নাড়ি ধরলেন

ডাক্তার হাঁটছিলেন বেশ একটু জোরে জোরে। মনের মধ্যে উত্তাপ যেন ঘুরপাক খাচ্ছে। ওষুধ ঠিক হয়ে গিয়েছে, সে ওষুধ তিনি নিজে… Read more ১০. ডাক্তার হাঁটছিলেন বেশ একটু জোরে

অতীত কালের কথা মনে করে যতই মনের মধ্যে বিচিত্র রসের সঞ্চার হয়—বৃদ্ধ জীবন মশায় ততই ঘন ঘন দাড়িতে হাত বোলান।… Read more ১১. অতীত কালের কথা মনে করে

সেদিন আশ্চর্য মনে হয়েছিল—আজ কিন্তু আশ্চর্য মনে হয় না। বিবাহের পূর্বে জীবনের যে উচ্ছাস শুক্লপক্ষের চতুর্দশীর সমুদ্রের মত ফুলে ফেঁপে… Read more ১২. সেদিন আশ্চর্য মনে হয়েছিল

অদ্ভুত মানুষ ছিলেন রঙলাল ডাক্তার। সাধারণ মানুষের সমাজ তাকে মহাদাম্ভিক অর্থপিপাসু হৃদয়হীন বলেই মনে করত। ঠিক তাঁর বাবার প্রকৃতির বিপরীত।… Read more ১৩. রঙলাল ডাক্তার

এরপর চার বৎসর-জীবন দত্তের জীবনের বোধ করি উদয়লগ্ন। নতুন জন্মান্তর। অথবা নতুন জন্মলাভের তপস্যা। রঙলাল ডাক্তার মধ্যে মধ্যে রহস্য করতেন।… Read more ১৪. উদয়লগ্ন

আরও এক বৎসর পর রঙলাল ডাক্তার তাঁকে বিদায় দিলেন। হঠাৎ চিকিৎসা ছেড়ে দিলেন। বললেন–আর না। এইবার শুধু পড়ব আর ভাবব।… Read more ১৫. আরও এক বৎসর পর

মিথ্যে বলে নি পাগলা। এক ডোজ ক্যানাবিসিন্ডিকাতে বৃদ্ধ সাধুর ঘুম এসেছে; ঘুম যখন এসেছে। তখন যন্ত্রণারও উপশম হয়েছে এবং নাড়ির… Read more ১৬. মিথ্যে বলে নি পাগলা

প্রদ্যোত ডাক্তার বারান্দায় বসে ছিল। শ্রাবণের মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি, অসহ্য গুমটের মধ্যে ঘরে ঘুম আসা এক অসাধ্য ব্যাপার; তার ওপর মশারি।… Read more ১৭. শ্রাবণের মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি

জীবন দত্ত ডাকে গেলে আতর-বউ ঘুম পেলে ঘুমকে বলেন-চোখের পাতায় অপেক্ষা কর, এখন চোখে নেমো না। সে আসুক, তারপর। শুয়ে… Read more ১৮. জীবন দত্ত ডাকে গেলে

সন্ন্যাসী সকালে সুস্থভাবেই অল্প মাথা তুলে শুয়ে রয়েছেন। যন্ত্রণা নেই। বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। জীবন দত্তকে দেখে বললেন–আইসো রে… Read more ১৯. সন্ন্যাসী