শার্লক হোমস, প্রফেসর চ্যালেঞ্জার ও মঙ্গলগ্রহ – অদ্রীশ বর্ধন
ম্যানলি ওয়েড ওয়েলম্যান এবং ওয়েড ওয়েলম্যান বিরচিত ‘শার্লক হোমস’স ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’ উপন্যাসের ভাবানুবাদ
ফ্যানট্যাস্টিক ও কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনস
যৌথ প্রয়াস
বাংলা অনুবাদ – অদ্রীশ বর্ধন
গ্রন্থনা – কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনস
প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি ২০০৭
প্রথম কল্পবিশ্ব প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০২১
প্রচ্ছদ রূপায়ণ ও বর্ণশুদ্ধি: সুদীপ দেব
ইবুক মেকিং: বাংলা ডিজিটাল প্রেস
প্রকাশক: ফ্যানট্যাস্টিক এবং কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনস যৌথ প্রয়াস
.
লেখকের কথা
‘শার্লক হোমস, প্রফেসর চ্যালেঞ্জার ও মঙ্গলগ্রহ’ উপন্যাসটি আমার প্রয়াত বন্ধুবর শ্রী রবীন বলের অনুপ্রেরণায় লেখা। ওঁর কথা ফেলতে পারতাম না বলেই আমার এই কল্পবিজ্ঞানের উপন্যাস লেখা কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞানের পাতায় প্রায় পঁচিশ বছর আগে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত প্রচুর কল্পবিজ্ঞানের গল্প, উপন্যাস লিখেছি বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু সেদিনের এই লেখার মজাই ছিল আলাদা। কারণ এটা ছিল আমার প্রথম জীবনের কল্পবিজ্ঞানের উপন্যাস। বর্তমান প্রজন্মের পাঠকের ভালো লাগবে এই আশা রাখি।
অদ্রীশ বর্ধন
কলকাতা
২ ডিসেম্বর, ২০০৬
.
মুখবন্ধ
স্যার আর্থার কন্যান ডয়াল এবং হারবার্ট জর্জ ওয়েলস ইংরেজি গোয়েন্দা এবং সায়েন্স ফিকশন সাহিত্যের দুই দিকপাল। স্যার ডয়াল সৃষ্টি করে গেছেন অমর গোয়েন্দা শার্লক হোমস এবং অমর বৈজ্ঞানিক প্রফেসর চ্যালেঞ্জারকে। ওয়েলস তাঁর সুবিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস ‘দ্য ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেন পিয়ারসনস ম্যাগাজিনে ১৮৯৭ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর মাসে— বইটি প্রকাশ পায় ১৮৯৮ সালের জানুয়ারিতে।
১৯০২ সালের জুন মাসে পৃথিবীর খুব কাছে এসেছিল মঙ্গলগ্রহ এবং ওয়েলস কল্পনা করেন সেই সময়েই লালগ্রহের ভয়ংকররা দানবিক আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছিল অভাগা গ্রহ এই পৃথিবীর ওপরে। শৌর্যেবীর্যে জ্ঞানে বিজ্ঞানে অহংকৃত এবং সমুন্নত মানুষ হেরে গিয়েছিল তাদের কাছে— হারেনি কিন্তু তারাই, যাদের চোখে দেখা যায় না— যারা ছড়িয়ে রয়েছে এই পৃথিবীর সর্বত্র— জীবাণুরা।
হোমস এবং চ্যালেঞ্জার কিন্তু আগেই জেনেছিলেন পৃথিবীতে হানা দিতে আসছে মঙ্গলগ্রহীরা। তারপর কী কী ঘটেছিল, তা-ই নিয়েই বিস্ময়কর এই রোমাঞ্চ কাহিনি। বিশ্বের বিখ্যাত দুই চরিত্র হোমস এবং চ্যালেঞ্জার বিশ্বের বিখ্যাত কাহিনি ‘দ্য ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’-এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন কীভাবে— তা-ই নিয়েই এই চাঞ্চল্যকর এবং লোমহর্ষক উপাখ্যান। ওয়েলস যা কল্পনাও করেননি কিন্তু পরবর্তীকালে ওদেশের বহু সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক যা নিয়ে ভেবেছিলেন এবং ভাবনার বীজ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও চিঠিপত্রে রোপণ করে গিয়েছিলেন, তা-ই নিয়েই রচিত অতিবিচিত্র এবং অতি-অবিশ্বাস্য এই অতি-কাহিনি ছোটবড় সব্বাইকে রুদ্ধশ্বাসে রাখবে প্রথম পংক্তি থেকে শেষ পংক্তি পর্যন্ত।
অলীক চরিত্র হোমসকে নিয়ে বাস্তব রহস্যভেদের চেষ্টা এর আগে হয়েছে ‘এ স্টাডি ইন টেরর’ ছায়াছবিতে। ছবিটি লন্ডন শহরে মুক্তি পায় ১৮৯০ সাল নাগাদ এবং তাতে দেখানো হয় চিররহস্যাবৃত ভয়াল ভয়ংকর জ্যাক দ্য রিপারকে কীভাবে এক হাত নিয়েছেন শার্লক হোমস। কিন্তু হোমসকে মঙ্গলগ্রহীদের সঙ্গে ভিড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টার মধ্যে অভিনবত্ব আছে বইকী। এই অভিনবত্বের প্রথম সন্ধান দেন সুবিখ্যাত সাংবাদিক স্যার এডওয়ার্ড ডান ম্যালোন তাঁর বিভিন্ন অপ্রকাশিত চিঠিপত্র এবং ছদ্মনামে প্রকাশিত রচনাবলীর মধ্যে। এই বইটি ম্যানলি ওয়েড ওয়েলম্যান এবং তাঁর পুত্র ওয়েড ওয়েলম্যানের লেখা ‘শার্লক হোমস’স ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’ উপন্যাসের ভাবানুবাদ।
Leave a Reply