আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট – আহমেদ রিয়াজ
আভাষ
বিশ্বজয়ী বীর আলেকজান্ডার। জয় করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন রাজ্য বিভিন্ন জাতিকে করেছেন তার অনুগত। এ কারণেই বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন সংস্কৃতিতে আলেকজান্ডার বেঁচে আছেন আজো।
পারসিয়ান ভাষায় আলেকজান্ডার পরিচিত গুজুস্টাগ নামে। পারস্যে এখনও তাকে ডাকা হয় ইস্কান্দার—ই মাকদুনি বলে।
আরবীতে তাকে বলা হয় আল—ইস্কান্দার আল—মাকদুনি আল—ইয়ানানি বলে।
হিব্রুতে তিনি পরিচিত আলেকাজন্ডার মকডন নামে।
অ্যারামিক ভাষায় তাকে বলা হয় ত্রি—করনাইয়া।
উর্দুতে তিনি পরিচিত সিকান্দার—ই আজম নামে।
পশতু ভাষায় তিনি ইস্কান্দার।
উর্দু এবং হিন্দিতে তিনি সিকান্দার।
এমনকি বাংলা ভাষাতেই যে সিকান্দার বীরের কথা আমরা জানি, তা উর্দু কিংবা হিন্দি থেকে এসেছে। কাজেই বাংলা ভাষার সিকান্দারও আলকজান্ডার।
মুসলমান পণ্ডিতদের পাশাপাশি পশ্চিমা অনেক পণ্ডিতও আলেকজান্ডারকে জুলকারনাইন বলেই অভিহিত করেন। কারণ কুরআন এবং বাইবেলে বর্ণিত অনেক কিছুর সাথেই সাদৃশ্য রয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত আলেকজান্ডারের ইতিহাসের।
প্রচ্ছদঃ বিদেশি চিত্র অবলম্বনে হুমায়ুন কবীর ঢালী।
উৎসর্গ
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ। সময় সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটা। অবাঙালী বিহারী অধ্যুষিত এলাকা মিরপুর। এই মিরপুরের ১১ নম্বর সেকশনের মিরপুর বাংলা স্কুলে ওড়ানাে হয় বাংলাদেশের পতাকা। পতাকা ওড়ানোয় স্কুলটির তৎকালীন তরুণ প্রধান শিক্ষকের কৃতিত্ব ছিল অনেকখানি। আর পতাকা ওড়াতে গিয়ে ওই রাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী বিহারীরা তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তার মৃত্যু হয়েছে মনে করে স্কুলের মাঠে ২৫ মার্চ ১৯৭১ তারিখের সকালে জানাজার আয়োজনও করা হয়। তার গ্রামের বাড়িতে কুলখানি হয়। কুলখানির দশ দিন পর তিনি হাজির হন তার গ্রামের বাড়িতে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই পালান তিনি। যাতে পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে জীবন খোয়াতে না হয়। একাত্তরে তিনি জীবন হারাননি। আর হারাননি বলেই মিরপুর বাংলা স্কুল এখন তার হাত ধরেই হয়েছে মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। মিরপুরের ঐহিত্যবাহী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৬৮ থেকে টানা প্রায় চার দশক ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি আমার প্রিয় শিক্ষক, আমাদের অনেকেরই প্রিয় শিক্ষক। প্রিয় শিক্ষক সৈয়দ আবদুল কাইয়ুমকে এ বইটি উৎসর্গ করতে পেরে আমি ধন্য, আমি গর্বিত।
লেখক
আহমেদ রিয়াজ। ছোটদের জন্য লিখেন ছোটদের মতো করে। তার প্রতিটা লেখাই ছোটদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন মজা, নতুন আনন্দ। লিখছেন প্রায় দুই যুগ ধরে। প্রথমআলো, যুগান্তর, ইত্তেফাক, সমকাল, ভোরের কাগজ, যায়যায়দিন, সংবাদ, নয়াদিগন্ত, ‘আমার দেশসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং শিশু, নবারুণ, সাতরঙসহ বিভিন্ন শিশুকিশোর মাসিক পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। গল্প, উপন্যাস, ছড়া, ফিচার, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, অনুবাদসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করেন। এ সময় যারা ছোটদের জন্য লিখছেন, তাদের মধ্যে আহমেদ রিয়াজ অবস্থান করছেন অন্য এক মাত্রায়, অন্য এক উচ্চতায়। তার গল্পের ধরন, গল্পের বৈশিষ্ট সহজেই পাঠকদের টানে।
প্রকাশিত ছোটদের জন্য বইঃ
গল্প—
গল্পকুমার, পিঠে আর পিঠে, ক্যাঙর ক্যাঙ, মিনার হাতে ইচ্ছেপূরণ চেরাগ, ইচ্ছেপূরণ ভূত, সাদা হাতি কালো গরু, আঙ্কেল গ্রেনেড ও তার দল।
অনুবাদ—
আগুনপাহাড় (রেড ইন্ডিয়ানদের রূপকথা), জিরাফ।
উপন্যাস—
নূপুর রহস্য।
Leave a Reply