041.011

অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
Then He Istawâ (rose over) towards the heaven when it was smoke, and said to it and to the earth: ”Come both of you willingly or unwillingly.” They both said: ”We come, willingly.”

ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء وَهِيَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ اِئْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَا أَتَيْنَا طَائِعِينَ
Thumma istawa ila alssama-i wahiya dukhanun faqala laha walil-ardi i/tiya tawAAan aw karhan qalata atayna ta-iAAeena

YUSUFALI: Moreover He comprehended in His design the sky, and it had been (as) smoke: He said to it and to the earth: “Come ye together, willingly or unwillingly.” They said: “We do come (together), in willing obedience.”
PICKTHAL: Then turned He to the heaven when it was smoke, and said unto it and unto the earth: Come both of you, willingly or loth. They said: We come, obedient.
SHAKIR: Then He directed Himself to the heaven and it is a vapor, so He said to it and to the earth: Come both, willingly or unwillingly. They both said: We come willingly.
KHALIFA: Then He turned to the sky, when it was still gas, and said to it, and to the earth, “Come into existence, willingly or unwillingly.” They said, “We come willingly.”

১১। উপরন্তু , তিনি তাঁর পরিকল্পনায় আকাশকে অর্ন্তভূক্ত করলেন ৪৪৭৪, ৪৪৭৫ এবং তা ছিলো ধোঁয়া [ বিশেষ ]। তিনি উহাকে এবং পৃথিবীকে বলেছিলেন , ” তোমরা ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক একসাথে এসো। ” তারা বলেছিলো , ” আমরা ইচ্ছায় আনুগত্যের মাধ্যমে [ একসাথে ] আসলাম ৪৪৭৬।”

৪৪৭৪। ‘Istawa’ শব্দটির জন্য দেখুন [ ১০: ৩ ] আয়াতের টিকা ১৩৮৬ এবং আয়াত [ ২ : ২৯ ]।

৪৪৭৫। [ ৭৯ : ২৭ – ৩০ ] আয়াতের বর্ণনা অনুযায়ী , প্রথমে আকাশমন্ডল সৃষ্টি করা হয়, তৎপর পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়। বর্তমান সূরাতে পৃথিবীর সৃষ্টি ও তৎপর পৃথিবীতে জীবনের বিবর্তনকে প্রথমে বর্ণনা করা হয় ; অতঃপর আসমানকে সপ্তস্তরে বিন্যস্ত করার বর্ণনা করা হয়। কেউ যেনো এই দুই বর্ণনাকে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে না করে। কারণ বর্তমান আয়াতের [ ৪১ : ১১ ] বর্ণনা অনুযায়ী আকাশকে সপ্ত আকাশে বিন্যস্ত করার পূর্বেও এর অবস্থান ছিলো তবে তা ছিলো ধূম্রকুন্ডের ন্যায় বা বাষ্পের ন্যায় কুয়াশাচ্ছন্ন। বিভিন্ন আয়াতে আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির বর্ণনাকে একত্রীকরণ করলে এই সিন্ধান্তে আসা যায় যে , আল্লাহ্‌ প্রথমে বস্তুর আদি অবস্থা সৃষ্টি করেন যা তখনওনির্দ্দিষ্ট আকার বা সামঞ্জস্য বা শৃঙ্খলার জন্য বিন্যস্ত করা হয় নাই। নিখিল বিশ্ব সৃষ্টির পূর্বের বিশৃঙ্খল অবস্থা যা পরবর্তীতে সুশৃঙ্খল সৃষ্টি রহস্যে পর্যবসিত করা হয়। বিশৃঙ্খল অবস্থার পরে পরবর্তী ধাপে ধীরে ধীরে স্থিতি লাভ করে এবং ঠান্ডা হয়ে আদি বস্তু সমূহে পরিণত হয় যেমন : গ্যাস, তরলপদার্থ, কঠিন পদার্থ ইত্যাদি। পৃথিবী সৃষ্টি সম্বন্ধে বলা হয়েছে চারটি ধাপ বা দিন এবং আকাশ সৃষ্টি সম্বন্ধে বলা হয়েছে দুইটি ধাপ বা দিন। এখানে দিনের ধারণা আমাদের দিন ও রাত্রির ধারণার মত নয়। সে কারণেই দিনকে ধাপ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সময়ের ধারণা হচ্ছে একটি আপেক্ষিক ধারণা মাত্র। দেখুন টিকা ৪৪৭৭। বর্তমান বিজ্ঞান এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে অক্ষম।

৪৪৭৬। এই আয়াতটি মওলানা ইউসুফ আলী সাহেব এ ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। নিখিল বিশ্ব সৃষ্টির পরিকল্পনাতে আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ছিলো যে, পৃথিবী ও নভোমন্ডল আলাদা অবস্থান করবে না। বরং তারা পৃথিবী ও আকাশ এক সাথে অবস্থান করবে। অবশ্যই পৃথিবী সৌর জগতের ও মহাবিশ্বের একটি অংশ হবে। অনন্ত মহাকাশে পৃথিবীসহ সৌরমন্ডল সাঁতরে চলেছে , অতিক্রম করে চলেছে ধুমকেতুদের গতিপথ। মহাকাশের যাবতীয় সৃষ্ট পদার্থ স্ব-ইচ্ছায় স্রষ্টার নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করে থাকে।