039.022

আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন, অতঃপর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে। (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্যে দূর্ভোগ। তারা সুস্পষ্ঠ গোমরাহীতে রয়েছে।
Is one whose heart Allah has opened to Islam, so that he has received Enlightenment from Allah, (no better than one hard-hearted)? Woe to those whose hearts are hardened against celebrating the praises of Allah. they are manifestly wandering (in error)!

أَفَمَن شَرَحَ اللَّهُ صَدْرَهُ لِلْإِسْلَامِ فَهُوَ عَلَى نُورٍ مِّن رَّبِّهِ فَوَيْلٌ لِّلْقَاسِيَةِ قُلُوبُهُم مِّن ذِكْرِ اللَّهِ أُوْلَئِكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
Afaman sharaha Allahu sadrahu lil-islami fahuwa AAala noorin min rabbihi fawaylun lilqasiyati quloobuhum min thikri Allahi ola-ika fee dalalin mubeenin

YUSUFALI: Is one whose heart Allah has opened to Islam, so that he has received Enlightenment from Allah, (no better than one hard-hearted)? Woe to those whose hearts are hardened against celebrating the praises of Allah! they are manifestly wandering (in error)!
PICKTHAL: Is he whose bosom Allah hath expanded for Al-Islam, so that he followeth a light from his Lord, (as he who disbelieveth)? Then woe unto those whose hearts are hardened against remembrance of Allah. Such are in plain error.
SHAKIR: What! is he whose heart Allah has opened for Islam so that he is in a light from his Lord (like the hard-hearted)? Nay, woe to those whose hearts are hard against the remembrance of Allah; those are in clear error.
KHALIFA: If GOD renders one’s heart content with Submission, he will be following a light from his Lord. Therefore, woe to those whose hearts are hardened against GOD’s message; they have gone far astray.

রুকু – ৩

২২। আল্লাহ্‌ যার বক্ষ ইসলামের জন্য উম্মুক্ত করে দিয়েছেন ৪২৭৪ , ফলে সে আল্লাহ্‌র নিকট থেকে আলোকসম্পাত লাভ করেছে [ সে কি কঠিন হৃদয় থেকে উত্তম নয় ] ? দুর্ভাগ্য তাদের জন্য যাদের অন্তর আল্লাহ্‌র স্মরণ থেকে কঠিন হয়ে পড়েছে ৪২৭৫। উহারা স্পষ্ট [ ভুলের মাঝে ] উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরে বেড়ায়।

৪২৭৪। “বক্ষ উন্মুক্ত করা ” বাক্যটি আক্ষরিক অর্থে নয়, প্রতীক অর্থে ব্যবহৃত। অন্তরে আল্লাহ্‌র নূর প্রবেশ করলে বক্ষ উন্মুক্ত হয়। যারা আল্লাহ্‌র বাণী অনুধাবনের চেষ্টা করে তারা অন্তরের মাঝে অনুভব করে যে, তাদের আধ্যাত্মিক চিন্তা , অনুভব ধীরে ধীরে প্রসার লাভ করছে। সেই প্রসারিত আধ্যাত্মিক জগত ধীরে ধীরে আল্লাহ্‌র নূরে আলোকিত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ধীরে ধীরে সে বিশ্ব প্রকৃতির সৃষ্টির রহস্য, আল্লাহ্‌র কল্যাণ স্পর্শ , পৃথিবীর অস্থায়ী জীবনে আল্লাহ্‌র বাণীর মাহত্ব্য অনুভবে সক্ষম হয়। তাঁর আধ্যাত্মিক জগতের যাত্রা তখন ধাপে ধাপে নির্দ্দিষ্ট পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়। আধ্যাত্মিক জগতের দ্বার তাঁর নিকট উম্মুক্ত হয়ে যায়। বক্ষ উম্মোচনের অর্থ অন্তরের প্রশস্ততা। এর উদ্দেশ্য অন্তরে এরূপ যোগ্যতা থাকা যে, আল্লাহ্‌র সৃষ্টিগত নির্দ্দেশাবলী ,আকাশ ও বিশ্ব প্রকৃতির উপরে চিন্তা ভাবনার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র অনুভব অন্তরে লাভ করতে সক্ষম হয়। একেই বলা হয়েছে ” ইসলামের জন্য বক্ষ উম্মুক্ত করা।” এরূপ ব্যক্তির সাথে তুলনা করা হয়েছে তাদের যারা আল্লাহ্‌র স্মরণে পরামুখ অর্থাৎ যারা আল্লাহ্‌র নূর হৃদয়ে প্রবেশে বাধা দান করে।

৪২৭৫। যারা আল্লাহ্‌র করুণা অনুসন্ধান করে তাদের জন্য যেরূপ আধ্যাত্মিক প্রগতির সুসংবাদ আছে , ঠিক তার বিপরীত অবস্থা হচ্ছে যারা আল্লাহ্‌র কথা স্মরণে আনে না। যারা আল্লাহ্‌র নূরকে আত্মার মাঝে প্রবেশে বাঁধা দেয়, তাদের আধ্যাত্মিক প্রগতির পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। তাদের আত্মা ধীরে ধীরে তার কমনীয়তা ,পেলবতা ও স্বচ্ছতা হারিয়ে কঠিন রূপ ধারণ করে, ফলে তাদের আত্মায় আর আল্লাহ্‌র হেদায়েত বা নূর প্রবেশ লাভ করে না। এসব লোকদের চারিত্রিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে এরা বিভ্রান্ত। এরা মানসিক দিক থেকে সর্বদা দোদুল্যমান অবস্থায় অবস্থান করবে। চারিত্রিক দুর্বলতা হবে এদের নিত্য দিনের সঙ্গী। অপরপক্ষে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য ধন্য ব্যক্তিদের চারিত্রিক দৃঢ়তা হবে অনমনীয়।