036.018

তারা বলল, আমরা তোমাদেরকে অশুভ-অকল্যাণকর দেখছি। যদি তোমরা বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাদেরকে প্রস্তর বর্ষণে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে।
The (people) said: “for us, we augur an evil omen from you: if ye desist not, we will certainly stone you. And a grievous punishment indeed will be inflicted on you by us.”

قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ لَئِن لَّمْ تَنتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُم مِّنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ
Qaloo inna tatayyarna bikum la-in lam tantahoo lanarjumannakum walayamassannakum minna AAathabun aleemun

YUSUFALI: The (people) said: “for us, we augur an evil omen from you: if ye desist not, we will certainly stone you. And a grievous punishment indeed will be inflicted on you by us.”
PICKTHAL: (The people of the city) said: We augur ill of you. If ye desist not, we shall surely stone you, and grievous torture will befall you at our hands.
SHAKIR: They said: Surely we augur evil from you; if you do not desist, we will certainly stone you, and there shall certainly afflict vou a painful chastisement from us.
KHALIFA: They said, “We consider you bad omens. Unless you refrain, we will surely stone you, or afflict you with painful retribution.”

১৮। [ সম্প্রদায়ের লোকেরা ] বলেছিলো , ” আমরা তোমাদের অবশ্যই অমঙ্গল মনে করি ৩৯৬৩। যদি তোমরা বিরত না হও, তোমাদের অবশ্যই প্রস্তরাঘাত করা হবে। এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেয়া হবে।”

৩৯৬৩। ‘Tair’ পক্ষীকূল। রোমানদের মত আরবেরাও কুসংস্কারচ্ছন্ন ভাবে বিশ্বাস করতো যে অশুভ শক্তি পক্ষীরূপে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পদচারণা করতে পারে। যারা পাপী তারা আল্লাহ্‌র নবীকে অমঙ্গলের কারণ বলে মনে করতো ; কারণ নবী সকল পাপ কার্যকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন এবং যার ফলে তাদের কায়েমী স্বার্থে আঘাত লাগে। সুতারাং আল্লাহ্‌র নবীকে তারা দুর্ভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করতো। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে পাপের ফলশ্রুতি যে পাপীর কর্মফল এই সহজ সত্যটুকু অনুধাবনে তারা ব্যর্থ। দেখুন আয়াত [ ৭ : ১৩১ ] যেখানে বলা হয়েছে মিশরবাসীরা ধারণা করেছিলো যে, হযরত মুসাই তাদের বিপদ-বিপর্যয়ের মূল কারণ। এবং আয়াত [ ২৭ : ৪৭ ] তে বর্ণনা করা হয়েছে , সামুদ জাতি সালেহ্‌ নবীর শিক্ষাকে তাদের দুর্ভাগ্যের কারণ বলে মনে করেছিলো। যুগে যুগে সত্য প্রত্যাখানকারীরা সত্যের আলোকে অবদমিত করতে প্রয়াস পায়, কারণ সত্যের শিক্ষা পাপীদের কায়েমী স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যায় – সেটাকেই তারা তাদের জন্য অমঙ্গলের কারণ মনে করে। কারণ পাপীরা পরলোকের পরিবর্তে ইহকালকে-ই জীবনের সর্বস্ব বলে ধারণা করে।