034.003

কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে।
Those who disbelieve say: ”The Hour will not come to us.” Say: ”Yes, by my Lord, it will come to you.” (Allâh, He is) the All­Knower of the unseen, not even the weight of an atom (or a small ant) or less than that or greater, escapes from His Knowledge in the heavens or in the earth, but it is in a Clear Book (Al­Lauh Al­Mahfûz).

وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَا تَأْتِينَا السَّاعَةُ قُلْ بَلَى وَرَبِّي لَتَأْتِيَنَّكُمْ عَالِمِ الْغَيْبِ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَلَا أَصْغَرُ مِن ذَلِكَ وَلَا أَكْبَرُ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
Waqala allatheena kafaroo la ta/teena alssaAAatu qul bala warabbee lata/tiyannakum AAalimi alghaybi la yaAAzubu AAanhu mithqalu tharratin fee alssamawati wala fee al-ardi wala asgharu min thalika wala akbaru illa fee kitabin mubeenin

YUSUFALI: The Unbelievers say, “Never to us will come the Hour”: Say, “Nay! but most surely, by my Lord, it will come upon you;- by Him Who knows the unseen,- from Whom is not hidden the least little atom in the heavens or on earth: Nor is there anything less than that, or greater, but is in the Record Perspicuous:
PICKTHAL: Those who disbelieve say: The Hour will never come unto us. Say: Nay, by my Lord, but it is coming unto you surely. (He is) the Knower of the Unseen. Not an atom’s weight, or less than that or greater, escapeth Him in the heavens or in the earth, but it is in a clear Record,
SHAKIR: And those who disbelieve say: The hour shall not come upon us. Say: Yea! by my Lord, the Knower of the unseen, it shall certainly come upon you; not the weight of an atom becomes absent from Him, in the heavens or in the earth, and neither less than that nor greater, but (all) is in a clear book
KHALIFA: Those who disbelieve have said, “The Hour will never come to pass!” Say, “Absolutely – by my Lord – it will most certainly come to you. He is the Knower of the future. Not even the equivalent of an atom’s weight is hidden from Him, be it in the heavens or the earth. Not even smaller than that, or larger (is hidden). All are in a profound record.”

০৩। অবিশ্বাসীরা বলে ৩৭৮৮, ” আমাদের নিকট [ কেয়ামতের ] ক্ষণ আসবে না।” বল, ” না , আমার প্রভুর শপথ ৩৭৮৯, নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট উহা আসবেই।” যিনি অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক অবগত আছেন; যার নিকট আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অণু পরিমাণ জিনিষও গোপন থাকে না। বরং তার থেকে ছোট অথবা বড় এমন কোন কিছুই নাই যা সুস্পষ্টরূপে কিতাবে লেখা নাই ৩৭৯০-

৩৭৮৮। উপরের আয়াত দুটি আমাদের এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মান্ডে কাফেরদের অবস্থানকে বুঝতে সাহায্য করে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে, আকাশ ও ভূমন্ডলে , আল্লাহ্‌র সকল সৃষ্টি পরস্পর সমন্বিত [Harmony] ভাবে সঙ্গতি রক্ষা করে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখে। প্রতিটি বস্তু বা প্রাণকে আল্লাহ্‌ এক বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। বস্তু বা প্রাণকে সেই বিশেষ উদ্দেশ্যের প্রতি নিবেদিত হওয়াই হচ্ছে তার চরম ও পরম পাওয়া , এবং তখনই প্রকৃতিতে সমন্বিত [Harmony] সঙ্গতি ও শান্তি রক্ষা পায়। যে বস্তু বা প্রাণ এই সঙ্গতি রক্ষা না করে, তার ধ্বংস অনিবার্য। কারণ প্রকৃতির সমন্বিত ক্ষমতার বাইরে কেউ যেতে অক্ষম। ঠিক সেই ভাবে আল্লাহ্‌ মানুষের আত্মাকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ্‌র নিকট প্রার্থনা করার জন্য ও আল্লাহ্‌র প্রশংসা করার জন্য। এটাই হচ্ছে আত্মার স্বাভাবিক ধর্ম। আর এই প্রশংসা ও প্রার্থনা করতে হবে স্ব-ইচ্ছায়। কারণ একমাত্র মানুষকেই স্রষ্টা সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দান করেছেন – যা হচ্ছে মানুষের জন্য আল্লাহ্‌র আমানত। কাফের বা অবিশ্বাসীরা এই আমানতের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকে , তাদের অবিশ্বাসের দরুণ [ দেখুন ৩৩ : ৭২ আয়াত এবং টিকা সমূহ ]। অবশ্যই এর পরিণতিতে তাদের আত্মার ধ্বংস অনিবার্য। আল্লাহ্‌ বলেছেন তাদের জন্য রয়েছে ভয়ংকর মর্মন্তুদ শাস্তি দেখুন আয়াত নং ৫ ]। মানুষের কোনও শক্তিই প্রাকৃতিক আইনের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারে না। জাগতিক , নৈতিক বা আধ্যাত্মিক সকল কর্মকান্ডই প্রাকৃতিক আইনের অধীন। আল্লাহ্‌ যাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন সেটাই হচ্ছে তার জন্য সেই প্রাকৃতিক আইন। প্রতিটি কাজেরই শেষ পরিণাম আছে। নিউটনের সেই বিখ্যাত সুত্র : Every action there is an equal and opposite reaction. আধ্যাত্মিক জগতের ক্ষেত্রেও এই সুত্র প্রযোজ্য যদিও আধ্যাত্মিক জগত আমাদের চোখে বস্তু জগতের ন্যায় দৃশ্যমান নয়।

৩৭৮৯। আল্লাহ্‌র শপথের মাধ্যমে কিয়ামতের অবশ্যম্ভবীতা সম্বন্ধে আল্লাহ্‌র কর্তৃত্বকে প্রকাশ করা হয়েছে এই আয়াতে; যিনি শেষ বিচারের মালিক।

৩৭৯০। “এমন কোন কিছুই নাই যা সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা নাই।” মানুষের অভিজ্ঞতাকে প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা জানি লিপিবদ্ধ বিবরণী, স্মরণ শক্তি থেকে অধিক নির্ভুল , বিশ্বাসযোগ্য এবং যদি তা সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা হয় তবে তা চিরস্থায়ী। যদি লিপিকা সঠিক ভাবে লেখা হয়; এতে যদি দুর্বোধ্য কিছু না থাকে, তবে সময়ের ব্যবধানেও তা সঠিকভাবে পাঠোদ্ধার হয় এবং বক্তব্য সঠিকভাবে অনুধাবণ করা সম্ভব হয়, যার সম্বন্ধে কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকে না। মানুষের দোষত্রুটি মুক্ত করে আল্লাহ্‌র আইন এভাবেই লিপিবদ্ধ আছে সুস্পষ্ট কিতাবে। আর সে লেখা হচ্ছে নির্ভুল , যা অনন্তকাল স্থায়ী – কখনও মুছে যাবে না। ছোট-বড় , সব কিছু সেখানে স্থান লাভ করেছে এবং ভালো কাজের শেষ পরিণতি পুরষ্কার এবং মন্দ কাজের শাস্তি।