033.018

আল্লাহ খুব জানেন তোমাদের মধ্যে কারা তোমাদেরকে বাধা দেয় এবং কারা তাদের ভাইদেরকে বলে, আমাদের কাছে এস। তারা কমই যুদ্ধ করে।
Allâh already knows those among you who keep back (men) from fighting in Allâh’s Cause, and those who say to their brethren ”Come here towards us,” while they (themselves) come not to the battle except a little.

قَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ الْمُعَوِّقِينَ مِنكُمْ وَالْقَائِلِينَ لِإِخْوَانِهِمْ هَلُمَّ إِلَيْنَا وَلَا يَأْتُونَ الْبَأْسَ إِلَّا قَلِيلًا
Qad yaAAlamu Allahu almuAAawwiqeena minkum waalqa-ileena li-ikhwanihim halumma ilayna wala ya/toona alba/sa illa qaleelan

YUSUFALI: Verily Allah knows those among you who keep back (men) and those who say to their brethren, “Come along to us”, but come not to the fight except for just a little while.
PICKTHAL: Allah already knoweth those of you who hinder, and those who say unto their brethren: “Come ye hither unto us!” and they come not to the stress of battle save a little,
SHAKIR: Allah knows indeed those among you who hinder others and those who say to their brethren: Come to us; and they come not to the fight but a little,
KHALIFA: GOD is fully aware of the hinderers among you, and those who say to their comrades, “Let us all stay behind.” Rarely do they mobilize for defense.

১৮। আল্লাহ্‌ অবশ্যই জানেন মানুষের মধ্যে কারা [ মানুষদের ] বাঁধা দান করে এবং কারা তাদের ভ্রাতৃবর্গকে বলে, “আমাদের সাথে এসো।” ওরা অল্পই যুদ্ধে অংশ নেয়,-

১৯। তোমাদের সাথে [ গণীমতের ভাগের ] লোভের বশবর্তী হয়ে ৩৬৮৯। তারপরে যখন ভয় আসে, তুমি তাদের দেখবে , মৃত্যুর ভয়ে মুর্চ্ছাতুর ব্যক্তির ন্যায় চক্ষু উল্টিয়ে তোমার দিকে চেয়ে আছে। কিন্তু যখন ভীতি দুর হয়ে যাবে, তারা [গনিমতের ] ধনের লোভে তোমাদের তীক্ষ্ণ ভাষায় বিদ্ধ করবে ৩৬৯০। এসব লোকের কোন ঈমান নাই , এবং সে কারণে আল্লাহ্‌ তাদের কর্ম নিষ্ফল করেছেন ৩৬৯১। এবং আল্লাহ্‌র জন্য তা সহজ ৩৬৯২।

৩৬৮৯। “Ashihhatan” অর্থ লোলুপ, আকড়াইয়া ধরার জন্য ব্যগ্র, কৃপণ। এখানের অর্থ দ্বিবিধ।

১) মোনাফেকেরা যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকে তোমাদের তুলনায়; তারা মুসলিম বাহিনীর সাহায্য করার ব্যাপারে কৃপণতা প্রকাশ করে; তারা তাদের উদ্যম, ব্যক্তিগত উদ্যম, বা অর্থ সম্পদ খরচের ব্যাপারে কৃপণ। এবং

২) মোনাফেকরা অর্থলোলুপ -যুদ্ধে লুটের মাল হস্তগত করার ব্যাপারে তারা আগ্রহী তবে যুদ্ধ করার ব্যাপারে নয়।

৩৬৯০। এ সব মোনাফেকদের বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, এরা আরাম আয়েসের জীবন ত্যাগ করে যুদ্ধের বা সংগ্রামের মাঝে কখনও যাবে না বরং যুদ্ধের মাঝে সংগ্রামের পরিবর্তে তারা ব্যাকুলভাবে রসুলের [ সা ] মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে, রক্ষা পাওয়ার আশায়। কিন্তু যেই বিপদ তিরোহিত হয়, সঙ্গে সঙ্গে তাদের আস্ফালন ,দম্ভ, লাফালাফি ও ঝগড়া করার প্রবণতা ফিরে আসে এবং ধন-সম্পদের প্রতি তীব্র লোলুপতা প্রকাশ করে।

উপদেশ : মোনাফেকদের চরিত্রের এই বহিঃপ্রকাশ সে যুগের জন্য যেমন প্রযোজ্য ছিলো ; আজও তা সমভাবে প্রযোজ্য এ হচ্ছে সর্বযুগে মোনাফেকদের চরিত্রের সাধারণ ধর্ম।

৩৬৯১। মোনাফেকদের সকল র্কম নিষ্ফল। এমন কি তাদের কোনও ভালো কাজও আল্লাহ্‌র নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তাদের ভালো কাজের নিয়ত ভালো হয় না। তাদের কাজের নিয়ত হয় হিংসা, দ্বেষ, লোভ-লালসা এবং এরা আচরণে হয় কাপুরুষ। আল্লাহ্‌র কাছে কাজের সাফল্য বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে কাজের নিয়ত। যে কাজ নিঃস্বার্থ ভাবে শুধু মাত্র আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য নিবেদিত – তাই-ই আল্লাহ্‌র নিকট গ্রহণযোগ্য। মোনাফেকদের কার্যে তা অনুপস্থিত। এ কারণেই আল্লাহ্‌ তাদের কার্যাবলী “নিষ্ফল করেন।” মহাকালের বিশাল পটভূমিতে কাজের সাফল্য হারিয়ে যায়, কিন্তু কাজের নিয়ত মহাকালের খাতায় লেখা থাকে।

৩৬৯২। মোনাফেকদের কার্যের নিয়ত বা উদ্দেশ্য কখনও সৎ ও নির্মল হয় না। তাই তাদের কাজ আল্লাহ্‌র নিকট গ্রহণযোগ্য হয় না। মানুষের পক্ষে মনের অভ্যন্তরের নিয়ত অনুসন্ধান করা অসাধ্য কাজ। কিন্তু আল্লাহ্‌র জন্য তা অত্যন্ত সহজ। কারণ অন্তরের মোনাফেকী ,ও মিথ্যা লোক দেখানো কাজ ও প্রতারণা – মনের সকল ভাবই আল্লাহ্‌র নিকট দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট।