025.019

আল্লাহ মুশরিকদেরকে বলবেন, তোমাদের কথা তো তারা মিথ্যা সাব্যস্ত করল, এখন তোমরা শাস্তি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং সাহায্যও করতে পারবে না। তোমাদের মধ্যে যে গোনাহগার আমি তাকে গুরুতর শাস্তি আস্বাদন করাব।
Thus they (false gods all deities other than Allâh) will give you (polytheists) the lie regarding what you say (that they are gods besides Allâh), then you can neither avert (the punishment), nor get help. And whoever among you does wrong (i.e. sets up rivals to Allâh), We shall make him taste a great torment.

فَقَدْ كَذَّبُوكُم بِمَا تَقُولُونَ فَمَا تَسْتَطِيعُونَ صَرْفًا وَلَا نَصْرًا وَمَن يَظْلِم مِّنكُمْ نُذِقْهُ عَذَابًا كَبِيرًا
Faqad kaththabookum bima taqooloona fama tastateeAAoona sarfan wala nasran waman yathlim minkum nuthiqhu AAathaban kabeeran

YUSUFALI: (Allah will say): “Now have they proved you liars in what ye say: so ye cannot avert (your penalty) nor (get) help.” And whoever among you does wrong, him shall We cause to taste of a grievous Penalty.
PICKTHAL: Thus they will give you the lie regarding what ye say, then ye can neither avert (the doom) nor obtain help. And whoso among you doeth wrong, We shall make him taste great torment.
SHAKIR: So they shall indeed give you the lie in what you say, then you shall not be able to ward off or help, and whoever among you is unjust, We will make him taste a great chastisement.
KHALIFA: They have disbelieved in the message you have given them, and, consequently, you can neither protect them from the retribution they have incurred, nor can you help them in any way. Anyone among you who commits evil, we will commit him to severe retribution.

১৯। [আল্লাহ্‌ মুশরিকদের বলবেন ] : ” এখন তোমরা যা বল সে সম্বন্ধে তারা তোমাদের মিথ্যাবাদী প্রমাণ করেছে। অতএব তোমরা [ তোমাদের শস্তি থেকে ] রেহাই পেতে পারবে না। কোন রকম সাহায্যও পাবে না ৩০৭৪। এবং তোমাদের মধ্যে যে পাপ করে থাকে, তাকে আমি ভয়াবহ শাস্তি আস্বাদন করাবো। ”

৩০৭৪। “তারা” অর্থাৎ উপাস্যগুলি। সমস্ত দৃশ্যপটটি হবে আল্লাহ্‌র ন্যায় বিচারের আদালতে সওয়াল জবাবের মত। যদি মোশরেকরা বলতো যে তারা মিথ্যা উপাস্যদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে মিথ্যা উপাস্যরা তাদের বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগকে এ ভাবেই খন্ডন করবে যে ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ ভাবেই মোশরেকদের আবেদন নিবেদন, অজুহাতকে মিথ্যা প্রমাণিত করে ধূলিস্যাৎ করা হবে। মোশরেকরা তাদের উপাস্যের নিকট থেকে কোনও সাহায্যই পাবে না এবং তাদের শাস্তি থেকেও অব্যহতি লাভ করবে না। মিথ্যা উপাস্যের উপসনাকে এখানে পাপের প্রতীক হিসেবে বলা যায়। শুধু মাত্র মূর্তি পূঁজা মানেই মিথ্যা উপাস্যের উপাসনা নয়। আল্লাহ্‌র হুকুমকে অমান্য করে আত্মা যখন পাপে আকণ্ঠ নিমগ্ন হয় তখন পাপীর সর্ব সত্ত্বা ঘিরে রাখে পাপের করাল গ্রাস , শয়নে , স্বপনে, জাগরণে সে সেই পাপ চিন্তায় আচ্ছন্ন থাকে। সেখানে আল্লাহ্‌র স্মরণ স্থান পায় না। এও এক ধরণের মিথ্যা উপাস্যের উপাসনা বৈকি। মিথ্যা উপাসনা হচ্ছে পাপ; যার উৎপত্তি আল্লাহ্‌র হুকুম বা বিধানকে অস্বীকারে মাধ্যমে শুরু হয়। তখন এসব পাপীরা আল্লাহ্‌র মহত্ব ও গুণাবলীর প্রতি মিথ্যা বিশেষণ প্রয়োগে ইতঃস্ততত করে না। তারা আল্লাহ্‌র করুণা , দয়া ও ক্ষমাকে অস্বীকার করে। পাপিষ্ঠ লোকেরা এ ভাবেই পাপকে ত্যাগ করতে অস্বীকার করে, আল্লাহ্‌র হুকুম মানতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। তারা আল্লাহ্‌র সেবা বা আল্লাহ্‌র জন্য কাজ ব্যতীত অন্য কাজে নিয়োজিত হতে ভালোবাসে।