হিন্দুসমাজ পড়েছে এক বিড়াল বিভ্রাটে তারা দিশেহারা বিভ্রান্ত নানা মুণির নানা পাঠে। নিষাদ-চণ্ডাল-গোন্দ-খোন্দ-হাঁড়ি-সুত-ডোম-তাঁতী অসংখ্য শাখায় বিভক্ত সনাতন হিন্দু জাতি আবার তার মধ্যে যে হরিভক্ত কৃষ্ণ নামে হয় বিভক্ত আবার কালী নামে কেই আসক্ত শিবলিঙ্গ কারো বাটে। হিন্দুসমাজ পড়েছে এক বিড়াল বিভ্রাটে।। কেউবা শাক্ত, কেউবা শৈব, গাণপত্যার বৈষ্ণব আবার সত্য ধর্ম-সন্তান দল আর সৎ সঙ্গের হলো উদ্ভব কেউ পরেছে রুদ্রাক্ষের মালা তুলসীর মালা-রূপার মালা এই মালায় মালায় বাধলো জ্বালা পরিস্থিতি ঘোলাটে। হিন্দুসমাজ পড়েছে এক বিড়াল বিভ্রাটে।। হিন্দুর আছে বেদ-বেদান্ত-ভাগবত-বিশ্বাস-ভক্তি-ভাব আছে ব্রহ্মজ্ঞান আর দিব্যজ্ঞান শুধু কাণ্ডজ্ঞানের অভাব তাই অস্পৃশ্যতা নিত্য সাথী স্ববিরোধী-আত্মঘাতী এমন চৈতন্যহীন মানব জাতি দেখি নাই ভবের হাটে। হিন্দুসমাজ পড়েছে এক বিড়াল বিভ্রাটে।। হয়ে হিন্দুরা অসংখ্য গোত্র-গোষ্ঠীতে বিভক্ত আজ কি যে সর্বনাশ হয়েছে বুঝলো না ভঙ্গুর সমাজ। \'সঙ্খে শক্তি কলৌযুগে\' বুঝবে এবার ভুগে ভুগে আসছে দুর্গতির আক্রমণ দুর্গে কি যে আছে ললাটে। হিন্দুসমাজ পড়েছে এক বিড়াল বিভ্রাটে।। নকুল কয় কে আছো নবীন-যুবক আমার কথা নাও এই জাতিভেদ আর গুরুবাদের অশুভ গতি থামাও উপড়ে ফেলো ভণ্ডদের ভণ্ডামীর শিকড় কু-সংস্কারের কু-আঁকড় নইলে হিন্দুদের দেখবে দু\'দিন পর চিড়িয়াখানার মাঠে।।
——————————-
নকুল কুমার বিশ্বাস
অ্যালবাম: কোলকাতায় নকুল বিশ্বাস
রচনা- ৩০.০৩.৮৮
মিরপুর, ঢাকা।
(গুরুদেব শিষ্যের বাড়ি খেতে বসেছেন। এমন সময় একটি বিড়াল খুবই বিরক্ত করছিলো। তাই গুরু তার শিষ্যকে বিড়ালটিকে একটি পোলো দিয়ে আটকে রেখে খেতে বসতে বলেছিলেন।
এখন আর সেই বাড়িতে বিড়াল নেই আর খাওয়ার সময় বিড়ালের বিরক্তও নেই। কিন্তু তাতে কি! গুরুদেব বলেছিলেন খাবার সময় বিড়াল ঢাকতে, তাই সেই বাড়িতে আজও খাবার সময় বিড়াল আটকে রাখার রেয়াজ রয়ে গেছে। প্রয়োজনে অন্য বাড়ি থেকে বিড়াল ধরে এনে পোলো দিয়ে ঢেকে রেখে তবে খেতে বসে। আর বিড়াল না পাওয়া গেলে সেদিন তারা না খেয়েই কাটিয়ে দেয়। জ্ঞানীরা এটাকেই বলেছেন বিড়াল বিভ্রাট।)
Leave a Reply