১৩. চারু শিল্প

চারু শিল্প

সেমিটিক মনের অধিকারী আরব। কবিতার মত চারু-শিল্পের সে বস্তুর বিভিন্ন খণ্ড ও অন্তর্নিহিত আদর্শের দিকে নজর দিয়েছে বেশী–সমস্ত খণ্ডকে মিলিয়ে এক সুসমঞ্জস অখণ্ড সৃষ্টিতে তার ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া গেছে কম। তবে বিজ্ঞানে যেমন সে খানিক দূর অগ্রসর হয়ে তার থেমে যায়–ভাস্কর্য শিল্পে, বিশেষ করে চিত্র-শিল্পে তেমন ঘটে নাই।

ভাস্কর্য শিল্পের যে-সব অতুল্য অবদান একদিন বাগদাদের শোভা বর্ধন করত, আজ তার কোন চিহ্নই অবশিষ্ট নাই। মুসলিম ভাস্কর্য-প্রতিভার দুটি অমর সৃষ্টি এখনো বেঁচে আছে? এ দুটি হচ্ছে, দামেস্কের মহান মসজিদ আর বায়তুল মোকাদ্দেসের প্রস্তর গম্বুজ। কিন্তু এ দুটিই আরো আগের জামানার কীর্তি। সেকালের বাগদাদের অদ্ভুত জাকজমকের কথা আমরা জানি; কিন্তু খলীফা আল আমিন ও আল-মামুনের গৃহযুদ্ধ, ১২৫৮ সালে মঙ্গোলদের অনুষ্ঠিত ধ্বংসলীলা এবং স্বাভাবিক কারণ–সমস্ত মিলে শহরটির এমনি পরিপূর্ণ বিনাশ সাধন করেছে যে, আজ সে প্রাসাদসমূহের অবস্থান-ভূমি পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

আল-মুতাওয়াক্কিলের আগ পর্যন্ত বাগদাদের বাইরের কোন বিধ্বস্ত আব্বাসীয় কীর্তির আনুমানিক তারিখ নির্ণয় কঠিন। মুতাওয়াক্কিল (৮৪৭ ৮৬১) সামাররার বিরাট মসজিদের নির্মাতা। এই জামে মসজিদটি ৭ লক্ষ দিনার খরচ করে তৈরী করা হয়। আকারে মসজিদটি চৌকোণ ছিল; এর জানালার বিচিত্র খিলান পাক-ভারতীয় প্রভাবের কথা মনে করিয়ে দেয়। অষ্টম শতাব্দীর শেষভাগের যেসব আব্বাসীয় ভগ্ন-কীর্তি রাককায় পাওয়া যায়, তা এবং সামাররায় প্রাপ্ত কীর্তি-চিহ্ন এশিয়ার বিশেষ করে পারসিক ভাস্কর্য-রীতির ঐতিহ্যের পরিচায়ক। উমাইয়া ভাস্কর্য-রীতি কিন্তু বাইজেন্টাইন-সিরিয়ান ঐতিহ্যের সুস্পষ্ট পরিচয় বহন করে।

আমরা আগেই বর্ণনা করেছি যে, একজন খলীফা তার প্রাসাদশীর্ষে একটি বর্শাধারী অশ্বারোহী মূর্তি স্থাপন করেন। এ মূর্তি হয়তো দিক-নির্দেশক যন্ত্রের কাজ করত। আর একজন খলীফা তাইগ্রিস বক্ষে প্রমোদ-বিহারের জন্য সিংহ, ঈগল ও শুশুক মূর্তির বজরা তৈরী করেন; এবং আরো একজন খলীফা তাঁর প্রাসাদের বিরাট পুকুরে সোনা-রূপায় তৈরী আঠারোটি শাখামুক্ত এক গাছ স্থাপন করেন। পুকুরের দুই পারে কিংখাবের পোশাক পরিহিত অশ্বারোহীর মূর্তি ছিল; তারা বর্শা হাতে নিয়ে এমনভাবে নড়াচড়া করত, যেন লড়াইয়ে মেতে আছে।

সামাররার নির্মাতা খলীফা আল-মুতাসীমের প্রাসাদ-দেয়াল নারীমূর্তি এবং শিকারের দৃশ্যে সজ্জিত ছিল। এগুলি হয়তো ছিল কোন খৃস্টান শিল্পীর কাজ। তার পরবর্তী দ্বিতীয় খলীফা আল-মুতাওয়াক্কিলের আমলে এই অস্থায়ী রাজধানী সামাররা উন্নতির শিখরে আরোহণ করে। আল-মুতাওয়াক্কিল তার প্রাসাদ প্রাচীরের রূপসজ্জার জন্য বাইজেন্টাইন চিত্রকর নিযুক্ত করেন। তারা নানা, চিত্রের মধ্যে পাদ্রীসহ একটি গীর্জার চিত্র সে সজ্জার অন্তর্ভুক্ত করতে দ্বিধাবোধ করেন নাই।

মুসলিম-জগতে চিত্র-বিদ্যাকে জোর করে কাজে লাগানো হয়েছে অনেক দেরীতে। বৌদ্ধ ও খৃস্টান-জগতে চিত্র-বিদ্যা যেমন সম্পূর্ণরূপে ধর্মের প্রভাবাধীন হয়ে পড়ে, মুসলিম-জগতে তেমন কখনো ঘটে নাই। জনৈক আরব ভ্রমণকারী নবম শতাব্দীর শেষভাগে চীনের দরবারে মহানবীর একটি ছবি দেখেন। এর আগের আর কোন ছবির দলীল নাই। তবে এ ছবি হয়তো নেস্টোরীয়ান খৃস্টানদের আঁকা ছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর প্রারম্ভের আগে মুসলিম ধর্মীয় ছবি পূর্ণভাবে আত্মপ্রকাশ করে নাই। স্পষ্টই মনে হয়, প্রাচ্যদেশীয় খৃষ্টান গীর্জা বিশেষ করে জ্যাকোবাইট ও নেস্টোরীয়ান খৃস্টানদের নিকট হতেই এ আদর্শ গ্রহণ করা হয়।

আরবরা পারসিক সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধার চোখে দেখত। পারসিকরা অতি প্রাচীনকালেই রং ও রূপ-সজ্জামূলক পরিকল্পনায় অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করে। তাদের চেষ্টায় ইসলামে ব্যবসায়গত চিত্র-শিল্প যথেষ্ট উন্নতি লাভ করে। ফেরাউনীয় যুগের মিসরে গালিচা-শিল্পের সূচনা হয়। পারসিকদের হাতে এ শিল্পের অসাধারণ বিকাশ লাভ হয়। কম্বলের উপর সাধারণতঃ শিকার ও বাগানের ছবি আঁকা হত; রং পাকা করার জন্য তারা ফিটকারী ব্যবহার করত। মিসর ও সিরিয়ার হস্তচালিত তাঁতে যে সব কারুকাজ করা রেশমী কাপড় উৎপন্ন হত, ইউরোপে তার কদর এত বেশী ছিল যে, ক্রুসেডার ও পাশ্চাত্যের ঋষি-দরবেশদের মাজার ও পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন ঢাকার জন্য এই কাপড়কেই সর্বাগ্রগণ্য মনে করা হত।

মৃৎ-শিল্প মিসর ও সুসার মতই প্রাচীন। মাটির বাসনের এ শিল্পে সৌন্দর্য বিধানের কাজে মুসলমানেরা যে অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করে, তার চেয়ে অধিক দক্ষতা তারা আর কোন শিল্পেই করে নাই। বাসনের গায়ে তারা মানুষ, জীবজন্তু, গাছপালা এবং জ্যামিতিক চিত্র আঁকত–কখনো-বা লিখত উদ্ধৃত কবিতা। চিত্রিত কাশানী টাইল’ পারস্য হতে দামেস্কে আমদানী হয়। দালান কোঠার ভিতর এবং বাইর সাজানোর জন্য এই টাইল ও মোজাইক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। আরবী বর্ণমালার হরফ অবলম্বন করেও একটি সুন্দর আর্টের সৃষ্টি হয়। বাস্তবিক, ইসলামী চিত্র-শিল্প আরবী হরফ থেকে যথেষ্ট প্রেরণা লাভ করে। এমনকি আরবী হরফ চিত্রণ ধর্মের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। যেসব শহরে ইনামেল করা ও কাঁচে সোনালী রং করার কাজ পূর্ণ বিকাশ লাভ করে, তার মধ্যে এনটিওক, আলেপ্পো, দামেস্ক এবং প্রাচীন ফিনিশীয় শহরের মধ্যে টায়ার ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। লুভার, বৃটিশ মিউজিয়াম ও কায়রোর আরব মিউজিয়ামের বহু অমূল্য সংগ্রহের মধ্যে আছে সামাররা ও ফুসতাত হতে আনীত বাসন, পেয়ালা, ফুলদানী, সোরাহী এবং বাতিদানী (বাড়ী ও মসজিদ উভয় স্থানে ব্যবহারের জন্য)। অদ্ভুত উজ্জ্বল রঙে এগুলি চিত্রিত। যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন তাতে ফুটে উঠছে রামধনুর পরিবর্তনমান রঙের সুন্দর আভা।

দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় হিজরীতে লিপি-শিল্পের উদ্ভব হয়। এ শিল্পে কোরআনের অনুমোদন ছিল। আর এর উদ্দেশ্যও ছিল আল্লাহর কালামকে রূপ দেওয়া। কাজেই অনতিকাল মধ্যেই এ একটা স্বতন্ত্র মর্যাদা এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে। এ ছিল সম্পূর্ণ ইসলামী আর্ট এবং চিত্র-শিল্পের উপর এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। জীবন্ত কোন সৃষ্টির ছবি আঁকতে পারত না বলে মুসলমানদের সৌন্দর্য-পিপাসা এই খাতে প্রবাহিত হয়।

চিত্রশিল্পীর চেয়ে লিপি-শিল্পী উচ্চতর মর্যাদার অধিকারী ছিল। রাজা বাদশাহরা পর্যন্ত কোরআন নকল করে সওয়াব হাসিলের চেষ্টা করতেন। সাহিত্য ও ইতিহাস বিষয়ক আরবী গ্রন্থে কতিপয় লিপি-শিল্পীর নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লিখিত হয়েছে। কিন্তু ভাস্কর্য-শিল্পী, চিত্রশিল্পী ও ধাতু-শিল্পীদের সম্পর্কে সেসব গ্রন্থ নিশ্চুপ। লিপি-শিল্পই একমাত্র আরব আর্ট, যার অনুশীলনে ইস্তাম্বুল, কায়রো, বৈরুত এবং দামেস্কে আজো খৃষ্টান ও মুসলমান উভয় শ্রেণীর বহু শিল্পী ব্যাপৃত রয়েছেন। তাদের হাতের কাজ রুচি ও সৌন্দর্যে প্রাচীনকালের যে কোন শ্রেষ্ঠ শিল্পের তুলনায় শ্রেষ্ঠতর। কোরআনের সঙ্গে যোগ থাকার ফলে কেবল লিপি-শিল্পই নয়, বিচিত্র রং ও চিত্রে বইয়ের অঙ্গ-সজ্জা ও বই বাঁধানোর সংশ্লিষ্ট শিল্পও যথেষ্ট বিকাশ লাভ করে। শেষ জামানার আব্বাসীয়দের অধীনে বই চিত্রিত করার শিল্প হয়, ইহা পঞ্চদশ শতাব্দীতে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করে।

শাস্ত্রকারদের সঙ্গীত সম্পর্কিত আপত্তি দামেস্কে যেমন কার্যকরী হয় নাই, বাগদাদেও তেমনি কার্যকরী হয় নাই। হারুনর রশীদের মার্জিত ও জমকালো দরবার সাহিত্য ও বিজ্ঞানের যেমন পৃষ্ঠপোষকতা করে, কণ্ঠ ও যন্ত্র-সঙ্গীতেরও তেমনি পৃষ্ঠপোষকতা করে। কার্যতঃ সে দরবার আলা দরজার সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদদের একটি কেন্দ্র হয়ে ওঠে। গোলাম-বাঁদী, গায়ক-গায়িকাসহ বহু বেতনভোগী ওস্তাদ দরবারের সাহায্যে মান ইজ্জতের সঙ্গে বাস করত। এদেরই অবলম্বন করে বহু অদ্ভুত উপাখ্যান সৃষ্টি হয়ে আরব্য উপন্যাসে স্থান লাভ করে। খলীফার পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত একটি উৎসবে দুই হাজার গায়ক অংশগ্রহণ করে। তার পুত্র আল-আমিন অনুরূপ একটি নৈশ উৎসবের ব্যবস্থা করেন। সে উত্সবে তার প্রাসাদের আমলারা নর-নারী নির্বিশেষে ভোর পর্যন্ত নৃত্য করে।

সে আমলের গায়কদের বৈশিষ্ট্যের নিদর্শন লক্ষ্য করা যায়, মুখারিকের মধ্যে। মুখারিক হারুনর-রশীদের আশ্রয়ে বাস করত। আদতে সে ছিল এক কশাইয়ের ছেলে। অল্প বয়সে একদা সে পিতার দোকানে বসে ‘গোশত চাই’ চাই ভালো গোশত ইত্যাদি বলে চীৎকার করছিল। তার সুন্দর ও শক্তিমান গলা শুনে একজন গায়িকা তাকে কিনে নেয়। পরবর্তীকালে সে হারুনর রশীদের আয়ত্তে এসে পড়ে। হারুন তাকে আযাদ করে একলক্ষ দিনার উপহার দেন এবং তার নিজ পাশে তাকে স্থান দিয়ে তার ইজ্জত বাড়িয়ে দেন। একদা সন্ধ্যায় সে তাইগ্রিস নদীর বুকে গিয়ে ছেড়ে গান শুরু করে। তখনই দেখা যায় যে, বাগদাদের অলি-গলির চারদিক হতে প্রদীপ হাতে বহু লোক তার গান শোনার জন্য উতলা হয়ে ছুটে আসছে।

মুখারিক ও অন্যান্য বহু গুণী মানুষ সে উন্নতির যুগে খলীফাদের সাথী হিসেবে অমরত্ব অর্জন করেন। কিন্তু এঁরা কেবল গানের ওস্তাদ ছিলেন না, আরো কিছু ছিলেন। এঁদের তীক্ষ্ণ রস-জ্ঞান ও প্রবল স্মরণশক্তি ছিল। এঁরা বহু বাছা বাছা কবিতা ও রসাল উপাখ্যান বলতে পারতেন। এঁরা তল্কালীন জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে সুপরিচিত গায়ক, রচক, কবি এবং পণ্ডিত ছিলেন। গুরুত্বের দিক দিয়ে এরপরই স্থান ছিল বাদকদের। বীণা সবচেয়ে লোক-প্রিয় ছিল। বেহালা (ভায়োল) সাধারণতঃ নিম্নস্তরের বাদকরা বাজাত। তারপর স্থান ছিল গায়িকা বালিকাদের। এরা প্রায়শঃ পরদার আড়ালে থেকে গাইত। এ শ্রেণীর গায়িকা বালিকারা ক্রমে হেরেমের অপরিহার্য সৌন্দর্যের প্রতীকরূপে পরিগণিত হয়। এদের লালন ও শিক্ষা দান এক লাভজনক শিল্প হয়ে দাঁড়ায়। এমন একটি বালিকার জন্য মিসরের গভর্নর ৩০ হাজার দিনার দিতে চেয়ে দূত পাঠান; বাইজেন্টাইন সম্রাটের এক প্রতিনিধি ঐ পরিমাণ অর্থ দিতে চান; খোরাসানের গভর্নর দিতে স্বীকার করেন ৪০ হাজার দিনার। বাদীর মালিক সবাইকে হার মানিয়ে তাকে আযাদী দিয়ে সাদী করেন।

আব্বাসীয়দের সোনার যুগে বহু গ্রীক গ্রন্থ আরবীতে অনূদিত হয়। তাঁর মধ্যে কয়েকটি ছিল সঙ্গীতের তত্ত্বমূলক গ্রন্থ। এইসব গ্রন্থ হতেই আরবরা সঙ্গীত সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব লাভ করে এবং দেহের উপর শব্দ কি ক্রিয়া করে, সে সম্বন্ধে অবহিত হয়। কিন্তু সঙ্গীতের ব্যবহারিক ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণভাবে আরব-আদর্শের উপর নির্ভর করে। এর কাছাকাছি সময়ে আরবরা গ্রীক ভাষা হতে ‘মিউজিকী’ পরে (মিউজিকা–মিউজিক) শব্দটি ধার করে এনে সঙ্গীত বিজ্ঞানের কেবল তত্ত্বমূলক ভাগের জন্য ব্যবহার শুরু করে ব্যবহারিক ভাগের জন্য ব্যবহৃত হতে থাকে পুরোনো আরবী শব্দ ‘গীনা।’ এর আগে গীনা শব্দে নাচ-গান উভয়ই বুঝাত। কিতার’ (গিটার) এবং উরগুন’ (অরগান) যন্ত্রের নাম হিসেবে ও অন্যান্য পারিভাষিক শব্দ এই সময় গ্রীক হতে এসে আরবী ভাষায় স্থান লাভ করে। অরগান’ নিঃসন্দেহ রকমে বাইজেন্টাইনদের নিকট হতে আমদানী করা হয়।

দুর্ভাগ্যক্রমে পারিভাষিক গ্রন্থগুলির বেশীর ভাগই হারিয়ে গেছে। নগম’ ও ইকা প্রভৃতি আরবী সঙ্গীতের উপকরণ কেবল মুখে মুখে শিখানো হত। সে পর্যন্ত এই দুই-ই লোপ পেয়েছে। আরবী সুরে (চ্যান্ট) স্বর-মাধুর্যের (মেলোডী) পরিমাণ কম; কিন্তু এ সুর ছন্দে শক্তিশালী। পুরোনো সঙ্গীত সম্বন্ধে যে কয়খানা বই আছে, তা কোন আধুনিক পাঠক ঠিকমত ব্যাখ্যা করতে পারে না বা ছন্দ ও বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় সেকালের মানে বোঝে না।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *