৫. বিনতানন্দনের প্রশ্নে ভগবানের উত্তরদান

বিনতানন্দনের প্রশ্নে ভগবানের উত্তরদান

বিনতার গর্ভে কশ্যপের ঔরসে গরুড়ের জন্ম। সে শ্রীবিষ্ণুর বাহন। প্রভুকে পিঠে চড়িয়ে সমস্ত লোক ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু সব জায়গা ভালোভাবে দেখা হয় না তার। মনে তার প্রবল ইচ্ছা একবার সমস্ত লোক একা একা ভ্রমণ করবে। তাই একদিন শ্রীবিষ্ণুর অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল বৈকুণ্ঠ থেকে মনুষ্যলোক, গন্ধর্বলোক, স্বর্গলোক, পাতাললোক, প্রেতলোক–সব জায়গায় ঘুরে বেড়াল। কিন্তু কোথাও গিয়ে শান্তি পেলনা। সর্বত্রই দুঃখ বিরাজ করছে। চিত্তে সুখ না পেয়ে বিষণ্ণ বদনে ফিরে এল বৈকুণ্ঠধামে।

প্রভুর সামনে করজোড়ে অবনত মস্তকে দাঁড়াল।

নারায়ণ স্মিত হেসে জানতে চাইলেন–বলো গরুড়, কেমন ভ্রমণ হল? কোথায় কোথায় গিয়েছিলে?

গরুড় বলল–প্রভু যমলোক ছাড়া সব লোকেই ঘুরেছি। মনুষ্যলোককে আমার খুব ভালো লেগেছে। আর ভারতবর্ষের কথা কী বলব। ওই মহান দেশে দেবতারা পর্যন্ত মনুষ্যশরীর ধারন করে যেতে আগ্রহী।

হে বৈকুণ্ঠ অধিপতি, ওই মনুষ্যলোক সম্পর্কে আমার মনে হাজার প্রশ্নের উদয় হয়েছে। জীবগণ কীভাবে মনুষ্যত্ব লাভ করে? আবার কীভাবে তাদের মরণ হয়? দেহের মধ্যে কে অবস্থান করে, যে বিদায় নেয় আবার ফিরে আসে? ইন্দ্রিয় সমূহ কোথায় ঠাঁই পায়? অস্পৃশ্য হয় কেমন করে? জীব কর্ম করে এবং মরণের পরে সেই কর্ম অনুসারে ভোগ লাভ করে কীভাবে? মৃতলোককে কেন মাটিতে ঠাঁই দেওয়া হয়? কেনই বা তার মুখে পঞ্চরত্ন দেওয়া হয়? মৃত্যুর পরে মানুষ কোথায় যায়? মৃতজনের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার কারণ কী? মৃতের উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করা হয় কেন?

হে দেবেশ, হে প্রভু আমি সবলোক ঘুরেছি বটে, কিন্তু কোথাও সুখের দেখা পাইনি। এমনকি দেবলোকেও তা বিরল। দানবদের জীবনে স্বর্গরাজ্য সর্বদা আতঙ্কিত। মনুষ্যলোকে আছে রোগ, শোক, মৃত্যুর হাহাকার। ইষ্টের সঙ্গে সংযোগ ছিন্ন, তাই তারা সর্বদা ভীত।

গেলাম পাতাললোকে। সেখানেও সকলে ভয়ে তটস্থ। অর্থাৎ স্বর্গ, মর্ত্য পাতাল সর্বত্রই ভয়ের বাতাবরণ। সবখানে যেন ইন্দ্রজালের মতো মিথ্যার প্রলেপন। একমাত্র বৈকুণ্ঠধামে আপনার পাদপদ্মযুগলে নির্ভয়ে ঠাঁই পাওয়া যায়। কালের কবলে পড়ে সকল মানবই দুঃখ জর্জরিত। সকল স্থানের থেকে ভারতবর্ষকে আমার বেশি হতদুঃখী মনে হল। সেখানে কানা, খোঁড়া, আতুর, বোবা, কালা, পঙ্গুর অভাব নেই। সর্বদা সেখানে হিংসা আর লোভের আগুন জ্বলছে। চলছে হানাহানি মরামারি। তারা ক্লেশ ভোগ করছে। একদণ্ড সুখ পাচ্ছে না। দিনে দিনে তাদের আয়ু কমে আসছে। কারো কারো কালের আগেই মৃত্যু হচ্ছে। এই মৃত্যু কেন হয়? মৃত্যুর পর সে কোথায় যায়? শুনেছি নরকে গমন করে। সেখানে কর্মফলের প্রায়শ্চিত্ত করে। হে মাধব, দয়া করে আমার এসকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমার মনকে শান্ত হতে সাহায্যে করুন।

শ্রীহরি বললেন–হে গরুড়, তোমার সমস্ত প্রশ্নের আমি জবাব দিচ্ছি শোনো।

স্বেদজ, উদ্ভিজ্জ, জরায়জ ও অণ্ডজ– এই হল জীবের জন্মের প্রকারভেদ। গর্ভাবস্থায় জীবের সৃষ্টি ও বৃদ্ধি ঘটে। প্রথমে প্রথমে শত্রু ও শোণিতের সংযোগে পিণ্ড গঠন হয়। পিণ্ডের মাঝে থাকে জীব। সেটা বর্ধিত হতে থাকে। একদিন রাতে হয় আকার। পঞ্চম দিনে বুদবুদ আকার লাভ করে। চৌদ্দ দিনে তাতে মাংস ও ধাতু গজায়। কুড়ি দিন পর সেই মাংস দৃঢ়তা লাভ করে। পঁচিশ দিনে পুষ্টি ও বল পায়। এক মাসে তা পূর্ণ পঞ্চতত্ত্ব লাভ করে। ত্বক ও মেদ জন্মায় দ্বিতীয় মাসে। তৃতীয় মাসে অস্থিমজ্জা গঠিত হয়। চতুর্থ মাসে কেশ ও অঙ্গুলি জন্মায়। পঞ্চম মাসে সে কান, নাক, মুখ আর বক্ষদেশ লাভ করে। সপ্তম মাসে উদর, উপস্থ, কণ্ঠরন্ধ্র, গুহ্যদেশ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জন্মায়। প্রাণের স্পন্দন তখন সূচিত হয়। অষ্টম মাসে মাতৃজঠরে প্রাণ নড়াচড়া করতে শুরু করে। নবম মাসে জীব সম্পূর্ণতা লাভ করে এবং দৃঢ় হয়। রক্ত, মাংস, ত্বক, অস্থি, মজ্জা সহ দশমাসে সে ভূমিষ্ঠ হয়। এই হল পঞ্চভৌতিক জীবনরহস্য কথা।

ক্ষিতি, তেজ, জল, বায়ু ও আকাশ–এই হল পঞ্চভূত। ক্ষিতির বিকারে সৃষ্ট পঞ্চদ্রব্যের মধ্যে আছে ত্বক, অস্থি, নাড়ী, রোম ও মাংস। জলের বিকারে সৃষ্টি হয় মজ্জা, রক্ত, মল, মূত্র ও শুক্র। তেজ থেকে এসেছে ক্ষুধা, তৃষ্ণা, নিদ্রা, ভ্ৰাতি ও আলস্য। বায়ুদান করে ধারণ, চলন, সঙ্কোচন, প্রসারণ ও ক্ষেপণ। আকাশ থেকে লাভ হয় কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ও লজ্জাগুণ ভাব। প্রাণ, অপান, ব্যান, সমান ও উদান নিয়ে গঠিত পঞ্চ বায়ু। যার দ্বারা পান, ভোজন, পোষণ ও পরিপাকাদি কাজ সুসম্পন্ন হয়।

জীবদেহ নিজ নিজ কর্মানুসারে মর্ত্যে আসে। আয়ু, বিত্ত, মৃত্যু ও বিদ্যাকে সঙ্গে নিয়েই জীব গর্ভাবস্থা হতে ভূমিষ্ঠ হয়। কর্মের দ্বারাই জীব সমুৎপন্ন ও কর্মের দ্বারাতেই ক্ষয় লাভ করে। গর্ভস্থ জীবকে বায়ু অপোম্মুখে আকর্ষণ ও ঊর্ধ্বপাদে নিঃসরণ করে। জানুর ওপরে দুই অঙ্গুষ্ঠ, জানুর পৃষ্ঠদেশে হাতের আঙুলগুলো আর দুটি চোখ এবং জানু দুটির মধ্যে নাক রেখে গর্ভের জীব বর্ধিত হতে থাকে।

মায়ের জঠরে জীব এইভাবে কুণ্ডলি অবস্থায় থাকে। মা যেসব জিনিস খায়, তার থেকে নিঃসৃত রস জীবকে বাড়তে সাহায্য করে। তার নাভিতে থাকে একটি নাভি যুক্ত অবস্থায়। মায়ের অমধ্যে যে খাদ্য পাচিত, সেই রস ওই নাড়ির দ্বারা সঞ্চারিত হয়।

মাতৃগর্ভে জীব এইভাবে যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকে। এই সময় আগের স্মৃতি তার মনে জাগে। তখন পরিতাপ করে আর ভাবে, আর কখনও কুকর্মে লিপ্ত হব না। এই গর্ভে বাস যন্ত্রণাদায়ক। যে কর্ম করলে মাতৃজঠরে ঠাঁই পেতে হয় না, এবার সেই কাজ করব।

নবম মাসে গর্ভের জীব নীচের দিকে মাথা করে। প্রজাপত্য বায়ু এইসময় তাকে পীড়ণ করে। সে চেতনা হারায়। মায়া তখন তার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। সে পূর্বজ্ঞান বিলুপ্ত হয়। পরে সেই জীব ভূমিষ্ঠ হয়। বাল্যকাল কাটিয়ে কৈশোরে পা দেয়। যৌবনকাল অতিবাহিত করে প্রৌঢ় হয়ে এবং একদিন কালের নিয়মে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এইভাবে বার বার জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে তার আসা যাওয়া ঘটে। তবে প্রত্যেকবার এক যযানি লাভ করে না, বিভিন্ন যোনিতে সে আশ্রয় নেয়। পুণ্যের ফলে স্বর্গবাস ঘটে, নতুবা নরকে গমন হয়। সেখানে যন্ত্রণা ভোগ করে পাপ কিছুটা লাঘব করে। তারপর অবশিষ্ট কর্মভোগের জন্য সে আবার যোনি লাভ করে পৃথিবীতে ফিরে আসে।

স্বর্গে পরম সুখ, আর নরকে চরম দুঃখ– এই উপলব্ধি সর্বজনবিদিত। তাই স্বর্গবাসী সুখভোগ করার সময় সর্বদা মনে আতঙ্ক জাগে, হয়তোবা আমার পুণ্য ক্ষয় হল, আমাকে আবার ওই নরকগামী লোকের মতো দুর্গতি লাভ করতে হবে।

এমন চিন্তায় যদি সর্বদা দুঃখ পায়, তাহলে স্বর্গবাসী হয়েও কি সে সুখ পায়? গর্ভবাসে বহু দুঃখ সইতে হয়, জন্মকালে যোনির পেষণে মহাক্লেশ ভোগ করতে হয়। তারপর সেই জীব শিশুকাল থেকে ধীরে ধীরে একদিন বৃদ্ধ হয়। মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে। যমদূতের অনুচররা তার মাথার শিয়রে এসে দাঁড়ায়। তাকে নিয়ে যাবার জন্য টানাটানি করে। তারপর তাকে পাঠিয়ে দেয় স্বর্গ অথবা নরকে। এইভাবে সংসার–চক্র আবর্তিত হচ্ছে। কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ জীব বারে বারে আনাগোনা করছে।

যমলোকে অসংখ্য নরককুণ্ড আছে। তার মধ্যে ৮৪ টি প্রধান। যে যেমন পাপ করে তাকে সেইরকম কুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়। সেখানে যমের অনুচররা সর্বদা তাদের ওপর পীড়ণ চালায়। কাউকে আগুনে পোড়ানো হচ্ছে, কারো মাথায় মুগুর দিয়ে বেদম মার মারা হচ্ছে। করাত দিয়ে কারো দেহ। কাটা হচ্ছে, হিংস্র কুকুর বা বাঘকে দিয়ে কাউকে খাওয়ানো হচ্ছে। কারও জিভ ছিঁড়ে নেওয়া হচ্ছে। সকলেই নরক যন্ত্রণা ভোগ করছে। চিৎকার চেঁচামেচি। ত্রাহি ত্রাহি রব। কিন্তু এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পায় না সে। মর্তের দেহ ছেড়ে সে যখন এখানে আসে, তখন নতুন একটি দেহ লাভ করে, যার মৃত্যু নেই। কোটি কোটি বছর ধরে আগুনে পোড়ালেও সে দেহ বিকৃত দেহ দাপাদাপি করবে। পাপীর একদিন নরক যন্ত্রণা ভোগের পর মনে করে শত বছর কেটে গেছে।

এরপর অবশিষ্ট কর্ম ভোগের জন্য তাকে আবার পাঠানো হয় পৃথিবীতে। নানা যযানি ঘুরে ঘুরে জন্মলাভ করে। কেউ মনুষ্য যযানি লাভ করে, কেউ কীট বা কৃমি হয়, কেউ বা জীবজন্তুর যোনিতে জন্ম নেয়। কর্মানুসারে তারা হয় কালা, বোবা, খোঁড়া, পঙ্গু, অন্ধ, তোতলা, আবার কুষ্ঠরোগী। তারপর শুদ্র, বৈশ্য, ক্ষত্রিয় ও পরে ব্রাহ্মণ যোনিতে আসে। এইভাবে ধীরে ধীরে নিকৃষ্ট যোনি থেকে উচ্চ যোনি লাভ করে একসময় দেবত্ব অর্জন করে। . হে গরুড়, পিতার মৃতদেহ পুত্ররা কাঁধে করে বহন করে নিয়ে গেলেও, তারা মুখাগ্নি করতে পারে না, পৌত্র তার মুখে আগুন দেয়। তিলদর্ভসহ শব মাটিতে রাখলে সেই বাড়ি ঋতুবতী হয়। মুখের মধ্যে পঞ্চরত্ন রাখলে জীবের প্রবোহ হবে। ঋতুপুষ্প নাশে গর্ভধারণ না হলে, বংশ নির্বংশ হয় জানবে। বংশ নাশে পৃথিবীতে আবার টান অনুভব করে, ফলে পুনরায় জন্ম নিয়ে ফিরে আসে ভারতে।

মাটিতে গোবর লেপন করে কুশ তিল আর তুলি ছড়িয়ে সেখানে রোগীকে শোয়াতে হয়। সেখানেই যদি মৃত্যু হয়, তাহলে জানবে সমস্ত পাপ নাশ হয়ে সে স্বর্গ প্রাপ্তি হয়েছে। তখন তিলকুশ আর তুলি শ্মশানে ফেলে দিতে হয়।

তিলকে দৈত্য দানোরা ভয় পায়, কারণ আমার স্বেদ বিন্দু থেকে তিল সৃষ্ট হয়েছে। সাদা ও কালো, দুই রকমের তিল আছে। এরা দেহকৃত পাপরাশিকে নাশ করে। কুশের জন্ম হয়েছে আমার লোম থেকে। শ্রাদ্ধে তাই তিল ও কুশ প্রদান করা হয়। এর ফলে দেবতা ও পিতৃগণ পরিতুষ্ট থাকেন। কুশের মধ্যে জনার্দনের অবস্থান, মূলে আছেন ব্রহ্মা আর অগ্রে পশুপতি বিরাজ করছেন।

কুশ, তুলসী, বিপ্র, অগ্নি, মন্ত্র–এগুলো কখনও বাসি হয় না। বারবার ব্যবহার করা যায়। একাদশী, গো, বিষ্ণু, তুলসী ও ব্রাহ্মণ এই হল পঞ্চ মানবগণের পোতস্বরূপ। একাদশী, গীতা, বিপ্র, ধেনু, বিষ্ণু ও তুলসী–সংসার দুর্গে মুক্তিদাতা।

দীক্ষাহীন হয়ে কুশশয্যায় শয়ন করে মৃত্যু হলেও সে পাপী হয় না, বরং তার বিষ্ণুলোক প্রাপ্তি হয়।

মৃত্যুশয্যায় শুয়ে মানব যন্ত্রণা ভোগ করে, পরকালের যাবার দ্বার উন্মুক্ত পায় না সে। সেসময় মাটিতে তাকে শুইয়ে দিতে হয়। এর ফলে তার মৃত্যুযন্ত্রণা তাড়াতাড়ি লাঘব হয়।

মৃত্যুর কাল উপস্থিত হলে যমরাজ তার অনুচরদের পাঠিয়ে দেন প্রাণ নিয়ে যেতে। মৃত্যুপথযাত্রী তাদের দেখে কাঁদতে শুরু করে। হাহাকার করে। ভয়ে ত্রাসে, চোখ বিস্ফারিত হয়। সেই সময় যমদূতরা তাকে নিয়ে যায় যমালয়ে।

যারা ধর্মে শ্রদ্ধাবান, ঈশ্বরবিশ্বাসী, তাদের সুখে মৃত্যু হয়। পূর্বকৃত কর্মের কারণ ভোগের বৈচিত্র্যময় ঘটে, কর্মের তারতম্যের জন্যই নানান যোনিতে জন্মলাভ হয়। মহাপাপীরা মৃত্যুর পর নরকভোগ করে পৃথিবীতে আবার জন্ম নেয়। যে যেমন পাপ করে, সে তেমন যোনি লাভ করে।

পুণ্যাত্মারা বিমানযোগে স্বর্গে গমন করে এবং সেখানে মহাসুখে বসবাস করে। স্বর্গবাস করে পুণ্যক্ষয় হয়। তারপর আবার ফিরে আসে পৃথিবীতে। রাজা অথবা সাধুকুলে জন্ম নেয়। সুখ ভোগ করে।

জন্মালেই মৃত্যু অনিবার্য, এটাই কালের নিয়ম। পাপী অধোগতি লাভ করে আর পুণ্যবানেরা ঊর্ধ্বগতি হয়। জীব তাই ইন্দ্রিয়সমূহের সাথে এক দেহ থেকে অন্য দেহে যাতায়াত করে। কিন্তু এই দেহ বায়ু, পিত্ত, শ্লেষ্ম, পুরীদি, শরীরে সৃষ্ট সকল ব্যাধি সপ্ত ধাতু, মেদ, মাংস ও অস্থি দেহের সঙ্গে বিলীন হয়ে যায়।

হে বিনতানন্দন, এ জগত-সংসার দুঃখের আধার। সুখ নেই কোথাও। তাই মুক্তিলাভ করার জন্য প্রতিটি মানুষ অন্তরে যত্নবান হবে।