একবার বুক খালি করে বলো

একবার বুক খালি করে বলো

মনে করো তুমি মধ্যরাত্রি পেরিয়ে পৌঁছেলে সেই জঙ্গলে
ডাকবাংলোর দরজায় প্রকাণ্ড তালা
বারান্দায় পড়ে আছে একটা মরা কবুতর
তুমি মুখ ফিরিয়ে তাকিয়ে দেখলে নাচানাচি করছে অন্ধকার
ধুলো চেটে চেটে খাচ্ছে বাতাস
আর কেউ নেই, তোমার সঙ্গীর নাম নিঃসঙ্গতা
বেশ, এবারে বসো পা ঝুলিয়ে, শুরু হোক কথাবার্তা….

তোমার বয়েস কত? চুয়াল্লিশ
আর নিঃসঙ্গতার বয়েস?
তুমি যখন ঘুমোতে যাও, তখনও কি সে জেগে থাকে?
আলো নেই একবিন্দু, তবু কী দেখেছো তুমি?
তোমার খিদের মতন ভালোবাসা, না ভালোবাসার মতন
খিদে?
লঘু যৌবনে ভুল মানুষের ভিড়ে হারিয়ে গিয়ে তুমি কী চেয়েছিলে
তলোয়ার, না টর্চ?
প্রশ্ন চিহ্নের চেয়ে তোমার বিস্ময় চিহ্নের ব্যবহার বেশি?
তোমার পাশে বসা সঙ্গীটি তোমার কাঁধে কখনো হাত রাখে?
তোমার তখন শরীর কেঁপে ওঠে, না নিঃশ্বাসগুলো লম্বা হয়?
আকাশের দিকে তাকিয়ে তুমি কখনো সাদা মেঘ, সাদা মেঘ
বলে কাতর চিৎকার করেছিলে?
অনেকগুলো সুতো ছিড়তে ছিড়তে তুমি খুলতে পেরেছে গিঁট?
প্রথম কবে শুনেছিলে একটা অদৃশ্য রথের তীব্র ঘর্ঘর শব্দ?
শেষ কবে তোমার চোখের জল উপহার দিয়েছিলে?
কাকে?
বলো, বলো, একবার বুক খালি করে বলো,
চুপ করে থেকো না!