রাত্রির রঁদেভু

রাত্রির রঁদেভু

সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল, বুক মুচড়ে মনে হয় যেন
এই শেষ দেখা
সহসা গোধূলি মেখে মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে ঝাপসা সুদূরে
একটি পাখির শিস মাঝে মাঝে শুনি
কোনোদিন দেখাও হবে না
ধূসর মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছি পান্থপাদপের মতো
এইখানে কথা ছিল রাত্রির রঁদেভু
কে কোথায় গেল
ফুলের রেণুর মতো মৃদু ডানা মেলে উড়ে যায় দীর্ঘশ্বাস।

পিঁপড়ের মুখে ধরে রাখা একটি চিনি-বিন্দু, এই যে জীবন
তার স্রোত থেকে কে কখন
নিঃশব্দে তলিয়ে যায়, কিছু অভিমান লেগে থাকে
ইস্কুলের ঘণ্টাধ্বনি, তারও স্রোত অবিস্মরণীয়
তবুও সিঁড়ির মুখে হাত তুলে বলতে ইচ্ছে হয়
যেও না, যেও না, ফিরে এসো
সান্ধ্য সম্মিলনে ফিরে এসো
প্রবাসে বা নিরুদ্দেশে অনেক বসন্তখেলা বাকি রয়ে গেছে
বকুল শাখার নীচে পাতা আছে ফুলের বিছানা…

পান্থপাদপ তো নয়, এ যে একটা বাজের থাপ্পড় খাওয়া গাছ
অন্ধকারে একা মুখ চুন করে আছে
তার হাহাকার শুধু নিজেই সে শোনে :
আমাকেও কি কেউ বলবে, ফিরে এসো, যেও না, যেও না!