জন্মদাগ

জন্মদাগ

কিংশুক থেকে খসে পড়ছে রং, এবার সাদা ফুলের পালা
সোনামুখী রেল স্টেশনের একটু বাইরে আমি একলা দাঁড়িয়ে আছি
আজ ট্রেন আসবে না
সদ্যস্নাত শালগাছগুলির শিখরে কিসের এত কোলাহল
কাকের বাসায় ডেকে উঠেছে কোকিলের ছানা?
কেন এই কথাটা মনে পড়লো হঠাৎ
ওপরের দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না
অনেকদিন কোকিলের ডাক শুনিনি
অনেকদিন এমন ছাউনিবিহীন ঘুমন্ত স্টেশনে একা দাঁড়াইনি
জুতো খুলে পা রাখি মাটিতে, একটা শুকনো পাতা বললো,
এসো—
ইস্পাতের রেখার ওপর ওপর ঠিকরে পড়ছে রোদ, বাতাসে
বাল্যকালের গন্ধ
লাল ধুলোয় খেলা করছে মৌলিক বস্তুবিশ্ব
একটা অদৃশ্য সুতোয় দোল খাচ্ছে অনাদি কালের বিন্দু বিন্দু উপাদান
আর একটু ঝুঁকলে, আরও গভীরে গেলে,
হয়তো আমি দেখতে পেয়ে যাবো
আমার জন্মদাগ!