বড় বেশি বাইরে ছিলে

বড় বেশি বাইরে ছিলে, ঘরে ফেরা দরকার এবার।
এক গা’ ধূলোর সর, কায়ক্লেশ
দেহমনে ঊর্ণাজাল বুনে দিয়ে স্থির; মুখ ধুয়ে
নাও তাড়াতাড়ি, ফিরে পেতে হবে শুদ্ধতা। মুঠোর
নাছোড় কাঁকর সুমুদয়
ফেলে দাও, মৃত্যুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চতুর্দিকে,
ছুঁতে হবে বিশুদ্ধ গোলাপ। অন্তর্গত
ছাইচাপা সুরের ষ্ফুরণ চাই আজ।

টানা-হ্যাঁচড়া, ঠেলাঠেলি বারবর অকাম্য তোমার,
দুর্ভাগ্যজনক, তবু হয়েছ শিকার, অনেকেই
ডেকে নিয়ে নাকে মুখে
দিয়েছে জুতোর কালি মেখে; মাদল বাজিয়ে জোরে
রটিয়েছে অপবাদ। কুকুরেরা ঠ্যাঙ উঁচু ক’রে
ছিটিয়েছে প্রস্রাব তোমার গায়ে। শাখামৃগগণ
চৈতালী জ্যোৎস্নায়
দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বিকট লাফালাফি
করেছে অনেক, যাতে তুমি রাতারাতি
সহজে নাকাল হও। ফাঁদ পাতা আছে
সবখানে, বুঝে-সুঝে পা বাড়াও। ভাল হয়, যদি
ঘরে ফিরে কবিতার খাতা খুব কাছে টেনে নাও।

প্রকৃত সুফীর মতো মগ্ন হও অমোঘ শব্দের
অন্বেষণে; কবিযশঃ প্রার্থীদের নিকট তোমার
কানাকড়ি মূল্য নেই ব’লে আর বিষাদের ছায়ায় থেক না,
বাচালতা রাজত্ব করুক, তুমি বাক্‌সংযমে দীক্ষিত হও।
১৫।২।৯১