৪. ইন্দ্র ফ্ল্যাট, তেজপুর

ইন্দ্র ফ্ল্যাট, তেজপুর

২৯ ডিসেম্বর ১৯৩৬
মঙ্গলবার

ভোরে কেবিন ছেড়ে বাইরে এসেই দেখি, বাঁয়ে তেজপুর শহর দেখা যাচ্ছে। স্টিমার ঘাটে লগতে দেরি হল না। মালপত্র গুছিয়ে স্টিমারের লোকদের বিদায়সম্ভাষণ জানিয়ে এখানকার স্টিমার-স্টেশনের ওয়েটিং ফ্ল্যাট ইন্দ্ৰ’তে এসে ওঠা গেল। ফ্ল্যাটের এক কেবিন দখল নিয়ে নীচে নেমে অর্থাৎ ব্ৰহ্মপুত্রের চর ভেঙে উপরে উঠে গেলুম শহরে। পোস্ট আপিস থেকে তোমাদের টেলিগ্রাম পাঠিয়ে একটা ঝরঝরে রকম ফোর্ড ট্যাক্সিতে সমস্ত শহর ঘুরে বেড়ালাম। ট্যাক্সিওয়ালার বাড়ি সিলেট, ছেলেবেলা থেকে এখানেই আছে। কিন্তু তেজপুর শহরের উপর তার অসীম অবজ্ঞা; বললে এটা শহর না শহরের আকার! সিলেট শহরে ট্যাক্সি চলে ষাটখানা, এখানে পাঁচখানা চলা কঠিন।

ইন্দ্ৰ ফ্ল্যাটে নাওয়া-খাওয়া সোরে, সামনের ডেকে একটা আরাম-কেদারায় রৌদ্রে পা ছড়িয়ে প্রিস্টলির সেই উপন্যাসটা পড়ছি, আর ব্ৰহ্মপুত্রের স্রোত ও নদীর পড়েটিলার উপর টিনের বাংলোগুলি চেয়ে দেখছি।

তেজপুর শহরের গল্প মুখেই শুনো।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *