ঋগ্বেদ ০৬।০৬

ঋগ্বেদ সংহিতা ।  ৬ মণ্ডল । ৬ সুক্ত

১। যে ব্যক্তি অন্নকামনা করে, সে স্তুতিভাজন, বন দহনকারী, কৃষ্টবর্ত্মা, শ্বেতবর্ণ, কমনীয়, হোমকারী, স্বৰ্গীয় শক্তিপুত্র অগ্নির অভিমুখে নবীনতর যজ্ঞসহকারে গমন করে ।

২ । হে অগ্নি ! তুমি শ্বেতবর্ণ, শব্দকারী, অন্তরিক্ষে অবস্থিত, অক্ষয় ও বিপুল শব্দকারী মরুৎগণের সহিত মিলিত ও যুবতম ; তুমি পাবক ও সুমহান, তুমি অসংখ্য স্থূল কাষ্ঠ ভক্ষণপূর্বক অনুগমন কর।

৩। হে বিশুদ্ধ অগ্নি ! তোমার প্রদীপ্ত শিখা সকল পবন সঞ্চালিত হইয়া বহু কাষ্ঠ ভক্ষণপুৰ্ব্বক সৰ্ব্বত্র ব্যাপ্ত হয়। প্রদীপ্ত অগ্নি হইতে সম্ভূত নবোৎপন্ন সেই সমস্ত রশ্মি বনসমূহকে ধর্ষণকারী দীপ্তিদ্বারা পীড়িত করিয়া ভস্মসাৎ করে।

৪ । হে দীপ্তিসম্পন্ন অগ্নি ! তোমার যে সমস্ত শুভ্র রশ্মি পৃথিবীকে মুণ্ডিত করিতেছে (১) সেগুলি বিমুক্ত অশ্বগণের ন্তায় ইতস্ততঃ গমন করিতেছে । সম্প্রতি ত্বদীয় ভ্রমণশীল শিখাসমূহ বিচিত্ররূপা পৃথিবীর উপরিস্থিত উন্নত প্রদেশে আরোহণ করিয়া বিরাজিত হইতেছে ।

৫ । বর্ষণকারী অগ্নির শিখা ধেনুগণের জন্য যুদ্ধকারী কর্তৃক প্রমুক্ত বজ্রের ন্যায় নিরন্তর নির্গত হইতেছে, বীরের পৌরুষবৎ অগ্নির শিখা দুঃসহ, দুনিবার, ভীষণ অগ্নি বন সকল দগ্ধ করেন ।

৬। হে অগ্নি ! তুমি প্রবল ও উত্তেজক রশ্মি সহকারে পৃথিবীর গন্তব্য স্থান সকল দীপ্তিদ্বারা আচ্ছন্ন কর। তুমি সমস্ত বিপদ দুরীভূত কয় এবং নিজতেজ: প্রভাবে স্পদ্ধাকারীগণকে অভিভূত করিয়া শক্রগণকে বিনাশ কর।

৭ । হে বিচিত্র, অদ্ভুত বলসম্পন্ন, আনন্দদায়ক অগ্নি ! আমরা প্রীতিপ্রদ স্তোত্রদ্বারা তোমার স্তব করি ; তুমি অস্কৃত, অত্যন্ধুত, যশস্কর, অন্নপ্রদ, আনন্দদায়ক, পুত্রপৌত্ৰাদিসমন্বিত বিপুল ঐশ্বৰ্য্য প্রদান কর ।

—————
(১) মূলে “ক্ষাং বপন্তি” আছে। কেশস্থানিয়ানোবধিবনস্পতীন্‌ দহন্তীত্যররথঃ। সায়ণ।