০৬. মগধের অভ্যুত্থান

মগধের অভ্যুত্থান

রাষ্ট্র

এই সময়ে আর্যাবর্তে ষোড়শ (ষোলোটি) মহাজনপদের উদ্ভব হয়: মগধ, কোশল, বৎস, অবন্তী, বজ্জি, লিচ্ছবি, কাশী, মল্ল, কুরু, পাঞ্চাল, অঙ্গ, চেদি, গান্ধার, অশ্মক, শূরসেন ও কম্বোজ। এগুলির মধ্যে ক্ষমতা ও প্রতাপ মাঝেমাঝেই এক জনপদ থেকে অন্য জনপদে গেছে, কিন্তু শ তিনেক বছর ধরে এগুলি আর্যাবর্তে বিশেষ ক্ষমতাশালী ছিল। রেশম (বাণিজ্য) পথে উটের কাফিলায় ও বড় জাহাজে এদের সঙ্গে ভারতবর্ষের বাইরের বহু রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান ছিল।

ষোড়শ জনপদের মধ্যে ক্রমে মগধ প্রধান হয়ে ওঠে। অন্য দু-একটি জনপদকে মগধ যুদ্ধে ও অন্য ভাবে আত্মসাৎ করে নেয়। ফলে মগধের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। প্রথম রাজধানী রাজগৃহ, প্রথম বিখ্যাত রাজা বিম্বিসার (৫৪৪-৪৯২] খ্রি.পূ.); ইনি বুদ্ধভক্ত ছিলেন। এঁর ছেলে অজাতশত্রু (৪৯২-৪৬০] খ্রি.পূ.) বুদ্ধবিদ্বেষী; বাবাকে হত্যা করে সিংহাসন পান। অজাতশত্রুর পরে উদয়ী (৪৬০-৪৪০] খ্রি.পূ.); এঁর আমলে গঙ্গা ও শোণের সঙ্গমস্থলে একটি দুর্গ নির্মিত হয়। উদয়ীর পরে মগধের ক্ষমতায় আসে শিশুনাগ বংশ, রাজধানী যায় বৈশালীতে। এঁদের যুগে অবন্তীর শক্তিক্ষয় হয় ও অবন্তীর রাজধানী উজ্জয়িনী ধ্বংস হয়। এতে মগধ ও বৈশালীর মধ্যে একশো বছরের শত্রুতার অবসান ঘটে। শিশুনাগদের পরে সিংহাসনে আসে নন্দরা, এরা মগধের খুব শক্তিশালী রাজবংশ। নন্দরা অসম্ভব ধনী ও শক্তিশালী ছিল। সেই কারণে আলেকজান্ডার যখন মধ্যপ্রাচ্য, ইরান, কাবুল হয়ে এসে পঞ্জাব আক্রমণ করেন, তখন নন্দদের প্রতাপের খবর পেয়ে পঞ্জাব থেকেই ফিরে যান, মগধ আক্রমণ করেননি। আলোকজান্ডারের আক্রমণের সময়ে উত্তর ভারতে অনেকগুলি খণ্ডরাজ্য ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ সালে আলেকজান্ডার তক্ষশিলা জয় করে বিপাশা নদীর কাছে পৌঁছন। ছোট রাজা পুরুর আত্মমর্যাদাপূর্ণ ব্যবহারে সম্ভ্রম বোধ করে আলোকজান্ডার তাঁকে নিজের রাজ্য ফিরিয়ে দেন। গ্রিক সৈন্যরা বহুদিন ধরে যুদ্ধ করে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত বোধ করছিল, এমন সৈন্যদল নিয়ে যুদ্ধজয় করা যায় না বলে আলেকজান্ডার ফিরে যান। তিনি উত্তর পশ্চিম ভারতের একটা বড় অংশ জয় করেছিলেন, এ রাজ্যও অল্পকালের মধ্যেই গ্রিকদের খাস দখলের বাইরে চলে যায়। কাবুল ও সিন্ধুদেশে আলেকজান্ডারের নামে দুটি শহর ও ঝিলমের ধারে বুকিফেলা বলে একটি শহর রয়ে যায়। আলেকজান্ডারের সহযাত্রীরা ভারতবর্ষ সম্বন্ধে নানা তথ্য লিখে রাখেন। যেমন এখানকার অর্থনীতি, সমাজনীতি, সতীদাহ, বাজারে মেয়ে বিক্রি, এখানকার ভাল জাতের ষাঁড়, ভাল রথ, জাহাজ ও নৌকা তৈরির খবর আমরা ওই গ্রিক ঐতিহাসিকদের কাছ থেকে পাই। ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংস করে আলেকজান্ডার পরবর্তীকালে বৃহৎ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব করে তুললেন।

নন্দবংশ ক্রমে শক্তিহীন হয়ে আসে এবং শেষ পর্বে এত হীনবল হয়ে যায় যে, পরে মৌর্যরা তাদের সিংহাসন দখল করে নেয়। মগধের প্রধান রাষ্ট্রশক্তি হওয়ার মূলে একটি কারণ তার ধাতুর খনিগুলি। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকেই লোহা গলিয়ে লাঙলের ফলা ও যুদ্ধের অস্ত্র তৈরি হত। প্রথম রাজধানী রাজগৃহ, পাহাড়ে ঘেরা। প্রকৃতিই রাজগৃহকে রক্ষা করতে বাইরের আক্রমণ থেকে। পঞ্চম শতকে রাজধানী উঠে আসে পাটলিপুত্রে, সে-ও গঙ্গা, শোণ, ঘর্ঘরা ও পুনপুনের সঙ্গমস্থলে, কাজেই শত্রুর পক্ষে আক্রমণ করা দুঃসাধ্য। গাঙ্গেয় উপত্যকার ঠিক মাঝখানে পড়ে পাটলিপুত্র (এর চারপাশে পলিমাটি ও অরণ্যভূমি, চাষ ও কাঠের সুবিধে ছিল)। বাকি ভারতে যখন ঘোড়া আর রথ নিয়ে যুদ্ধ চলছিল তখন মগধ প্রথম হাতি ব্যবহার করে এই সুবিধে পেল যে, হাতি যে সব দুর্গম জায়গায় যেতে পারে ঘোড়া তা পারে না।

মগধে মগধ ও কিরাত জাতির অনেক লোক ছিল, অভিজাত ব্রাহ্মণ সমাজ এদের নিচু চোখে দেখত। উত্তরের আর্যরা মগধে পৌঁছল অনেক দেরিতে, ফলে আর্যদের সঙ্গে মগধ ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের কিরাতদের একটা সংমিশ্রণ ঘটল। দেরিতে আর্যায়ণের ফলে এখানকার অধিবাসীদের একটা উৎসাহ জাগল রাষ্ট্রশক্তির ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্যে। মগধ হয়ে উঠল অপরাজেয়। চাষে উন্নতি, কুটিরশিল্পের উৎপাদন, বহির্বাণিজ্য, ইত্যাদির পিছনে আছে বিপুল পরিসরে নগরায়ণ (গ্রামগুলোকে শহর তৈরি করা)। মহেঞ্জোদরো হরপ্পার পতন ঘটে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চদশ শতকের কাছাকাছি, তারপরে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের আগে সেই আয়তনের শহর আর তৈরি হয়নি। ষোড়শ মহাজনপদের যুগে নতুন শহরে মোটের ওপরে শিল্প-শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও প্রশাসনিক লোকেরা থাকত, তাদের খাবার জোগান দিত চারপাশের গ্রামগুলো। শহরে রাজপরিবার, রাজন্যবর্গ, বণিক, শিল্পপতি ও পুরোহিতরা থাকত। এদের খাবার সংস্থান করা সম্ভব হত না যদি না রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণ খাজনা উঠত। টাকা যাদের হাতে জমছিল, তারা নানা ব্যাপারে ক্রমে বেশি বেশি টাকা খাটিয়ে বড় রকমের ধনীতে পরিণত হচ্ছিল। এই সময়ের অস্ত্র মাটির নীচে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গেছে; মনে হয়, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা রাখতে প্রশাসনকে বলপ্রয়োগ করতে হত, অবাধ্য প্রজা বা বিদ্রোহী প্রতিবেশী রাজ্যকে শাসনে রাখতেই অস্ত্রের প্রয়োজন হত। এই সময়ে লেখারও চল হয় এবং মুদ্রার চল হয়— অর্থাৎ আমরা শহর বলতে যা বুঝি তার অনেক কিছুরই উৎপত্তি হয় এই সময়ে। মুদ্রা চালু হলে পর নানা পেশার লোকের মজুরি বা মাইনে টাকায় দেওয়া সম্ভব হল। পেশাদার সৈনিকদের বহু সংখ্যায় চাকরি দেওয়া সম্ভব হতে লাগল এবং টাকায় মাইনে পাওয়ার ফলে তারা যখন শ্রেষ্ঠী (বণিক)দের কাফেলার রক্ষী হিসেবে দূর দূর দেশে যেত তখন টাকা ভাঙিয়ে খাবার ও দরকারি জিনিস কিনতে পারত। বাণিজ্যের প্রসার হওয়ার ফলে নানা রকমের বিলাসদ্রব্য বাজারে দেখা গেল!

বহু গ্রামের নাম এ সময়ে পাওয়া যায়, এগুলি মোটামুটি তিন শ্রেণির। প্রথমত বিভিন্ন পেশার লোকের বসতি যে গ্রামে সেখানকার প্রধানের নাম ‘ভোজক’, দ্বিতীয়ত একই পেশার লোকের বাস যে গ্রামে, এগুলি পণ্যবিপণন (মাল কেনাবেচার) কেন্দ্র বা বাজার হয়ে উঠত, শহর ও গ্রামের যোগসূত্র ছিল এই গ্রামগুলি। তৃতীয়ত প্ৰান্তিক গ্রাম যেগুলি একটি জনপদের প্রান্তে অবস্থিত। এখানকার অধিবাসীরা অধিকাংশই শিকারী ও ফলমূল সংগ্রহকারী; এ গ্রামগুলি জঙ্গলের কাছাকাছি থাকত। শিল্পে নিযুক্ত মানুষদের ‘পূগ’ বা ‘শ্রেণিও এই সময়কার; কোনও বিশিষ্ট শিল্পের শ্রমিকদের সমবেত অর্থ ও স্বার্থরক্ষার জন্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলি। এদের ইংরেজিতে ‘গিল্ড’ বলে; এখনকার ইউনিয়নের কিছু কিছু দায়িত্ব এরা পালন করত, অন্য ধরনের কাজও করত।

গ্রামগুলিতে অনেক কিছুই সমবেত স্বার্থের জন্যে তৈরি হত, যেমন পুকুর, বেড়া, সেচের খাল, সাঁকো, ইত্যাদি। প্রত্যেক পরিবার তার আয়ের ছ’ভাগের একভাগ খাজনা দিত, কিন্তু দেবত্র বা ব্রহ্মত্র জমি নিষ্কর ছিল। বৈশ্যদের একটা অংশ সম্পন্ন চাষি, তাদের নাম ছিল গৃহপতি। চাষ এবং প্রযুক্তি (কারিগরি) বিদ্যায় এ সময়ে বিপুল উন্নতি দেখা যায়। যারা গায়ে গতরে খাটে না এমন নানা বৃত্তির বিস্তর লোকের অন্নসংস্থান করবার মতো প্রাচুর্য তখন সমাজে এসেছিল, তাই বড় সৈন্যদলের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া এবং জনহিতকর স্থাপত্য ও অন্যান্য সংগঠন সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছিল।

শাসনব্যবস্থায় নানা কাজের নানা আধিকারিক ছিল, সবচেয়ে ওপরে মহামাত্র, মন্ত্রী, তারপরে থাকত সেনানায়ক, বিচারক ও আযুক্ত। বড় পদের কর্মচারী, সেনানায়ক বাদে সম্ভবত ব্রাহ্মণরাই এ পদগুলি পেত, এগুলি বংশানুক্রমিক ছিল না। গ্রামের প্রধান ছিল গ্রাণী, গ্রামিণী, গ্রামিক বা গ্রামভোজক। রাজধানীতে রাজা ও অন্যান্য শহরে রাজকর্মচারী ও শ্রেষ্ঠীরাই ছিল প্রধান। দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রজারা ফসল দিয়েও খাজনা দিতে পারত। চতুর্বর্ণের মধ্যে ব্রাহ্মণরা রয়ে গেল, বাকিরা ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে পেশাগত জাতিতে পরিণত হল। লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগেকার মতো আর সভা বা সমিতি দিয়ে শাসন বড় শহর বা গ্রামে সম্ভব ছিল না। ফলে ব্রাহ্মণদের নিয়ে গঠিত ছোট একটি সভা— পরিষদই স্থানীয় শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করত। বুদ্ধের সময় থেকেই পূর্বাঞ্চলে কিছু গণতন্ত্র ছিল। রাজতন্ত্রে যেমন সমস্ত রাজস্ব রাজারই, গণতন্ত্রে সে অধিকার ছিল গোষ্ঠীপতিদের; এরা অর্থভাণ্ডার, শস্যভাণ্ডার ও অস্ত্রভাণ্ডারের মালিক ছিল। এদের প্রত্যেকের নিজস্ব সৈন্যদল ছিল। রাজতন্ত্রে ব্রাহ্মণের যে প্রতাপ ছিল, এখানে তা ছিল না; এদের সমাজে ধনী নেতারাই হর্তা-কর্তা-বি।তা ছিল। মৌর্যযুগে গণতন্ত্র ক্ষীণ হয়ে আসে, রাজতন্ত্র একমাত্র হয়ে ওঠে।

সমাজ

এই সময়ে আর্যাবর্তের সমাজে শূদ্রের স্থান ক্রমশ নিচু হতে থাকে। ব্রাহ্মণের মর্যাদা তো ছিলই, বৈশ্যও বিত্তকৌলীন্যে প্রধান হয়ে ওঠে, শূদ্র ক্রমে নীচে নামতে থাকে। এদের অনেকেই প্রায় অস্পৃশ্য হয়ে ওঠে; তিন বর্ণের সেবা করা ও গৃহদাস হওয়া ছাড়া হাতের কাজ করা ও জনমজুর খাটাই ছিল এদের সমাজনির্দিষ্ট পেশা। জৈন ও বৌদ্ধধর্মে জাতিভেদ নেই। তবু এ যুগে শূদ্রের প্রতি অত্যাচার ও অসম্মান আগের মতোই ছিল, বরং বাড়ছিল।

দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন অনুসারে শাসন করত রাজপ্রতিনিধি এবং গ্রাম বা শহরের প্রতিনিধি। শাসন ছিল বর্ণভিত্তিক, অর্থাৎ উঁচু জাতের লোকের সাজা কম হত, একই দোষে নীচু জাতের লোকের বেশি সাজা হত। সাজা ছিল জরিমানা থেকে আরম্ভ করে, জেল খাটা এবং নানা নিষ্ঠুর অত্যাচার— হাত, পা, নাক, কান কেটে নেওয়া, চোখ, জিভ উপড়ে নেওয়া, নির্দয় ভাবে বেত মারা থেকে অন্যান্য অত্যাচারে মেরে ফেলা পর্যন্ত।

এই সময়ে বেদের শেষতম অংশ বেদাঙ্গ রচনা হচ্ছিল। এর মধ্যে ছিল শিক্ষা (ঠিক ভাবে শব্দ উচ্চারণের নিয়ম), ব্যাকরণ, নিরুক্ত (বেদের শব্দের উৎপত্তি) ছন্দ, জ্যোতিষ এবং কল্প। কল্পের মধ্যে সমবেত যাগের জন্যে শ্রৌতসূত্র, গার্হস্থ্য, দশকর্মের জন্যে গৃহ্যসূত্র, চারবর্ণের ও চার আশ্রমের জন্যে নিয়ম ধর্মসূত্র ও বেদি নির্মাণের জ্যামিতির হিসেব শুল্বসূত্র। বেদাঙ্গের দরকার হচ্ছিল প্রধানত দুটো কারণে। আর্যরা অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় ব্রাহ্মণসাহিত্যের শেষ যুগেই, ফলে আর্যাবর্তের এক বৃহৎ অংশ জুড়ে যাগযজ্ঞের অনুষ্ঠান চলছিল। এ সব অঞ্চলে যারা আগে থাকত তারা ব্রাহ্মণ্য প্রভাব থেকে অনেক দূরে নিজস্ব ধর্ম অনুষ্ঠান সংস্কৃতি নিয়ে বাস করছিল; যজ্ঞ আরম্ভ করতেই নানা সমস্যা দেখা দিল: উচ্চারণপ্রণালী, ছন্দ, জ্যোতিষ, নিরুক্ত— এ সব তাদের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত। যজ্ঞ যাতে আবৃত্তি, গানে, ছন্দে, সুরে ও অনুষ্ঠানে নিয়ম মতো নিষ্পন্ন হয় তা ঠিক করবার জন্যে তত্ত্বগুলোও জানতে হবে; বেদাঙ্গ তারই শাস্ত্র। বেদাঙ্গের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতিজগতে একটা বড় পরিবর্তন এল: ছন্দ, ব্যাকরণ, জ্যোতিষ, নিরুক্ত, ইত্যাদি যজ্ঞের জন্যে শুরু হলেও বেদাঙ্গ রচনার মধ্য দিয়েই যজ্ঞের সঙ্গে এদের নাড়ির বাঁধন ছিঁড়ল; ধীরে ধীরে এগুলি স্বতন্ত্র শাস্ত্র হয়ে উঠল, যার সঙ্গে ধর্মবিশ্বাস বা অনুষ্ঠানের আর কোনও যোগ রইল না। এই আলাদা চর্চার ফল দেখি, খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম চতুর্থ শতকে পাণিনির ব্যাকরণ রচনায়, এতে ছোট একটি ‘বৈদিক প্রকরণ’ থাকলেও আসলে এটি সংস্কৃত সাহিত্যের ভাষারই ব্যাকরণ। এটি পৃথিবীর মধ্যে একটি অসাধারণ ব্যাকরণ, তখনও অন্য কোনও দেশে এমন ব্যাকরণ রচনা হয়নি।

1 Comment
Collapse Comments

Very good

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *