০২. রচনাকাল (বেদাঙ্গসূত্র)

রচনাকাল (বেদাঙ্গসূত্র)

সূত্রগুলির আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে গবেষকরা এই সাহিত্যের অধিকাংশ রচনাকে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম থেকে খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকের মধ্যে রচিত বলে নির্দেশ করে থাকেন। সূত্র রচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ গোষ্ঠীর নামের সঙ্গে ‘অয়ন’ এই অন্ত্য প্রত্যয়টি যুক্ত রয়েছে–যেমন আশ্বলায়ন, বৌধায়ন ইত্যাদি। বিখ্যাত ভারততাত্ত্বিক হ্বেবার মনে করেন, এটা থেকে আমরা প্রতিষ্ঠিত রচয়িতা গোষ্ঠীগুলির সময় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত করতে পারি। খ্রিস্টপূর্ব যুগের শেষ দুটি শতাব্দী এবং খ্রিস্টীয় প্ৰথম দুটি শতাব্দীকে বিদেশী প্রভাব আত্মীকরণের এবং এদের সঙ্গে আদিম জনগোষ্ঠীর ধর্মমতের সমন্বয় ও সংশ্লেষনের মাধ্যমে নূতন ধর্মীয় আন্দোলন সৃষ্টি করার পক্ষে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়রূপে চিহ্নিত করা যায়।

তাই সূত্ৰ-রচনার যুগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যে বুদ্ধপরবর্তী যুগে সূত্ৰধারার সাহিত্য রচিত হয়েছিল, যজ্ঞনিষ্ট ধর্ম তখন কঠোর প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন। রূঢ় আঘাতের ফলে বৈদিক ধর্মের প্রাচীন রূপ আর কখনও প্রাক্তন গৌরব অধিষ্ঠিত হতে পারেনি। এই যুগটি ছিল বহু বৈদেশিক আক্রমণেরও কাল; খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে আলেকজ্ঞাণ্ডারের আক্রমণের পর থেকে উত্তর ভারত একাদিক্ৰমে শক, কুষাণ, জুন ও অন্যান্য গোষ্ঠীদ্বারা বহুবার আক্রান্ত হয়েছিল। এইযুগে উত্তর ভারতে প্ৰথম গুরুত্বপূর্ণ সাম্রাজ্য অর্থাৎ মৌর্য বংশের অভ্যুত্থান ঘটে। প্রকৃতপক্ষে এসময়েই আমরা প্ৰাগৈতিহাসিক স্তর অতিক্রম করে মৌৰ্য সম্রাজ্যের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহাসিক পর্যায়ে প্রবেশ করেছি। এটা ঘটেছিল প্ৰধান উপনিষদগুলি রচিত হওয়ার শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করেছি। এটা ঘটেছিল প্ৰধান উপনিষদগুলি রচিত হওয়ার শেষ পর্যায়ে যখন বেদাঙ্গযুগের প্রাচীনতর পর্যায়েরও সূত্রপাত; এই যুগে ভারতবর্ষ গ্রিস, রোম, মধ্যপ্রাচ্য, চীন ও দূরপ্রাচ্যের সঙ্গে সমৃদ্ধিপূর্ণ বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করেছিল এবং ফলে দূরবতী দেশগুলি থেকে বাণিজ্যিক সামগ্রীর সঙ্গে সঙ্গে নুতন ও অপরিচিত ভাবাদর্শ, আচার ব্যবহার, অনুষ্ঠান ও বিশ্বাস, দেশের মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট হচ্ছিল। পাটলিপুত্র ও কৌশাস্বীর মত সমৃদ্ধিশালী নগরীর উত্থান সাধারণ আর্থিক প্রাচুর্যের প্রমাণ বহন করে, অন্ততপক্ষে বণিকশ্রেণী এবং শাসকগোষ্ঠী অর্থাৎ ক্ষত্রিয় ও পুরোহিতদের সমৃদ্ধি যে বিশেষ মাত্রা অর্জন করেছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। প্রাচীন বৌদ্ধ রচনাসমূহে এই অভ্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যে সেযুগে দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে উদৃত্ত এবং বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের ফলে লাভের প্রভাবে মুদ্রাভিত্তিক অর্থনীতির উদ্ভব হয়েছিল। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম এবং অন্যান্য প্রতিবাদী গোষ্ঠীর উত্থানের ফলে যজ্ঞনিষ্ঠ ধর্মের ভিত্তিমূল চুড়ান্তভাবে শিথিল হওয়ার পূর্বে পুরোহিতশ্রেণী যজ্ঞাপরায়ণে গোষ্ঠীর মধ্যে জাগতিক উন্নতির শিখরে আরোহন করেছিলেন।

শিল্পকলা সেসময় এমনভাবে বিকাশলাভ করে যা পূর্বে দেখা যায়নি : ভাস্কর্যে গান্ধার ও মথুরা রীতি (লক্ষণীয় যে এই দুটি অঞ্চল তৎকালীন বাণিজ্যপথের দুই প্রান্তে অবস্থিত) এবং স্থাপত্যে সাঁচি ও ভারহুত রীতির উত্থান এযুগেই ঘটেছিল। প্রচুর সংখ্যক শিলালিপি ও মুদ্রার প্রচলন হওয়াতে শিল্প-প্ৰচেষ্টার বহু নিদর্শন আমরা পেয়েছি। এযুগের সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত সাহিত্যকর্মের সাক্ষ্য থেকে এই তথ্য পরিস্ফুট হয়েছে যে গণিত, জ্যামিতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও চিকিৎসাবিদ্যা সেসময় গভীরভাবে অনুশীলিত হত। সাহিত্যের ক্ষেত্রে এইযুগে যেমন বহু বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মমত বিধিবদ্ধ হয়েছিল, তেমনি ভারতবর্ষে, দুই শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য মহাভারত এবং রামায়ণ এ-যুগেই রচিত হয়। তাছাড়া ভাসের নাটকগুলি এবং অশ্বঘোষের রচনাবলীও এযুগে প্রণীত হয়ে সাহিত্যের রচনাশৈলী ও দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে প্রধান দিকপরিবর্তনের সূচনা করে—এদের মধ্যে আমরা পরিণত ধ্রুপদী শৈলীর সাহিত্যসৃষ্টির নিদর্শন দেখতে পাই। ‘ললিতবিস্তর” এবং কিছু পরবর্তীকালের ‘বুদ্ধরচিত’, এ গ্রন্থদুটি একটি নূতন সাহিত্য-ধারার সূত্রপাত করে–লোকত্ৰাতা দেবতার জীবনকাহিনী পরবর্তী যুগে একটি নূতন ধর্মীয় সাহিত্যর শ্রেণী পরিচয় আমাদের নিকট পরিস্ফুট করে তোলে। এই শ্রেণীর বিশেষ অভিব্যক্তি দেখা যায় পুরাণ সাহিত্যেযেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনও নির্দিষ্ট ধর্মচৰ্যা বা সম্প্রদায়ের বিধিবদ্ধ প্ৰতিষ্ঠার সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও অবতার বা দেবতার জীবন ও কীর্তি কাহিনী চিত্রিত হয়েছে।

এইযুগের ব্রাহ্মণ্যধর্মে আমরা লোকায়াত ধর্মের সঙ্গে অনেক বেশিমাত্রায় ও অধিকতর মৌলিক ক্ষেত্রে সমঝোতার একটি প্রক্রিয়া লক্ষ করি। দীর্ঘকাল থেকে ব্ৰাহ্মণ্যধর্মের উপর চাপ অব্যাহত ছিল। এমনকি আৰ্যরা যখন তাদের অপরিশীলিত ও প্রাথমিক যজ্ঞগুলি নিয়ে এদেশে এসেছিল, তখন বিবিধ প্ৰচলিত উপাসনা-পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ধীরে-বীরে গ্রহণ করতে হয়েছিল। তাই ঋগ্বেদেও আমরা ইন্দ্র কর্তৃক শলাবৃকদের কাছে যতিদের সমর্পণ করাব বৃত্তান্ত, মুনিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং মৃত বৈখানসদের পুনরুজজীবনের কাহিনী পাই। বিভিন্ন তপস্বী সম্প্রদায়রূপে এইসব গোষ্ঠী। পরবর্তী যুগে আত্মপ্রকাশ করে এবং ফলে দেশীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ধর্মের দ্বারা আর্য উপাসনা পদ্ধতি সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে; খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম ও ষষ্ঠ শতাব্দীতে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও গু হু পর্যময় হয়ে ওঠে কেননা সেসময় এধরনের বহু ধর্মগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দের বিপুলসংখ্যক অনুগামী ছিল। এরা যজ্ঞধর্মের মৌলিক আদর্শগুলিকে এমনভাবে প্ৰত্যাহ্বান জানিয়েছিল যে ব্ৰাহ্মণঃ ধর্ম সত্যই যুগান্তরে উপনীত হয়ে সার্বিক বিলুপ্তির আশঙ্কার মুখোমুখী হল। পূর্ববর্তী একটি অধ্যায়ে আমরা দেখেছি যে আরণ্যকগুলি আধ্যাত্মিক ও অধ্যাত্মবাদী প্ৰতীকায়নের সাহায্যে যজ্ঞানুষ্ঠানগুলির পুনর্বিশ্লেষণ করে, ব্ৰাহ্মণ্যধর্মের আয়ুষ্কালকে দীর্ঘতর, করতে চেয়েছিল। এতে যে নুতন পথ উন্মুক্ত হল, সেদিকে অগ্রসর হয়ে ব্ৰাহ্মণ্যধর্ম আরও কিছুকাল বেঁচে থাকল বটে–কিন্তু এরই মধ্যে যজ্ঞের মৃত্যুনির্দেশ উত্থান ও প্রাচীনতর পুরাণসাহিত্যের উদ্ভলোেব মধ্যবর্তী সময়টা ছিল অচলাবস্থা, অবক্ষয় ও ক্রমাবলুপ্তির যুগ। অবশ্য যজ্ঞ তখনও অনুষ্ঠিত হচ্ছিল কেননা রাজারা ও রাজন্যরা তখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করার মত সমৃদ্ধিশালী ছিল; যদিও অনুষ্ঠান ততদিনে তার জীবনীশক্তি হাবিয়ে ফেলেছে।

এই শতাব্দীগুলিতে যজ্ঞ আরও কৃত্রিম, যান্ত্রিক হয়ে উঠেছিল, এবং উত্তর ভারতের সর্বত্র উদ্ভূত অসংখ্য নগররাষ্ট্রের রাজসভাগুলিতে বিত্তশালী পৃষ্ঠপোষকের সামাজিক মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। সাধারণ মানুষ দূর থেকে যজ্ঞের জাঁকজমক দেখে কৌতুহল বোধ করত। কিন্তু সংশয়, অবিশ্বাস এবং ব্যয়বহুল যজ্ঞসম্পাদনে নিজেদের অক্ষমতা-হেতু ক্রমশ এই ধর্মপ্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিরাসক্ত দর্শক ও সমালোচকে পরিণত হয়েছিল। এই জনসাধারণ যেমন সক্রিয়ভাবে যজ্ঞানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করত না তেমনি সেযুগে প্রচলিত বিমূর্ত অধ্যাত্মবাদী আলোচনা সম্পর্কেও কোনও প্রকৃত আগ্রহ বা অনুশীলনের ক্ষমতাও তাদের ছিল না। ফলে তারা লঘু ঐতিহ্যের অন্তর্গত লোকায়ত ধর্মের সেই উপাদানগুলির প্রতিই ক্রমশ অধিকতর আকৃষ্ট হচ্ছিল যা তাদেরকে কিছু কিছু আত্মিক আশ্রয়ের সন্ধান দিয়ে পার্থিব সমৃদ্ধির প্রত্যাশা এবং মৃত্যুর পর স্বর্গের আশ্বাস দিতে পারত। এটা নিশ্চয়ই অলস অনুমান নয় যে, যখন দেহান্তরবাদ সাধারণভাবে গৃহীত হওয়ায় এর মূল তত্ত্বগুলি জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছিল–সাধারণ মানুষ তখন একে অবিমিশ্র অকল্যাণ বলে মনে করেনি। মানুষের অন্তৰ্গঢ় জীবনমুখী প্ৰত্যয় স্বভাবত বারংবার জীবনলাভের প্রত্যাশায় উৎসুক বোধ করবেই, এজীবনে যে-সমস্ত আকাঙ্ক্ষা পরিতৃপ্ত হয়নি, পরবর্তী সুযোগে তা আরও পরিপূর্ণভাবে ভোগ করার জন্য মানুষ পুনজীবনলাভের আশাই আঁকড়ে ধরেছিল। লোকায়ত ধর্ম সাধারণ মানুষের কাছে তারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাই সমাজে তখন যে সংশ্লেষণী প্রক্রিয়ার সূত্রপাত হল, ক্রমশ পরবর্তী কয়েকটি শতাব্দীতে পরিপূর্ণতা লাভ করে তা পৌরাণিক হিন্দুধর্মে পর্যবসিত হল। অবশ্য এই পর্যায়ে তা নিতান্ত অস্পষ্ট ছিল : যজ্ঞধর্মের পুরোনো কাঠামো রক্ষিত হয়েছিল কেননা কলোত্তীর্ণ ও পরিচিত কাঠামো হিসাবে সমাজ তাকে উত্তরাধিকাররূপে পেয়েছে। যদিও এরমধ্যে নুতন ভাববস্তু সর্বদাই সংযোজিত হচ্ছিল।

মহাকাব্যগুলিতে এই সামাজিক পরিস্থিতি অত্যন্ত বিশ্বস্তভাবে প্ৰতিফলিত হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে যে রাজারা তাদের রাজনৈতিক জীবনের সমস্যা-সঙ্কুল সন্ধিক্ষণে কিছু কিছু যজ্ঞ তখনও অনুষ্ঠান করে চলেছেন। সিংহাসনের উত্তরাধিকারী পাবার আশায় পুত্ৰেষ্টি, স্বজনহত্যার পাপমোচনের জন্য অশ্বমেধ বা যুদ্ধজয়ের জন্য নূতন ধরনের যজ্ঞ (নিকুম্ভিলা) অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। কিন্তু তখনকার সমাজে এর মধ্যেই পূজার প্রচলন হয়ে গেছে, তাছাড়া তীর্থযাত্রা, বিষ্ণুর বিভিন্ন অবতার, দেবতাদের লীলা, ব্ৰতপালন, প্রতিমা-প্রতিষ্ঠা, মন্দির-নির্মাণ ইত্যাদির উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে। পরিত্রাতা দেবতা এবং তাঁদের পূজা প্রায়ই বিবৃত হয়েছে। স্পষ্টত সমাজ ইতোমধ্যে বিশেষ এক মিশ্র ধর্মচিন্তার পথে অগ্রসর হয়ে গেছে; বৈদিক মন্ত্র অবৈদিক অনুষ্ঠানগুলিতে ব্যবহৃত হচ্ছে যাতে ব্ৰাহ্মণ্যধর্মের সঙ্গে একধরনের আপাত ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকে। তবে ধর্মের বিষয়বস্তু ইতোমধ্যে সম্পূর্ণভাবে যজ্ঞের সঙ্গে সম্পর্কহীন হয়ে পড়েছে।

এই যুগেই ব্রাহ্মণ্যধর্ম তার শেষ সংকটের সম্মুখীন হয়; যজ্ঞানুষ্ঠানের সম্পূর্ণ অবলুপ্তির আশঙ্কার মুখোমুখি এসে এবং অন্যদিকে নব্য হিন্দুধর্মের আসন্ন উত্থানের পূর্বাভাস সূচনা করে তা অতীত ঐতিহ্যের বিনাশ সম্ভাবনার সম্মুখীন হল। ভাবাদর্শের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণ্যধর্মের প্রতি প্রথম পর্যায়ের প্রত্যাহ্বানের উত্তর যেমন উপনিষদ সাহিত্যে পাওয়া গিয়েছিল, তেমনি তার শেষ পর্যায়ের সংকটের সমাধান পাওয়া গেল বেদাঙ্গগুলিতে। এমন এক সময় এরা বৈদিক সাহিত্যকে সংরক্ষণ করতে চেয়েছিল যখন তা দ্রুত প্ৰকৃত অনুষ্ঠান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছিল। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, বেদাঙ্গ পর্যায়ে বহু ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়ের অনুশীলনের সূত্রপাত হয়, তাই ব্যাকরণ জ্যামিতি ও ছন্দ যজ্ঞের প্রয়োজনে উদ্ভূত হলেও অতি শীঘ্রই এগুলি আপন অধিকারে স্বতন্ত্র বিষযরূপে প্ৰতিষ্ঠা লাভ করে ও ক্রমাগত অনুশীলনের দ্বারা উন্নতির পথে অগ্রসর হয়।