প্রথম খণ্ড
দ্বিতীয় খণ্ড
তৃতীয় খণ্ড

২৭. সাধারণ মূলসূত্র : কৃষি-আবিষ্কার ও জাদুবিশ্বাসের তীব্রতা

সাধারণ মূলসূত্র : কৃষি-আবিষ্কার ও জাদুবিশ্বাসের তীব্রতা

কৃষি-বিদ্যার প্রাথমিক পর্যায়কে ঠিকমতো বুঝতে হলে সর্বপ্রথম একটি বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি হলো, এই পর্যায়েই জাদুবিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা মানুষের মনে সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে। রবার্ট ব্রিফল্ট(৩৯৩) দেখাচ্ছেন, অসভ্য মানুষদের মধ্যে সর্বত্রই দেখা যায় অন্যান্য কাজের তুলনায় কৃষিকাজকে কেন্দ্র করেই জাদুবিশ্বাস এবং জাদুবিশ্বাসগত অনুষ্ঠানের উপর নির্ভরতা সবচেয়ে বেশি। পিউব্‌লো-ইণ্ডিয়ানদের মধ্যে খৃস্টান পাদ্রীরা নানাভাবে খৃস্টধর্ম প্রচারের চেষ্টা করেও এই অসভ্য মানুষগুলির মূল বিশ্বাস একটুও টলাতে পারেনি; অথচ এ-বিশ্বাস চুরমার হয়ে যেতে লাগলো যখন ইয়োরোপীয়রা সে-দেশে গিয়ে চাষবাস শুরু করলে। ইয়োরোপীয়দের কৃষিকাজ দেখে ওদের বিশ্বাস এ-ভাবে চুরমার হয়ে যেতে লাগলো কেন? কেননা, ওরা দেখলে কোনো রকম জাদু-অনুষ্ঠানের উপর নির্ভর না করেই ইয়োরোপীয়রা ফসল ফলাতে পারছে এবং সে-ফসল গুণ বা পরিমাণ কোনো দিক থেকেই নিকৃষ্ট নয়। তাই খৃস্টান পাত্রীর হাজার বক্তৃতা দিয়েও তাদের মনের যে-বিশ্বাস টলাতে পারেনি ইয়োরোপীয়দের কৃষিকাজপরিদর্শন সে-বিশ্বাসকে উৎপাটিত করতে পারলো। পিউব্‌লো-ইণ্ডিয়ানদের এই কাহিনীটি থেকেই অনুমান করা যায়, পিছিয়ে-পড়ে-থাকা মানুষদের মনে,—এবং অতএব এগিয়ে-আসা মানুষদের পিছনে-ফেলে-আসা পর্যায়েও,— কৃষিকাজ কতো গভীরভাবে জাদুবিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত এবং জাদুবিশ্বাসগত অনুষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল। অবশ্যই ব্রিফন্ট শুধুমাত্র এই দৃষ্টান্তটির উপরই নির্ভর করেননি। আরো বহু তথ্য সংগ্রহ করে দেখাচ্ছেন, পৃথিবীর পিছিয়ে-পড়া পর্যায়ের মানুষদের কাছে জাদুবিশ্বাসগত অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে কৃষিকাজ একান্তই অসম্ভব।

প্রশ্ন হলো, কেন অসম্ভব? এই ঘটনাটির বাস্তব কারণ ঠিক কী? কৃষি-আবিষ্কারের প্রাথমিক পর্যায়ে জাদুবিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা এমন ঐকান্তিক কেন?

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর(৩৯৪) বাংলার ব্রত প্রসঙ্গে যা বলছেন সেখান থেকেই আলোচনা শুরু করা যায় :

‘গঙ্গা শুকুণ্ডকু আকাশে ছাই!—সেই সময় বর্ষার জলধারা কল্পনা করে বসুধারা ব্রতের অনুষ্ঠান। এই যে জ্যৈষ্ঠের সারা মাস আষাঢ়ের ছবি মনে জাগিয়ে মানুষ প্রতীক্ষা করছে, এটা বড় কম অবসর নয় আবেগ ঘনীভূত হয়ে নানা শিল্প-ক্রিয়ায় প্রকাশ হবার জন্য।…এমনি প্রায় প্রত্যেক ব্রতেই দেখি, কামনা অনেকদিন পর্যন্ত—কোথাও একমাস, কোথাও দু’মাস—অতৃপ্ত থাকছে চরিতার্থতার পূর্বে। শস্য ফলবার আগেই শস্য উদ্গমের ব্রত আরম্ভ হল এবং শস্যের প্রকৃত উদ্গমের ও কামনার মাঝের দিনগুলো মনের আবেগে নানা কল্পনায় নানা ক্রিয়ায় ভরে উঠে নাট্য, নৃত্য, আলেখ্য, এমনি-সব নানা শিল্পের জন্ম দিতে লাগল।

কথাগুলি ঠিক তবু ঠিক নয়ও। ভাববাদী চিন্তাশীলের পক্ষে বাস্তবকে যতোখানি পর্যন্ত বুঝতে পারা সম্ভব ততোটুকু পর্যন্তই ঠিক। কিন্তু বাস্তবে সম্যক উপলব্ধির জন্যে ভাববাদ ছেড়ে বস্তুবাদীর দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনাটির বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

কথাগুলি কতোটুকু পর্যন্ত ঠিক? কামনা এবং কামনা-সফল-হওয়ার মাঝখানের যে-দীর্ঘ ব্যবধান তাকেই মনের ঘনীভূত আবেগ দিয়ে,—কামনা সফল হওয়ার ছবি দিয়ে,—ভরিয়ে তোলাই হলো ব্রতের উদ্দেশ্য। নৃত্য, নাট্য, আলেখ্য—এমনি সব নানান উপায়ের উপর নির্ভর করেই মনের ওই ঘনীভূত আবেগকে বাঁচিয়ে রাখবার আয়োজন। অবনীন্দ্রনাথের কথাগুলি ঠিক এবং এই দিক থেকেই ঠিক।

কিন্তু ঠিক নয়ও। ঠিক নয় এই কারণে যে, অর্ধ-অসহায় পর্যায়ের ওই মানুষগুলির কাছে কামনা আর কামনা-সফল-হওয়ার মাঝখানের ওই দীর্ঘ ব্যবধানটি এক চূড়ান্ত পরীক্ষার মতো। আর তাই, এই সময়টি জুড়ে নৃত্য, নাট্য, আলেখ্য এমনি সব নানান শিল্পের সাহায্যে মনের আবেগটুকুকে বাঁচিয়ে রাখবার যে-চেষ্টা তার মূলে রয়েছে জীবন-সংগ্রামের নির্মম চাহিদা, অবসর-বিনোদন নয়—এবং সেই কারণেই অবনীন্দ্রনাথ যখন বলছেন ওই ঘনীভূত আবেগের আসল উপাদান হলো অবসর, তখন তাঁর কথা স্বীকারযোগ্য হতে পারে না।

বস্তুত, অবনীন্দ্রনাথের নিজের রচনাতেই স্বীকৃত হয়েছে, জীবনসংগ্রামের যে-পটভূমিতে ব্রতের জন্ম তার সঙ্গে জীবনসংগ্রামের আধুনিক পটভূমির অনেক তফাত এবং এ-তফাতের কথা মনে না রাখলে ব্রতের আদি-তাৎপর্য বোঝা যায় না (৩৯৫) :

অনাবৃষ্টির আশঙ্কা আমাদের যদিই বা এখন কোনোদিন চঞ্চল করে তবে হয়তো ‘হরি হে রক্ষা করো’ বলি মাত্র; কিন্তু ঋতুবিপর্যয়ের মানে যাদের কাছে ছিলো প্রাণ-সংশয়, সেই তখনকার মানুষেরা কোনো অনির্দিষ্ট দেবতাকে প্রার্থনা কেবল মুখে জানিয়ে তৃপ্ত হতে বা নিশ্চিত হতে পারত না; সে ‘বৃষ্টি দাও’ বলে ক্ষান্ত হচ্ছে না; সে বৃষ্টি সৃষ্টি করতে, ফসল ফলিয়ে দেখতে চলেছে।…এখনকার মানুষ এ-রকম বিশ্বাস করে না, ব্রতও করে না।
ব্রত হলো মনষ্কামনার স্বরূপটি। আলপনায় তার প্রতিচ্ছবি, গীতে বা ছড়ায় তার প্রতিধ্বনি; এবং প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তার নাট্যে নৃত্যে; এক কথায়, ব্ৰতগুলি মানুষের গীত কামনা, চিত্রিত বা গঠিত কামনা, সচল জীবন্ত কামনা।

ব্রতের স্বরূপটিকে বোঝাবার জন্যে কী অসামান্ত বর্ণনা আকারে যতো ক্ষুদ্রই হোক, না কেন, অবনীন্দ্রনাথের “বাংলার ব্ৰত” ভারতীয় সংস্কৃতির ব্যাখ্যায় মহামূল্যবান গ্রন্থ। কিন্তু সেই সঙ্গেই এ-কথাও মনে রাখা প্রয়োজন যে, অবনীন্দ্রনাথের এমন অপরূপ বর্ণনাও একদিক থেকে অসম্পূর্ণ। কেননা, আধুনিক যুগের সঙ্গে ব্রতের যুগের ওই মৌলিক প্রভেদকে স্বীকার করা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তিনি আধুনিক শিল্পীর অভিজ্ঞতা দিয়েই ব্রতের শিল্পকে ব্যাখ্যা করতে চাইছেন(৩৯৬):

অতৃপ্তির মাঝে মন দুলছে—এই দোলাতেই শিল্পের উৎপত্তি। কামনার তীব্র আবেগ এবং তার চরিতার্থতা—এ দুএর মাঝে যে একটা প্রকাণ্ড বিচ্ছেদ, সেই বিচ্ছেদের শূন্য ভরে উঠেছে নানা কল্পনায়, নানা ক্রিয়ায়, নানা ভাবে, নানা রসে।…মনের এই, উন্মুখ অথচ উংক্ষিপ্ত নয়, অবস্থাটিই হচ্ছে শিল্পের জন্মাবার অনুকূল অবস্থা। এ সময় মানুষ সুন্দর অসুন্দর বেছে নেবার সময় পায়, যেমন-তেমন করে একটা কিছু করবার চেষ্টাই থাকে না।

তাই অবনীন্দ্রনাথের কাছে মূল কথাটা হলো অবকাশ আর অবসরের কথাই। সে-কথা এ-যুগের শিল্পীর পক্ষে সত্য হতে পারে; কিন্তু ব্রতের বেলায় শুধু এইটুকু বললেই হয় না।

গঙ্গা শুকুশুকু আকাশে ছাই—পৃথিবীর চেহারাটা যখন এই রকমের পুড়ে-খাক-হয়ে যাওয়া তখন আষাঢ়ের জলধারার ছবিটিকে মনের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে ওই অর্ধ-অসহায় মানুষগুলি বাঁচবে কিসের ভরসায়, কেমন করে? তাই এতো রকমের আয়োজন,—নৃত্য, নাট্য, আলেখ্য; সবই হলো কামনা-সফল হওয়ার ছবিটিকে বাঁচিয়ে রাখবার আয়োজন। আধুনিক মানুষের আধুনিক অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে ব্ৰতগুলির বিচার করতে গেলে ভুল হতে পারে, মনে হতে পারে সুদীর্ঘ অবসর পাওয়া গিয়েছে বলেই বুঝি শিল্প-সম্ভোগ দিয়ে এই অবসরটিকে মধুর করে তোলবার চেষ্টা চলেছে। কিন্তু তা নয়। আমাদের আধুনিক উৎপাদন-কৌশল অনেক উন্নত হয়েছে। তাই অনিশ্চয়তা কম, উৎকণ্ঠার কারণ কম,—মনের বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখবার আয়োজনে আমাদের অতোখানি মরীয়া হয়ে উঠতে হয় না। কিন্তু ব্রতের জন্ম উৎপাদন-কৌশলের ইতিহাসের যে-পর্যায়ে তার পটভূমি সম্পূর্ণ অন্য রকম : সময়ের ব্যবধানটা সত্যি বলতে, অবসর নয়, তার বদলে যেন বিশ্বাসের পরীক্ষা। কামনা অনেকদিন পর্যন্ত, কোথাও বা একমাস কোথাও বা দু’মাস, অতৃপ্ত থাকছে। শস্যের কামনায় বীজ বোনা আর শস্য ফলা, ফসল পাওয়া— এ দু’-এর মধ্যে সময়ের সুদীর্ঘ ব্যবধান। সে-ব্যবধানের যেন প্রতিটি মুহূর্ত জুড়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা, উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ। এই অবস্থায় মনের শক্তিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কামনা-সফল-হওয়ার ছবিটিকে চোখের সামনে তুলতে দেখা দরকার। আর তা দেখবার জন্যেই ব্রতের মধ্যে অতো রকমের আয়োজন—নৃত্য, নাট্য, আলেখ্য। এগুলিকে তাই সুদীর্ঘ অবসরকে বিনোদিত করবার কৌশল মনে করলে ভুল করা হবে; তার বদলে এগুলি হলো সুতীব্র অনিশ্চয়তা-বোধের হাত থেকে আত্মরক্ষার আয়োজন, মনের বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখবার কৌশল,—আর সেইদিক থেকেই জীবন-সংগ্রামের অঙ্গ।

জীবন-সংগ্রামের অঙ্গ কেন? নৃত্যে, নাট্যে, আলেখ্যে ওইভাবে কামনা সফল হওয়ার ছবিটিকে ফুটিয়ে তুলতে পারলে সত্যিই কি বাস্তব পৃথিবীকে প্রভাবিত করা যাবে নাকি? প্রত্যক্ষভাবে নিশ্চয়ই নয়, তবুও পরোক্ষভাবে নিশ্চয়ই। শস্যের কামনায় ব্রত করলেই যে প্রকৃতি শস্যময়ী হয়ে উঠবে, তা নয়। কিন্তু প্রকৃতিকে শস্যময়ী করবার কাজে যারা কোমর বেঁধেছে তাদের বুকের বল অনেকখানি বেড়ে যাবে আর ওই নতুন উদ্দীপনায় নির্ভর করে তারা যখন সত্যিই ফসল ফলাবার কাজে অগ্রসর হবে তখন তারা আরো ভালো করে ফসল ফলাতে পারবে। তাই ওই ব্রতের দরুনই প্রকৃতির উপর একটা পরোক্ষ প্রভাব এসে পড়েই, আর এইদিক থেকেই ব্ৰত সেই অর্ধঅসহায় মানুষগুলির কাছে বাস্তব জীবন-সংগ্রামের অঙ্গই।

 

কামনা আর কামনা-সফল-হওয়ার মাঝখানে যে অনিশ্চয়তার ব্যবধান তা সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে কৃষি-বিদ্যার প্রাথমিক পর্যায়েই। তাই এই পর্যায়েই কামনা-সফল-হওয়ার কল্পনা দিয়ে ব্যবধানটিকে ভরাট করে তোলবার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। নকলের সাহায্যে কামনা-সফল-হওয়ার কল্পনাকে ফুটিয়ে তোলাই হলো জাদুবিশ্বাসের প্রাণবস্তু। তাই কৃষিবিদ্যার প্রাথমিক পর্যায়েই জাদুবিশ্বাসের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। শিকারজীবী পর্যায়ের চেয়ে বেশি : শিকারী যা চাইছে, যা কামনা করছে, তা বাস্তব পৃথিবীতেই রয়েছে—অন্তত ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে তার নাগাল পাওয়া যায়। পশুপালন-জীবী পর্যায়ের চেয়ে বেশি : পশুরা মাঠে চরে, ঘাস খায়, বংশবৃদ্ধি করে। কিন্তু কৃষিবিদ্যা আবিষ্কারের প্রাথমিক অবস্থায় তা নয় : বীজ থেকে শস্য কেন জন্মায় তা জানা নেই, জানা নেই মাটির রহস্য। কিংবা, যদিই বা-জানা থাকে তাও একান্ত অস্পষ্ট ও একান্ত প্রাথমিক ভাবেই। অপরপক্ষে, মানুষ এ-অবস্থায় যা চাইছে তা মানুষের চোখের সামনে নেই, তাকে চাওয়া আর তাকে পাওয়ার মধ্যে শুধুমাত্র সময়ের ব্যবধান নয়,–শুধু সুদীর্ঘ অবকাশ নয়,–অনেক আর প্রায় অসম্ভব অনিশ্চয়তাও। এ-কাজ তাই ঢের বেশি কঠিন, এ-কাজের জন্যে তাই মনের বল প্রয়োজন অনেক বেশি, মনের বিশ্বাসকে জাগিয়ে রাখবার আয়োজন দরকার নানান রকম।

পশুপালনের সঙ্গে তুলনা করে কৃষি-আবিষ্কার প্রসঙ্গে অধ্যাপক জর্জ টম্‌সন(৩৯৭) বলছেন :

So long as they have pasture, cattle feed and breed of themselves, but by comparison with cattle-raising the work of tilling, sowing and reaping is slow, ardous and uncertain. It requires patience, foresight, faith. Accordingly, agricultural society is characterised by the extensive development of magic.
চরবার জমি যতোক্ষণ আছে ততোক্ষণ পালিত-পশুর দল নিজেরাই চরে খাবে এবং সংখ্যায় বাড়বে। কিন্তু পশুপালনের তুলনায় জমি কোপানো, বীজ বোন আর ফসল কাটার কাজ অনেক মন্থর, কঠিন, অনিশ্চিত। অতএব তার জন্যে দরকার ধৈর্য, দূরদৃষ্টি, বিশ্বাস। কৃষিভিত্তিক সমাজে তাই জাদুবিশ্বাসের অনেক ব্যাপক বিকাশ।

কৃষিবিদ্যার প্রাথমিক স্তরের ধ্যানধারণাগুলিকে বুঝতে হলে তাই সর্বপ্রথম প্রশ্ন তোলা দরকার, এই জাদুবিশ্বাস এবং জাদুবিশ্বাস-মূলক অনুষ্ঠানাদির মূল কথাটা কী?

———————
৩৯৩. R. Briffault op cit. 3:2-3.

৩৯৪. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর : বাংলার ব্রত ৬৪-৫ ।

৩৯৫. ঐ ৫৭।

৩৯৬. ঐ ৬৩।

৩৯৭. G. Thomson AA 21-2.