না পারলেও পুনর্বার ভেবে দ্যাখো তুমি

না পারলেও পুনর্বার ভেবে দ্যাখো তুমি
ইন্দ্রিয়ের কাছে জেনে নাও কি কোরে পূনর্মিলন হবে আমাদের–বলে
সে নিজেই মধ্যাহ্নের খরতাপে ছুঁড়ে দিল প্রিয় রমণীর মতো একটি
গোলাপ ও সিগ্রেট
অশ্রু নির্মিত সরোবরে
আরেকটি পদ্মের ঠিক হৃদয়ের মাঝখানে

তুমুল অগ্নিপ্রপাতের দিনে পাশাপাশি যেতে যেতে
একজন মায়াবী মহিলার কাছে শব্দের তোরণ খুলে দিয়ে
আভুমি নতজানু হয়ে
তাকালে নয়নে সখা তাকালে নীলিমায়

।। দুই।।
এই ভাবেই হোকনা শুরু এই ভাবেই হোকনা শেষ —
জীবনের সজল পল্লব জয় করবার ইচ্ছায় চকিতে উড়াও
কামিনী ডালের পাখিদের, আঙিনার পায়রা, ভোরের পবন,
শ্রাবণের মেঘ মেলা, আমাদের প্রিয়তম সুন্দরীতমারে!

না পারলেও পুনর্বার ভেবে দাখো তুমি; ভেবে দ্যাখো
সরোবরের পদ্মপাতার ফাঁকে অমল জ্যোৎস্নার লকোচুরি
নর্তকী অমরাবতীর সোনালী যৌবন
সুবর্ণ পদাবলীর কোমল হৃদয়
পার্কের বিকেল বেলায় খুনসুটি
চুলের নিবাসে রজনীগন্ধার বসবাস—এইসব দেখা ও পাওয়া
বুঝি সব ব্যথা যাবে
বৃথা যাবে অন্ধকারে দুজনে মুখোমুখী বসিবার?

[কবিতার দুটো লাইন এলিয়ট এবং জীবনানন্দের কাছ থেকে ধার নেয়া]

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *