1 of 2

চিলেকোঠার সেপাই – ৪৮

চিলেকোঠার সেপাই – ৪৮

সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় মকবুল হোসেনের ঘরের সামনে আনোয়ার ১টি জটলা দেখতে পায়। ভেতরে মকবুল হোসেনের স্ত্রীর একটানা কান্না। আবু তালেবের মৃত্যুর পর থেকে মহিলার কান্না অবশ্য প্রায়ই শোনা যায়, কিন্তু এরকম হাউমাউ কান্না অনেকদিনের জন্য স্থগিত ছিলো। রোগা ১টি লোক দরজায় দাঁড়িয়ে অনুপস্থিত কাউকে লক্ষ করে গালগালি করছে। এই লোকটা হলো মকবুল হোসেনের বোবা মেয়ের স্বামী, আনোয়ার একে চেনে না। আলাউদ্দিন মিয়াও আছে, আনোয়ারকে দেখে তার মেহেদি-রাঙানো আঙুলগুলো নাচাতে নাচাতে এগিয়ে আসে, আপনে আসছেন? দোস্তোরে রাইখা কই কই বিপ্লব কইরা বেড়ান? আপনের দোস্তো আমার বাড়ির ছাদে মানুষ খুন করে।’
কি? কি হয়েছে?
আপনার দোস্তো মকবুল সাবের পোলার খুন করার এ্যাটেম্পট লইছিলো।
এ্যাঁ? কাকে? কে খুন করলো?
রঙ্গুরে খুন করতে গেছিলো আপনাগো পাগলাটা! আপনারে কইয়া দিলাম, আপনে তো উনার গার্জিয়ান, আপনে ঘর দ্যাখেন। পাগল ছাগলরে বাড়িতে রাখতে পারুম না। আমার আর ভাড়াইটাগো সিকিউরিটির রেসপনসিবিলিটি তো আমার ঘাড়েই। আপনে ঘর দ্যাখেন।
আরে, হলোট কি বলবেন তো!
নিজেই গিয়া দ্যাখেন। আপনের দোস্তের ঘরে আরো মানুষ আছে। খালি আমার বাড়ি, নাইলে এতোক্ষণ দারোগ পুলিস মিলিটারি আইয়া পাগলা খুনীটারে আর আমান রাখতো না!
শোনেন, পাগলা হোক আর যাইহোক, আমার দোস্তো ভাড়া দিয়ে থাকে। বললেন আর ভাড়াটে উঠে গেলো, অতো সহজ নয়!
আলাউদ্দিন মিয়া রাগে ও অপমানে এবং এর চেয়ে ও বেশি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। সামলে নিয়ে চিৎকার করে ওঠে, আরে যান যান ইচ্ছা করলে অক্ষণ, এই মুহূর্তে উঠাইয়া দিবার পারি। ছাদের উপরে থাকবার দিছি, মানুষ খুন করবার চায়, তার হইয়া লেকচার দিবার লাগছে। ঐগুলি লেকচার আপনাগো পার্টির মইদ্যে কইরেন। আমার বাড়িতে খাড়াইয়া আমারে বেইজ্জত করে আলাউদ্দিন মিয়া উত্তেজনা ও রাগে রীতিমতো কাপে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কাপে, এর মধ্যে আনোয়ার উঠে যায় ওসমানের ঘরে।
ঘরে করমালি, পারভেজ, দোতলার ১ভাড়াটে এবং জুম্মন। চিৎ হয়ে শুয়ে রয়েছে ওসমান। জুম্মন ছাড়া বাকি ৩ জন একসঙ্গে কথা বলতে শুরু করলে আনোয়ার শাসনের ভঙ্গিতে বলে একজন। একজন কথা বলেন। পারভেজ তখন জানায় যে সকালে মকবুল হোসেন এসেছিলো ওসমানের কাছে বিদায় নিতে, সঙ্গে ছিলো পারভেজ।-বিদায়? বিদায় নেবে কেন? —মকবুল হোসেন তো এই বাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে, ভোরবেলা বেড়িয়েছিলো, চেনাজানা সবাইকে বলতে গিয়েছিলো, তা পারভেজের ওখানে গেলে সে আবার অন্য সব প্রতিবেশীদের বাড়ি যাবার সময় মকবুল হোসেনকে সঙ্গ দেয়। মকবুল সাহেব এখানে কতোদিন থাকলো, বেচারার বড়ো ছেলেটা মারা গেলো এখানে থাকতেই। আহা! তালেব কি ভালো ছেলেই ছিলো!
হ্যাঁ, তা হলোটা কি? আনোয়ারের অধৈর্য দেখে দোতলার ভাড়াটে কথকের ভূমিকা নেওয়ার উদ্যোগ নেয়, মকবুল সায়েবের ছোটো ছেলেটারে ওসমান সায়েব গলা টিপ্যা ধরছিলো। এক্কেরে তুইলা না ধইরা– ‘
কিন্তু দোতলার এই ভাড়াটের ওপর ওসমান বিরক্ত, তাই পারভেজকেই জিগ্যেস করে, রঞ্জকে ওসমান মারবে কেন?
পারভেজ এবার তার কাহিনী বর্ণনার নিজস্ব ভঙ্গি অনুসরণ করে। মকবুল হোসেনের সঙ্গে তার ছেলেও ওসমানের ঘরে এসেছিলো। ওসমান ছিলো একা, করমালি গিয়েছিলো নিচে ওসমানের জন্য নাশতা কিনতে। ওসমানের তখন কথাবার্তা প্রায় স্বাভাবিক। মকবুল হোসেনকে বসবার জন্য সে চেয়ার এগিয়ে দেয়। তবে মকবুল হোসেনের এই বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত শুনে সে অবাক। মকবুল হোসেন তখন বাড়ি ছাড়ার কারণ জানায়। বিয়ে করে এই বাড়ির মালিক হয়েছে আলাউদ্দিন মিয়া। শ্বশুর তার পক্ষাঘাতে পড়ে আছে বলে যাবতীয় কাজকর্ম ও সম্পত্তি দাখাশোনার দায়িত্ব পড়েছে তার ওপরেই। লোকটা সংস্কারপন্থী, পুরনো ব্যবস্থা সে কিছুকিছু পাল্টাতে চায়। বাড়িভাড়ার ব্যাপারেও তাই। ভাড়া বাড়িয়েছে দেড়গুণ। এমন কি মকবুল হোসেন নিজেও এই ভাড়াবৃদ্ধি অনুমোদন করে। মার্শাল ল হওয়ায় খাজনা-ট্যাক্সের ব্যাপারে খুব খুব কড়াকড়ি চলছে, কোথাও ফাকি দেওয়ার জো নাই।
আরে ভাই, ভাড়া বাড়াচ্ছে এ তো আমিও জানি। কয়েকদিন আগে ওসমানের ভাড়া দিলাম, এর ভাড়া তো ডবল করে দিয়েছে। আপনি আসল ব্যাপারটা বলেন না!
আনোয়ারের ধৈর্যচ্যুতিতে পারভেজ বিব্রত হয়ে একটু সংক্ষেপ করার চেষ্টা করে। তবে সংক্ষিপ্ত হওয়া তার স্বভাবের বাইরে। সুতরাং তাকে জানাতে হয় যে কিছুক্ষণের মধ্যে ওসমান অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে, মকবুল হোসেনের কথায় সে আদৌ কান দিচ্ছিলো কি-না সন্দেহ। সে তাকিয়েছিলো ছাদের দিকে। ছাদের রেলিঙে ভর দিয়ে রন্থ তখন পাড়াটাকে ভালো করে দেখে নিচ্ছে। রভুকে দেখতে দেখতে ওসমান বিড়বিড় করে, আরে খিজির, দাঁড়াও দাঁড়াও, আমি আসছি। আমি নিজেই পারবো, তুমি যাও না। দাখো না আমি একই পারবো। তো পারভেজ ওর স্বগতোক্তিকে আমল দেয় না, জীন পরিভর করলে মানুষ কতো কি বলে, ওসমান তো বেশ কিছুদিন থেকে শূন্যের ভেতর কাকে যেন দেখতে পায়, এ আর নতুন কি হলো? আরে খিজির রাখে রাখো, মেরো না। ওটাকে আমার ওপর ছেড়ে দাও। বলতে বলতে ওসমান ছাদে চলে যায়। করমালি ততোক্ষণে কাঁঠালপাতার ঠোঙা হাতে ফিরে এসেছে। ওর পেছনে পেছনে ঘরে ঢোকে জুম্মন। ওসমানের নাশতা দেবে বলে করমালি টেবিলে প্লেট রাখছে, পারভেজ জুম্মনকে বলছে, কি রে ব্যাটা, তোর খবর কি? পারভেজের অনুরোধে মকবুল হোসেন ১টা কাগজে তার নতুন ঠিকানা লিখছে, এমন সময় ছাদ থেকে ধ্বস্তাঞ্চস্তির আওয়াজ আসে। কি হলো? না, রঞ্জকে জাপটে ধরে ওসমান তার মুখে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করছে। ওসমান চিৎকার করে বলছিলো, রঞ্জ, এই শেষবার ফাইনাল। বিদায়? পারভেজ ও করমালি ছুটে যেতে সে রঞ্জুর ঠোঁট কামড়ে একটুখানি মাংস ছিঁড়ে নেয় এবং খু করে তাই ছুড়ে ফেলে রঞ্জুর মাথায়। তারপর রঞ্জকে পাঞ্জাকোলা করে তুলে তাকে রেলিং ডিঙিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু রেলিং সেখানটায় উঁচু, বদিকে নিতে পারলে ছুড়ে ফেলাটা সহজ হয় বলে রঞ্জকে সে হিচড়ে টেনে নিচ্ছিলো বঁদিকেই। পারভেজ ও করমালি দৌড়ে গিয়ে তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। দোতলার ভাড়াটেও তাদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে, মোটা লোকটা ওসমানরে বা পায়ের লাথি খেয়ে ছিটকে পড়ে চিলেকোঠার দরজায়।
এদিকে ওসমান ততোক্ষণে বুঝতে পেরেছে যে ঐ উঁচু রেলিং পার করে রঞ্জকে নিচে ফেলা অসম্ভব এবং করমালি ও পারভেজ রঞ্জকে কিছুঁতেই বাঁদিকে টেনে নিতে দেবে না। তখন ওসমান করলো কি রঞ্জুর মাথাটা ঠুকতেই লাগলো রেলিঙের সঙ্গে। ২হাত দিয়ে রঞ্জুর মাথা জড়িয়ে ধরে ওসমান ঠকাস ঠকাস করে ঠোকে আর বলে, আর তোমার রক্ষা নেই। খিজিরের কাছে আমি প্রমিজবাউণ্ড, আমি ওকে কথা দিয়েছি আজ সব চুকিয়ে দেবো। রঞ্জুর মাথার পেছনদিক থেকে রক্ত পড়তে থাকে, পারভেজ ও করমালি সীমাহীন শক্তি প্রয়োগ করে ওসমানকে সরিয়ে দেয়। রঞ্জুর অজ্ঞান শরীর ধপাস করে পড়ে গেল ছাদের ওপর এবং তাই দেখে মকবুল হোসেনের অবস্থা হয় অধিক-শোকে-পাথর গোছের। ওসমান সেই সময় আকাশের দিকে চিৎকার করে ওঠে, ফিনিশ করে দিলাম। খিজির, দেখলে তো? এবার চলো! পারভেজ কিংবা করমালি কেউই এইসব কথার মানে বুঝতে পারেনি। আনোয়ার কি বলতে পারে?
কিন্তু আনোয়ারের উদ্বেগ এখন অন্য ব্যাপারে, রঞ্জুর অবস্থা এখন কেমন?
বেটার। খবর পেয়ে আলাউদ্দিন সায়েব এলেন। উনি আবার লোক পাঠিয়ে ডক্টর নিয়ে এলেন। ডক্টর শুনে পাঠিয়ে দিলো মিটফোর্ড। মাথায় চোট লেগেছে তো, হসপিটালে দু’চারদিন থাকতে হতে পারে।’
আনোয়ার এবার দ্যাখে ওসমানকে, এরও তো কপালে রক্ত, ঠোঁটেও রক্ত। আলাউদ্দিন মিয়া এসে রাগের মাথায় মুখে একটা ঘুষি দিয়েছিলো, আবার রঞ্জুর বড়ো বোনের হাজব্যান্ড এসেছিলো, ওসমানের কপালে সে-ও একটা রো লাগায়। তবে মনে হয় খুব চোট পায়নি।
আনোয়ার একটু রাগ করে, এ বেচারা অসুস্থ লোক, একে এভারে মারে? আপনারী কিছু বললেন না?
না, না, আলাউদ্দিন সাহেবের ওপর আপনে খালি খালি রাগ করছেন। রঞ্জু খুন হয়েছে বলে রিউমার রটে যাওয়ায় রাস্তায় মেলা লোকের ভিড় জমে গিয়েছিলো। উনি খবর পেলেন তো এসে সবাইকে হটিয়ে দিলেন। রঞ্জুর দুলাভাই খুব হৈচৈ করছিলো কে পুলিসে খবর দেবে, মিলিটারি নিয়ে আসবে। উনি তো সব সামলাবেন। উনার কথা হলো কে, আমার ভাড়াটে, যা করার আমি করবো!
উনি কি ভাড়াটেদের প্রজা ভাবেন না কি?
আনোয়ারের রাগ দেখে পারভেজ অবাক হয়, উনারে বেবি ট্যাকসি নিয়ে আমি আর মকবুল হোসেন সাহেব আর রঞ্জুর দুলাভাই মিটফোর্ড গেলাম। আবার ঐ ট্যাকসিতে রিটার্ন করলাম। আলাউদ্দিন সাহেব— ।
আলাউদ্দিন মিয়ার কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে আনোয়ার প্রসঙ্গ পাল্টায়, ‘তো ওসমান ঘুমিয়ে পড়লো কখন? ইঞ্জেকশন দিয়েছিলো কে, করমালি।
ঐ চ্যাংড়াক এই ঘর থাকা সরাবার সাথে সাথে ওসমান ভাইজান বিছনাত শুইয়া পড়লো। করমালি বলে, আজব কথা ভাইজান। এতো হৈচৈ, তাক নিয়ে এতো টানা হ্যাঁচড়া, তার কপালেত রক্ত, ঠোঁটেতে রক্ত, শুইয়া তাই হাসে।
হাসলো?
হ্যাঁ। হা হা করা খুব হাসলো, হামি কি করমু দিশা পাই না, দেখি, হাসতে হাসতে ঘুমাইয়া পড়লো। এক ঘড়ির মধ্যে তার নাক ডাকা আরম্ভ হলো
কোনোরকম গোলমাল করেনি? তোমাকে মারধোর করার চেষ্টা করেছিলো?
না ভাইজান হাসতে হাসতে কিবা কথা কলো–।
কি বললো?
কথা কিছু বোঝা যায় না।
ওসমানের পাশে বসে আনোয়ার শিউরে উঠলো। রঞ্জকে ওসমান যদি সত্যি সত্যি মেরে ফেলতো। রঙুর ওপর ওর এতো রাগ কেন? ডাক্তারের সঙ্গে পরবর্তী এ্যাঁপয়েন্টমেন্ট বোধহয় পরশু। আনোয়ার ডাক্তারকে এই ঘটনাটা কিভাবে বলবে?
করমালি বলে, নিন্দ পাড়ক। আহারে, মানুষটা কতোদিন দুই চোখের পাতা এক করবার পারে নাই!
বিকাল ৫টায় মকবুল হোসেন এই বাড়ি ছেড়ে, এই পাড়া ছেড়ে সপরিবারে রওয়ানা হলো জিন্দাবাহার সেকেন্ড লেনের দিকে। আলাউদ্দিন মিয়াকে এখানে অনেকেই খুব ধরেছিলো, বেচারাদের আর কটা দিন সময় দেওয়া হোক। কিন্তু ৪টের আগেই নতুন ভাড়াটের মালপত্র এসে গেছে। সব ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাহ করে তাদের আসবাবপত্র দ্যাখে। এতো সব চেয়ার টেবিল খাট আলমারির মালিক এখানে বাস করতে এলো কোন দুঃখে? একটু ভালো এলাকায় বাড়িভাড়া নিশ্চয়ই আরো বেড়েছে, নবাগত লোকটিকে তাই হয়তো একটু নিচে নামতে হলো। ১বছরের মধ্যে আলাউদ্দিন মিয়া যদি আরেক প্রস্থ বাড়ায়?-এই ভয়কে এড়াবার জন্য সবাই নতুন ভাড়াটের ছেলেমেয়েদের চেহারা ও তাদের কথাবার্তার খুঁত ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে মকবুল হোসেনকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেও আলাউদ্দিন মিয়া তাদের নানাভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যেমন, মিটফোর্ড হাসপাতালে তার দাপট খাটিয়ে রঞ্জুর দ্রুত নিরাময়ের ব্যবস্থা করবে। দরকার হলে তার দলের কযেকজস কর্মী পাঠিয়ে ডাক্তার নার্সদের তটস্থ করে রাখবে।
লটবহর নিয়ে ঠেলাগাড়ির সঙ্গে গেলো মকবুল হোসেন। ১টি রিকশায় রানু ও রানুর মা। আনোয়ার ছাদের রেলিঙে ঝুঁকে তাদের দেখলো। চোখ মুছতে মুছতে রানুর মা বারবার ওপর দিকে তাকাচ্ছিলো। রানুও তাকিয়েছিলো ১বার। দিন বড়ো হচ্ছে, বিকাল ৫টাতেও রানুর চুলে রোদ পড়েছে, কিন্তু তার মুখের ওপর বিকালবেলার ছায়া। রানুর মুখ কাপশা। আনোয়ার স্পষ্ট করে মেয়েটিকে দেখতে পারলো না।
ঘরের ভেতর এসে দ্যাখে করমালি কেতলি করে চা নিয়ে এসেছে। বিছানায় উপুড় হয়ে ঘুমাচ্ছে ওসমান, তার মুখ বালিশে গোজা। তার গেঞ্জিতে পিঠের বাদিক ঘেঁষে একটা ফুটো। আনোয়ারের মাথা দুলে ওঠে রঞ্জুর দুলাভাই বা আলাউদ্দিন মিয়া যদি ওসমানের পিঠের এই জায়গাটায় একটা ৬্যাগার বসিয়ে দিতো রাগের মাথায় লোকে কি না করতে পারে? হঠাৎ মনে হয় শালা ঘুম যেন ডাগার হয়ে গাথা রয়েছে ওসমানের পিঠে, এই ঘুম থেকে তার আর পরিত্রাণ নাই।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *