নয় জুলাই, শনিবার
আজ দুটো ভাল খবরের দিকে চোখ পড়ল সকালবেলাতেই। আজ থেকে বামফ্রণ্টের প্রতিরোধ পক্ষ শুরু হচ্ছে। দাবিগুলো হচ্ছে, ঘাতক দালাল যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচার, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ, নারী অধিকার, শিক্ষাস্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কর্মসূচী, মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে মৌলবাদী ফতোয়াবাজদের আক্রমণ প্রতিরোধ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এর খবরদারি বন্ধ, গ্যাট চুক্তি, কালো আইন কালো টাকার দৌরাত্ম্য বন্ধ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধ, শিল্প কৃষি রক্ষা, শ্রমিক কৃষকসহ শ্রেণী পেশার ন্যায্য দাবি আদায় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। এক এক দিন, বামফ্রন্ট ঘোষণা দিয়েছে, এক এক জায়গায় সভা করবে। বেশ ভাল।
দ্বিতীয় খবরটি নিউইয়র্ক টাইমসএর সম্পাদকীয়। মৌলবাদীদের কাছে বাংলাদেশ সরকারের আত্মসমর্পণ লজ্জার কথা। সম্পাদকীয়টির শিরোনাম মৃত্যুর মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা। লেখা হয়েছে, তসলিমা নাসরিনের লজ্জা এবং সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তার কথিত অবমাননাকর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সে দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি ফুঁসে ওঠে। ঐ শক্তি লেখিকার ফাঁসি দাবি করে। এমনকি একজন ধর্মীয় নেতা তাঁর খণ্ডিত মুণ্ডুর জন্য আড়াই হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। উগ্রপন্থী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী তসলিমা নাসরিনের নারীবাদী মতামতকে ইসলাম ধর্মের সরাসরি অবমাননা বলে মন্তব্য করে। সরকার সাম্প্রদায়িক শক্তির দাবি অনুযায়ী তাঁর লজ্জা উপন্যাস নিষিদ্ধ করে। সম্প্রতি একটি আদালত লেখিকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার ফলে লেখিকা আত্মগোপন করেন।
আমার ঘটনার সঙ্গে সালমান রুশদির ঘটনার তুলনা করা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসে। সালমান রুশদির ঘটনাটি ফতোয়ার ঘটনা ছিল, একটি বই ছিল সে ঘটনার মূলে। পশ্চিমা সাংবাদিকরা এখানেও একই দৃশ্য দেখতে চাইছেন। কিন্তু দৃশ্য এক নয়। লজ্জা বইটির ঘটনা অনেক আগেই ঘটে গেছে। সরকার সে বই নিষিদ্ধ করেছে মাত্র। লজ্জার সঙ্গে আমার মাথার মূল্য ধার্য করা বা আমার ওপর ফতোয়া জারির ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। আর এখন দেশ জুড়ে যে তাণ্ডব চলছে, এর সঙ্গে লজ্জা বা ফতোয়ারও কোনও সম্পর্ক নেই। একটি ঘটনা আরেকটি ঘটনা ঘটাতে ইন্ধন যুগিয়েছে বলা যায়, কিন্তু কোনও কারণ যোগায়নি। নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় মন্তব্যে বলা হয়, ‘আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই বিশেষ মুহূর্তে মুক্ত চিন্তা চেতনা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নির্বাক করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইরানের তৎকালীন ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি সে সময় ইসলামী বিপ্লবোত্তর নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার অস্ত্র হিসেবে দি স্যাটানিক ভার্সেসকে ব্যবহার করেন।’ মিশরের একজন মানবাধিকার কর্মীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘মিশরে শিল্পী ও লেখকদের মৌলবাদীরাই শুধু নাস্তিক বলে না, সাংসদরাও এই উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সুর মেলায়।’ সম্পাদকীয়তে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাছে বাংলাদেশের সরকারের আত্মসমর্পণকে এক কথায় লজ্জা বলে অভিহিত করা হয়েছে। পরিশেষে লেখিকার নিরাপদ দেশত্যাগ নিশ্চিত করতে নরওয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করে নিউইয়র্ক টাইমস।
এই হল খবর।
দুপুরে খাবার নিয়ে আজও রুমানা এলেন। ঙ এলে রুমানা গেলেন। ঙ আমার জন্য কাগজে মুড়ে প্যাকেটে ভরে একটি জিনিস এনেছেন। জিনিসটি তিনি আমার হাতে দেন না। আমাকে তিনি আয়নার সামনে নিয়ে দাঁড় করালেন। তিনি পেছনে দাঁড়িয়ে প্যাকেট থেকে জিনিসটি বের করে আমার মাথায় পরিয়ে দিলেন। পিঠ অবধি পড়ছে লম্বা কালো চুল, নকল চুল। ঙ হেসে বললেন, ‘বাহ, দেখেছো, কোনও উপায় নেই তোমাকে চেনার। মুখে আরও রং লাগিয়ে দিলে আরও চেনা যাবে না।’ ঙ আমার জন্য উপহার এনেছেন নকল চুল। ভয়ে আমার চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসে। তবে কি আমাকে পালিয়েই যেতে হবে দেশ থেকে! আর কোনও উপায় নেই বেঁচে থাকার!
ধরা গলায় বলি, কোত্থেকে পেয়েছেন এটি?
কিনেছি।
জানি, জেনেও জিজ্ঞেস করি, কেন কিনেছেন চুল?
ঙ বললেন, ইন কেইস।
আমি তো চোরের মত পালাবো না। আমি এই চুল পরব না কোনওদিন। যা হয় হবে। গলায় আমার কান্না, ক্রোধ, লজ্জা, ভয়।
ঙ কারও সঙ্গে রঙ্গ করার লোক নন। দেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের তিনি একজন। গম্ভীর মানুষ। ভেবে চিন্তে কথা বলেন। যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ রচনা করেন। ঙ একটি লম্বা চুল কিনে এনেছেন আমার সঙ্গে মজা করার জন্য নয়। চিন্তাবিদ হিসেবে তাঁর সুনাম এ দেশে অনেক। যারা চেনে তাঁকে, তিনি সামনে পড়লে তারা মাথা নুয়ে হাঁটে। তিনি যখন নকল চুল এনেছেন, নিশ্চয়ই ভেবে এনেছেন। কর চেয়ে অনেক বয়স্ক তিনি। অভিজ্ঞতা তাঁর অনেক। ঙর পরামর্শ ছাড়া ক এখন কোনও কাজ করেন না। ক আইন নিয়ে ভাবেন, নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন আমার উকিলের সঙ্গে। ঙ ভাবেন সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে। আমার সারা গায়ে লতিয়ে লতিয়ে একটি ভয় উঠে আসে। মাথা নুয়ে বসে থাকি। সামনে চুল।
আজ রাতে ট ফিরবেন না বাড়িতে। তাই ক তাঁর গাড়িচালক বন্ধুকে নিয়ে এখানে চলে এসেছেন। রাতে থাকবেন। ক লিফলেটটি দেখালেন, যেটি ছেপেছেন। শহরে হাজার হাজার লিফলেট ছড়িয়ে দিয়েছেন। দু পৃষ্ঠায় ছাপা এই লিফলেট। দুপৃষ্ঠাতেই স্কেচ আছে। মেয়েরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। আর একদিকে কটি টুপিদাড়িঅলা লোকের স্কেচ, তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা, যে সকল বেপর্দা মহিলা কাজ করিয়া আয় করে তাহারা কাফের। আরেকটিতে লেখা মহিলাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া! ইসলাম অমান্য করার সাহস কার? লিফলেটটির ওপরে লেখা নারী পুরুষ এক হও, নিচে লেখা ফতোয়াবাজদের প্রতিরোধ কর/ সচেতন দেশবাসী। ভেতরে আমার টুকরো টুকরো স্লোগানগুলো।
ফতোয়াবাজি দূর না হলে নারী মরবে ঘরে ঘরে
ফতোয়াবাজির ধ্বংস ডাকো সুস্থ সবল অন্তরে।
নারীর জন্য নিরাপত্তা, বেঁচে থাকার সমাজ চাও?
ফতোয়াবাজির কালো থাবা ভেঙে তবে গুঁড়িয়ে দাও।
মোল্লাদের মিশন কি? রগ কাটার রাজনীতি।
দেশ বানিয়ে গোরস্থান আনবে তারা পাকিস্তান।
টারগেট ওদের স্পষ্ট খুব, আজ তসলিমা, কাল আমি
রুখতে ওদের না পারলে প্রগতিবাদীর বোকামি ।
তসলিমাকে ছোবল দিচ্ছে মৌলবাদী সাপ
সময় আছে হঠাও এদের, একাত্তরের পাপ
সুযোগ বুঝে সমাজটাকে ধ্বংস করে যাবে।
মুক্তি কারো নাই,
এই সাপই কিন্তু আজ আমাকে, কাল তোমাকে খাবে।
এরা নিচ্ছে একাত্তরে পরাজয়ের শোধ
জাগো মানুষ রুখে দাঁড়াও, এদের কর রোধ।
ধর্ম নিয়ে মাতম করা অধার্মিকের ছল,
এদের এখন মুখোশ খোল,
দেশের সব বিবেকবান যুক্তিবাদী দল।
ক মৌলবাদ বিরোধী আন্দোলনে খুবই ব্যস্ত, তা আমি অনুমান করি। বন্ধুটির সঙ্গে তিনি আরও লিফলেট পোস্টার ইত্যাদি ছাপার কথা আলোচনা করলেন। কিভাবে লিফলেট বিলি হবে, কে কখন পোস্টার সাঁটবে দেয়ালে, সব তিনি হিসেব করে নিচ্ছেন। ক র এই উদ্দীপনা আমাকে মুগ্ধ করে। আমাকে যদি আজ লুকিয়ে থাকতে না হত, আমিও হতে পারতাম আন্দোলনের একজন, লিখতে পারতাম শক্ত শক্ত কলাম।
ক কে বলি ঙর দেওয়া আনা পরচুলার কথা। ক জানেন যে ঙ আমার জন্য নকল চুল এনেছেন।
–কিন্তু চুল কেন, আমার কি জামিন হবে না?
ক মাথা নাড়েন, তিনি জামিনের ব্যাপারে কিছু জানেন না।
–ডঃ কামাল হোসেনের সঙ্গে কি আপনার কোনও কথা হয়নি? তিনি কি কোনও আশা দেননি? তিনি তো বলেছিলেন জামিনের জন্য চেষ্টা করছেন। জামিন হবে এরকম তো আশাও দিয়েছিলেন!
ক চুপ করে শুনলেন আমার কথা। তারপর ধীরে, মাথা নেড়ে, বললেন আমাকে শান্ত হতে। বললেন যে আমার উকিল আমাকে কোনও পথ নির্দেশনা দিচ্ছেন না।
সবকিছুই এখন নির্ভর করছে আমার নিজের সিদ্ধান্তের ওপর। কামাল হোসেনকে যদি আমি বলি যে যে করেই হোক আমি এখন জামিন চাইতে যাবো হাইকোর্টে, তিনি কোনও আপত্তি করবেন না। তিনি চেষ্টা করবেন হাইকোর্টে আমাকে দাঁড় করিয়ে জামিনের জন্য আবেদন করতে। কিন্তু কাজটি করা আমার উচিত হবে না। কারণ ওখানে যাওয়ার ঝুঁকিটি বোঝা না গেলেও খুব বড় ঝুঁকি। জামিনের চেয়ে জীবন বড়। এটুকু বলে কিছুক্ষণ থেমে ক আবার বললেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে হাইকোর্টে আমার উপস্থিতি নিরাপদ নয়। সুতরাং আমার উকিল যদ্দিন না নিশ্চয়তা পাচ্ছেন যে আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে জামিন দেওয়া হবে ততদিন তিনি এগোবেন না। তাঁর এগোনো উচিত নয়। জীবনের ঝুঁকি আছে এমন কাজ তিনি করবেন না। যদি আমাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়, জামিনের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া হয় তবেই তিনি ঝুঁকিটি নিতে পারেন। তবেই নেওয়া উচিত। এটুকু বলে, দীর্ঘ একটি শ্বাস ফেলে ক বললেন, আপনার উকিল আপনার জামিনের চেয়ে আপনার জীবনের কথা বেশি ভাবছেন।
আমি পা গুটিয়ে হাঁটুতে থুতনি রেখে বসে থাকি।
ক আর কর বন্ধু রাজনীতির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণে মগ্ন হয়ে ওঠেন। আলোচনায় একটু ওঁরা বিরতি দিলেই আমি জিজ্ঞেস করি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নাকি আমার কথা বলেছেন। নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি কথা বলছেন সরকারের সঙ্গে!
ক বললেন, ওগুলো তো বেশ পজিটিভ দিক। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে শুরু করে বিদেশের হেন কোনও প্রগেসিভ অরগানাইজেশন নেই যে আপনার জন্য আন্দোলন করেনি। তবে লাভ কী হয়েছে? এখন আমেরিকা আর ইউরোপ চাপ দিতে পারে বাংলাদেশকে আপনার মুক্তির ব্যাপারে। কিন্তু মুক্তিটা পাবেন কি করে? বিদেশের পত্রিকায় আপনাকে ডাকা হচ্ছে ফিমেল সালমান রুশদি বলে। কিন্তু আপনার অবস্থা তো সালমান রুশদির মত নয়। সালমান রুশদি ইরানে ছিলেন না। তিনি বৃটেনের মত দেশে ফতোয়া জারির সঙ্গে সঙ্গে হাই সিকিউরিটি পেয়ে গেছেন বৃটিশ গভর্নমেণ্টের কাছ থেকে। আপনি কোথায় বসে আছেন, জানেন? প্রতিদিন এ দেশের লক্ষ লক্ষ লোক আপনাকে খুন করতে চাচ্ছে। আপনি বসে আছেন সবার মাঝখানে। কেবল চারইঞ্চি দেয়ালের আড়াল আপনার আর তাদের মধ্যে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কি করে বাঁচাবে আপনাকে? আপনার দেখা কি করে পাবে? ইউরোপের মন্ত্রীরা আপনার খোঁজ পাবে কি করে? আপনিই বা তাদের সঙ্গে দেখা করবেন কিভাবে? বারো কোটি লোক এ দেশে বাস করে। আপনাকে কি করে উঠিয়ে নেবে কোথা থেকে? এরকম কত লোকের মুক্তির জন্য আমেরিকা ইওরোপের প্রেসিডেন্ট প্রাইম মিনিস্টাররা বলেছে, কিন্তু ওই বলাই সার। বলতে হয় বলে বলা। এতে তো ওদের সত্যিকার কোনও ইন্টারেস্ট নেই। আপনি মরে গেলে ওদের বয়েই গেল। বসনিয়ায় যা হচ্ছে, তা কি কেউ বলে কয়ে ধমক দিয়ে থামাতে পারবে? এ দেশের সরকার মৌলবাদীদের নিয়ে রাজনীতির খেলা খেলতে গিয়ে এখন ফেঁসে গেছে। সরকার এখন গদি বাঁচাবে, আগামী নির্বাচনে জেতার জন্য দেশে পলিটিক্যাল ফিল্ড তৈরি করবে না কি নিজেদের নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা সব ধ্বংস করে আমেরিকার অনুরোধ রক্ষা করবে! আমেরিকা ওরকম সুন্দর সুন্দর অনেক উপদেশ দেয়। মানবাধিকারে বিশ্বাস করে আমেরিকা, তা মানুষকে শোনানোর জন্যই শোনায়। কিন্তু সত্যিই কতটুকু বিশ্বাস করে, তা দেখার বিষয়। দাদাগিরি করতে হয়, তাই করা। যান না এখন অ্যামবেসিতে! আশ্রয় দেবে ভেবেছেন? না, দেবে না। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
ক বলেন, আপনাকে এখন সিরিয়াসলি ডিসিশান নিতে হবে কি করবেন। আরেকটা কথা ভেবে দেখবেন, লুকিয়ে থাকতে আপনি কতদিন পারবেন! নিরাপদে লুকিয়ে থাকার একটা পিরিয়ড আছে। পিরিয়ডটি খুব দীর্ঘ নয়। আপনাকে বাড়ি পাল্টাতে হচ্ছে, যত বাড়ি পাল্টানো হয় তত মানুষ ইনভলভড হয় বেশি। যত বেশি মানুষ ইনভলভড হয়, তত বেশি জানাজানি হয়। এক জায়গায় না থেকে মুভ করা নিরাপদ একদিকে, আরেকদিকে কিন্তু ঝুঁকি। সব অবস্থা আপনাকে জানালাম। আগেও জানিয়েছি। এখন আপনি ডিসিশান নেবেন।
ক ঘড়ির দিকে তাকিয়ে হঠাৎ রাত হয়েছে অনেক, এবার ঘুমাতে যান বলে আমাকে পাঠিয়ে দিলেন আমার জন্য বরাদ্দ ঘরটিতে। বিছানায় আমি শুয়ে থাকি। অন্ধকারের দিকে বিষণ্ন তাকিয়ে থাকি। সারারাত। সারারাত ঘুমের নামগন্ধ নেই।
Leave a Reply