2 of 3

তরমুজের বীজ

তরমুজের বীজ

আজ কয়েকদিন হল খুব গরম পড়েছে। সেই সঙ্গে মশার উৎপাতও খুব বেড়েছে। সারারাত মশারির মধ্যে গুমোটে হাঁসফাস করেছি। ভাল করে ঘুম হয়নি, ঘুম হওয়ার কথাও নয়।

ভোর হতে-না-হতে বারান্দায় এসে একটা বেতের মোড়া নিয়ে বসেছি। ভোরবেলার ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে। বেশ আরাম লাগছে।

একা একা চুপচাপ বসে থাকতে বেশ ভাল লাগছিল। গরমের দিনে সকালের দিকে এই দু-এক ঘণ্টাই যা আরাম। কাছে-দূরে গাছের ডালে, ডালের আড়ালে পাখি ডাকছে। দুটো কোকিল যুগলবন্দিতে মেতেছে। একটা টিটি পাখি ডাকছে। সামনের উঠোনে শালিক, চড়ুই, সব নেমে এসেছে। কিচমিচ করছে। এমন সকালে কাকের ডাকও কর্কশ মনে হচ্ছে না।

বাইরে হালকা রোদ উঠেছে। সামনের রাস্তা দিয়ে টুংটাং করে অলস ভঙ্গিতে দু-একটা রিকশা যাচ্ছে সকালবেলার স্কুলের শিশুদের নিয়ে।

ভাবছি এবার চা খেতে উঠব। এমন সময় হন্তদন্ত হয়ে সুদর্শন সান্যাল এসে উপস্থিত। তার হাতে একটা ছেঁড়া বই। সুদর্শন সান্যাল, মানে এই সুদর্শনকে বহুকাল হল চিনি। অসময়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসা তার পুরনো অভ্যেস। সাধারণত প্রায় বিনা কারণেই সে এরকম করে থাকে।

সুদর্শনের অতীত ইতিহাস এই সূত্রে একটু বলে রাখা অনুচিত হবে না। বছর কুড়ি আগে সে আমাদের পাড়ায় ঠিক আমাদের উলটো দিকের বাড়িতে ভাড়া এসেছিল সামনের দোতলাটায়।

মাত্র দেড় বছর ছিল। তার মধ্যেই তার সঙ্গে আমার পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

সুন্দর খোলামেলা, দক্ষিণমুখী দোতলার ফ্ল্যাট ছিল সুদর্শনের। সে একাই একটা কাজের লোক নিয়ে থাকত। তার মা বাবা মেদিনীপুরের দিকে একটা গ্রামে ছেলের বাড়িতে থাকত। তখনও এবং এখনও সে বিয়ে করেনি।

সে যা হোক, এমন সুন্দর একটা ফ্ল্যাট আজকের বাজারে কেউ ছাড়ে! কিন্তু স্বাস্থ্যের কারণে সে ফ্ল্যাটটা ছেড়ে চলে গেল।

হঠাৎই একদিন সে এসে বলল, দাদা, ওজোন কথাটা কি ইংরেজি?

আমি বললাম, ইংরেজি হবে কেন? বাংলা ওজোন হল ইংরেজিতে ওয়েট।

সুদর্শন বলল, আপনি আমাকে অত মূর্খ ভাববেন না, সে আমি জানি। আমি যে ওজোনের কথা বলছি সেটা হাওয়ায় থাকে।

কলেজে আমার দুক্লাস বিজ্ঞান পড়া ছিল। যেটুকু মনে ছিল সেই ভুলসুদ্ধ বিদ্যায় আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম, ওজোন প্রায় অক্সিজেনই, একটু মাত্রা বেশি, সমুদ্রের বাতাসে থাকে।

সুদর্শন বলল, ডাক্তার সেইজন্যে আমাকে স্বাস্থ্যের কারণে সমুদ্রের ধারে থাকতে বলেছেন। সাধারণ অক্সিজেন আমার চলবে না, আমার ওজোন চাই। আমি সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে দিয়ে দিঘার কাছে একটা গ্রামে বাড়ি ভাড়া করে চলে যাচ্ছি।

সুদর্শন সেই গ্রামে উঠে গিয়ে আমাকে চিঠি দিয়েছিল, নিমন্ত্রণ করেছিল তার ওখানে যেতে। লিখেছিল যে, সে কাজুবাদামের চাষ করছে। আমি গেলে সে আমাকে প্রাণ ভরিয়ে কাজুর সন্দেশ, কাজুর হালুয়া, কাজুর পোলাও, এমনকী কাজুর চাটনি খাওয়াবে।

আমার অবশ্য আর যাওয়া হয়নি। কিন্তু সুদর্শন আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল।

দিঘা চলে যাওয়ার বছর তিনেক পরে তার কাছ থেকে একটা চিঠি পাই, সে বিশেষ কাজে কলকাতা আসছে, আমার সঙ্গেও দেখা করবে।

একদিন রাত বারোটা নাগাদ সে এল, অত রাতে ঘুম ভেঙে উঠে দরজা খুলে তাকে দেখে প্রথমে চিনতে পারিনি। রীতিমতো বিপর্যস্ত চেহারা। চিনতে পারার পর আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এত রাতে?

সুদর্শন বলল, এই আপনার সঙ্গে একটু কথা বলেই চলে যাব।

আমি বললাম, কোথায় যাবে? কীভাবে যাবে? এত রাতে গাড়ি-ঘোড়া.

আমার কথা শেষ না করতে দিয়ে সে বলল, আমার জন্যে চিন্তা করবেন না, আমি হেঁটেই যাব, ভোর চারটেয় হাওড়া স্টেশনের সামনে থেকে দিঘার বাস ছাড়ে, একটু পরে হেঁটে বেরিয়ে গেলে সেবাসটা ধরতে পারব।

সে যা হোক, এর পর সে যা বলল তেমন কিছু সচরাচর শোনা যায় না।

দিঘায় সুদর্শন ভালই ছিল, বিশেষত সামুদ্রিক ওজোন বায়ু সেবন করে। কিন্তু দিঘার থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে যে গ্রামে সে বসবাস করছিল, সেখানে ভূঁড়োশেয়ালের খুব অত্যাচার।

খুব অল্প বয়সে ছেলেভুলানো ছড়ায় ডুড়োশেয়ালের কথা পড়েছিলাম এবং তার ছবি দেখেছিলাম। কিন্তু সত্যি সত্যিই যে ওই নামে একটা জীবন্ত প্রাণী এই পৃথিবীতে আছে, সুদর্শন না বললে সেটা জানতেই পারতাম না।

সুদর্শনের কাছেই জানা গেল ঘেঁকশেয়াল বা সাধারণ শেয়ালের চেয়ে উঁড়োশেয়াল অনেক বেশি মারাত্মক। তবে বেশি মারাত্মক এই অর্থে নয় যে, ডুড়োরা অন্য শেয়ালদের চেয়ে বেশি দংশনপ্রবণ, উঁড়োরা অন্যদের মতোই লাজুক স্বভাবের, মানুষ এড়িয়ে চলে, দিনের আলোয় বের হয় না, খুব বেকায়দায় না পড়লে আক্রমণ করে না।

তা হলে? আমার নিদ্রাজড়িত কণ্ঠে এই প্রশ্ন শুনে সুদর্শন সামান্য খুচরোয় জবাব দিল, হুক্কা হুয়া।

আমি বললাম, সে আবার কী?

সুদর্শন বলল, শেয়ালের ডাক শোনেননি?

 আমি স্বীকার করলাম, তা শুনেছি।

এর পর সুদর্শন যা বলল তার সারমর্ম হল, উঁড়োশেয়ালও হুক্কা হুয়া করে, তবে সে অত্যন্ত কর্কশ কণ্ঠে এবং উচ্চনাদে। একশোটা ভাঙা কাঁসার থালা একসঙ্গে বাজালে যেরকম শব্দ হয়, প্রতিটি ডুড়োশেয়ালের কণ্ঠে সেইরকম ধ্বনি নির্গত হয়। তা ছাড়া অন্য জাতের শেয়ালেরা প্রহরে প্রহরে সবসুদ্ধ রাতে চারবার ডাকে। ভুড়োশেয়াল ডাকে ঘণ্টায়-ঘণ্টায় এবং একসঙ্গে দলে থাকে প্রায় পনেরো-বিশটা, যা অন্য শেয়ালদের তিন-চার গুণ।

 সুদর্শন জানান যে, সে উঁড়োশেয়ালের অত্যাচার থেকে বাঁচতে একটি দোনলা বন্দুকের লাইসেন্স নিয়েছিল, কিন্তু একদিন রাতে গুলি চালিয়ে একটি উঁড়োশেয়ালকে আহত করার পরেই লোকমুখে সংবাদপেয়ে বন দফতরের লোকেরা এসে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাকে গ্রেফতার করে এবং তার বন্দুকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে। বহু কষ্টে এবং অর্থব্যয় করে সে এখন জামিনে খালাস আছে।

এত কথা শুনে আমার ঘুমভাব কেটে গিয়েছিল। আমি সুদর্শনকে জিজ্ঞেস করলাম, তা হলে এখন কী করবে?

সুদর্শন বলল, আজ ফিরে গিয়ে ওখানকার পালা চুকিয়ে কলকাতায় ফিরে আসব।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, ওজোন? ওজোন ছাড়া তোমার অসুবিধে হবে না?

 সুদর্শন বলল, তা হোক। ডাক্তার বলেছেন ওজোনের চেয়ে সুনিদ্রা অনেক বেশি জরুরি।

.

সুদর্শনের বিষয়ে বিস্তারিত লিখতে গেলে সে এক নতুন মহাভারত রচনা করতে হবে। সে কলকাতায় ফিরে এসেছিল এবং মূল শহরে আর বসবাস না করে বারুইপুরের দিকে বসবাস আরম্ভ করে।

ফলের দেশ বারুইপুরে যাওয়ার জন্যই হোক অথবা তার নিজের নবনব উন্মেষশালিনী বুদ্ধির জন্যই হোক বারুইপুরে এসে সুদর্শন নতুন নতুন ফলের চাষে মনোযোগ দেয়।

দুঃখের বিষয়, সে খুব সফল হতে পারেনি, তবে চেষ্টার ত্রুটি করেনি। সে পেয়ারাগাছের কলমের সঙ্গে গোলাপজামের কলমের মিশ্রণ ঘটিয়ে গোলাপপেয়ারা নামে একটা নতুন ফলগাছ তৈরির চেষ্টা করেছিল, যে-গাছের ফল খেতে হবে পেয়ারার মতো, কিন্তু তাতে গোলাপের গন্ধ হবে। সে বাঁশগাছ এবং আখগাছের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে লম্বা ও সুমিষ্ট আখবাঁশের চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু সফল হতে পারেনি।

তবু সুদর্শন সম্পর্কে একটা প্রশংসার কথা এখনে বলতেই হয়, বারবার ব্যর্থ হয়েও সে কখনও দমে যায়নি৷ একটা চেষ্টা যেই ছেড়ে দিয়েছে অন্য একটায় সঙ্গে সঙ্গে হাত দিয়েছে।

.

আজও তাই প্রমাণ হল।

এই যে সাতসকালে সুদর্শন একটি ছেঁড়া বই হাতে এসেছে সেটি কোনও সামান্য বই নয়, একটি অতি মূল্যবান গ্রন্থ। বইটির নাম, তৈল বিজ্ঞান।

বইটি আমার দিকে এগিয়ে দিতে বইটির মলাটে তৈল বিজ্ঞান নাম দেখে আমি প্রথমে ভাবলাম হয়তো পেট্রল, ডিজেল জাতীয় কোনও যান্ত্রিক তেলের বিষয়-সংক্রান্ত বই। তারপরে ভাবলাম হয়তোবা কোনও হালকা লেখা, সরস রসিকতার বই, মানুষকে তেল দেওয়া সম্পর্কে ঠাট্টা করে কোনও লেখা।

কিন্তু তা নয়। বইটির পাতা খুলে দেখি অতি গুরুগম্ভীর বই। বইয়ের প্রতিপাদ্য বিষয় হল ঠিকমতো চিনতে পারলে সব জিনিস থেকেই তেল বের করা যায়। ধানের তুষ, ডালের খোসা, পাটের আঁশ ইত্যাদি থেকে তেল তো বেরোবেই, এমনকী ইট, কাঠ, পাথর থেকে তেল বের করা অসম্ভব নয়। শুধু চিনেবাদাম থেকেই তেল হয় তা নয়, চিনেবাদামের খোসা থেকেও তেল বেরোবে ঠিকমতো পেষণ করলে। আমের আঁটি, কঁঠালের বীজেও তেল আছে।

মলাট-ছেঁড়া বইটি দেখে লেখকের নাম জানা যাচ্ছে না, কিন্তু মনে হল তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করে গবেষণা করেছেন।

এ কথা বলতে সুদর্শন জানাল যে, সেও খুব খোঁজ নিয়েছে কিন্তু লেখক-গবেষকের নাম জানতে পারেনি। সে যা হোক, আজ সুদর্শন আমার কাছে এসেছে পরামর্শ নিতে। অবশ্য গ্রহণ করুক বা না করুক, সব ব্যাপারেই, সে পরিচয় হওয়ার পর থেকে সে আমার পরামর্শ চাইতে আসে।

আজ সুদর্শন আমার কাছে জানতে চাইল কী ধরনের ফলের বীজ থেকে তেল বের করা সঙ্গত মনে করি।

আমি এ বিষয়ে কখনও কিছু ভাবিনি। কিন্তু আমি কোনও মতামত দেওয়ার আগেই সুদর্শন আমাকে সাহায্য করল। ছেঁড়া বইটির একটি পাতা খুলে ধরে সে অঙ্গুলিনির্দেশ করল। দেখলাম সেখানে লেখা আছে, ফলের বীজের আকার যত ছোট হবে, তেল বের করা তত সহজ হবে।

এই জায়গাটা পড়ে আমার প্রথমেই মনে পড়ল আমার প্রিয় ফল পেয়ারার কথা। পাকা পেয়ারা, এমনকী কাঁচা বা উঁশা পেয়ারাতেও অসংখ্য ছোট ছোট, গোল গোল বীজ থাকে, ঠিক সরষের আকারে। সরষের তেলের মতো পেয়ারার বীজেও হয়তো চমৎকার তেল হবে।

কিন্তু আমি পেয়ারার কথা বলতেই সুদর্শন প্রবল আপত্তি জানাল। আমার মনে পড়ল, গোলাপ-পেয়ারার চাষ করে একবার সুদর্শন জব্দ হয়েছিল। তাই হয়তো তার এই আপত্তি।

আমি আর জোর করলাম না। একটুখানি চিন্তা করে আমি পেঁপের বীজের কথা বললাম। এক-একটা পাকা পেঁপেতে অজস্র বীজ থাকে। কাটা ফলের দোকান থেকে কুড়িয়ে আনলেই যথেষ্ট সংগ্রহ করা যাবে।

তবে সুদর্শন জানাল যে, সে ইতিমধ্যেই পেঁপের বীজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পেঁপের বীজ সংগ্রহ করা অসম্ভব।

আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, কেন?

সুদর্শন বলল, পেঁপের বীজের সাংঘাতিক দাম। পাকা পেঁপে যদি আট-দশটাকা কেজি, পেঁপের কালো বাছাই বীজ চল্লিশ-পঞ্চাশ টাকা কেজি।

আমার সামান্য বুদ্ধিতে আমি বললাম, সবাই বুঝি পেঁপের বীজের তেল বানাচ্ছে? তা চল্লিশ টাকা করে বীজ কিনলে সেটা চিপে এক কেজি তেল তৈরি করলে তার দাম হাজার টাকা পড়বে। অত দামি তেল কী কাজে লাগবে? কে কিনবে?

সুদর্শন আমাকে বোঝাল পেঁপের বীজের চাহিদা তেল তৈরির জন্য নয়, সে খোঁজ নিয়েছে যে, ওগুলোকে গোলমরিচের সঙ্গে সেদ্ধ করে রোদ্দুরে শুকনো হয়। তারপরে সেটাই হয়ে যায় গোলমরিচ। তখন সেই ভেজাল মশলা আড়াইশো টাকা কেজি।

সুতরাং পেঁপে চলবে না। সুদর্শনকে সাহায্য করার জন্য আমাকে আবার ভাবতে হল। বেশি ভাবতে হল না। তরমুজের কথা মনে পড়ল, তরমুজে প্রচুর বীজ হয়।

কথাটা বলতেই দেখলাম সুদর্শনও তরমুজের কথা ভেবেছে। তবে তার অসুবিধে হয়েছে তরমুজের বীজ পাওয়া নিয়ে। রাস্তাঘাটে কাটা ফলের দোকানে তরমুজের তেমন বিক্রি নেই। অথচ আস্ত তরমুজ যথেষ্ট পাওয়া যায়।

সুদর্শন বলল যে, সে হিসেব করে দেখেছে, সে যদি দৈনিক মাঝারি সাইজের বারোটা তরমুজের বীজ সংগ্রহ করতে পারে, তা হলে গড়পড়তা দৈনিক এক কেজি বীজ পাওয়া যাবে।

সুদর্শন আমার সাহায্য চাইল। সে দৈনিক বারোটা তরমুজ কিনে ছটা নিজে নেবে, বাকি ছটা আমাকে দিয়ে যাবে। তরমুজ খেয়ে তার বীজগুলো রেখে দিলেই হবে। সে পরের দিন তরমুজ দেওয়ার সময় বীজগুলো নিয়ে যাবে।

 সুদর্শন অবিবেচক নয়। সে জানাল, তরমুজের সিজন বড়জোর মাসদুয়েক। এর মধ্যে চল্লিশ-পঞ্চাশ দিন আমাকে এই কষ্টটা করতে হবে।

আমিও অবিবেচক নই। সুদর্শনের অনুরোধ রক্ষা করেছি। এখন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আধখানা তরমুজ খেয়ে হাঁটতে যাই। তারপর ফিরে এসে চায়ের সঙ্গে আধখানা তরমুজ খাই। একটু বেশি বেলায় জলখাবার দু গেলাস তরমুজের শরবত। দুপুরে ভাতের পাতে দই দিয়ে তরমুজ। এইভাবে

চলতে চলতে রাতে শোওয়ার আগে আস্ত একটা তরমুজ দিয়ে নৈশভোজ করে ঘুমোতে যাই।

ক্রমাগত তরমুজ খেয়ে খেয়ে আমিও তরমুজের মতো হয়ে গেছি। রীতিমতো গোলগাল। দেখলেই মনে হয় লোকটা খুব তরমুজ খায়। তবে তরমুজের বীজগুলো যত্ন করে রেখে দিই। প্রতিদিন তরমুজ দিয়ে যাওয়ার সময় সেগুলো সুদর্শন নিয়ে যায়। কিন্তু তরমুজের বীজের তেল কী কাজে লাগবে, সেটা তার কাছে এখনও জানা হয়নি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *