2 of 2

৬৪. কাতাদার চক্ষু ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা

কাতাদার চক্ষু ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা

ইমাম বায়হাকী দালাইল গ্রন্থে আবু সাআদ আল-মালিনী সূত্রে … কাতাদ ইবন নুমান (রা) থেকে বর্ণনা করেন, বদর যুদ্ধে তার চোখে দারুণভাবে আঘাত লাগে। এতে চোখের পুতুলি বের হয়ে গণ্ডদেশে ঝুলতে থাকে। সাহাবাগণ ঝুলে থাকা চোখ কেটে ফেলার জন্যে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট অনুমতি চান। রাসূলুল্লাহ (সা) সে অনুমতি না দিয়ে কাতাদাকে ডেকে কাছে এনে পুতুলিটি ধরে যথাস্থানে বসিয়ে দেন। এতে তার চোখ এমন ভাল হয়ে যায় যে, তিনি বুঝতেই পারতেন না কোন চোখে আঘাত লেগেছিল। অন্য এক বর্ণনায় আছে, তার এ চোখটি অপর চোখের চেয়েও উত্তম দেখাতো।

এ প্রসঙ্গে আমীরুল মু’মিনীন উমর ইবন আবদুল আষীয থেকে একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। হযরত কাতাদার পৌত্ৰ আসিম ইবন উমর উমর ইবন আবদুল আয়ীয্যের নিকট উক্ত ঘটনা ব্যক্ত করে নিজ পরিচয় দিয়ে বলেন :

أنا ابن الذى سالت على الخـرَ عينه + فريت بكفي المصطفى أيماريআমি সেই মহান ব্যক্তির সন্তান যার চোখ গালের উপর ঝুলে পড়েছিল। তারপর মুহাম্মদ মুস্তাফার পবিত্ৰ হাতে তা উত্তমভাবে পুনঃস্থাপিত হয়েছিল।” এ কথা শুনে জবাবে উমর ইবন আবদুল আয়ীয উমাইয়া ইবন আবিস সালতের সেই কবিতাটি আবৃত্তি করেন, যা তিনি সায়ফ ইবন খী-ইয়াযানের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন?

تلك المكارم لا قغبان من لبن + شيبا بماء فعادا بعد أبو الأ–

“ঐটা ছিল একটি বিশেষ ফয়ীলত। কিন্তু বর্তমানে এর সাথে তুলনা করা যায় এমন দু’টি পেয়ালার সাথে যার একটিতে আছে শুভ্র দুধ এবং অপরটিতে পানি। কিন্তু পরিবতীতে উভয়টিই প্রস্রাবে পরিণত হয়ে যায়।”

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *