১৪. আদম (আ) ও মূসা (আঃ)-এর বাদানুবাদ

আদম (আ) ও মূসা (আঃ)-এর বাদানুবাদ

ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন : ‘মূসা (আ) আদম (আ)-এর সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হন। তিনি তাকে বলেন, আপনি-ই তো মানুষকে আপনার অপরাধ দ্বারা জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছেন এবং তাদেরকে দুর্বিপাকে ফেলেছেন।’ আদম (আঃ) বললেন, হে মূসা! আপনি তো সে ব্যক্তি যে, আল্লাহ্ তা’আলা তার রিসালাত ও কালাম দিয়ে আপনাকে বৈশিষ্ট্য প্ৰদান করেছেন; আপনি কি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য তিরস্কার করছেন, যা আমাকে সৃষ্টি করার পূর্বেই আল্লাহ আমার নামে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন? রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেন, : এতে আদম (আ) তর্কে মূসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন।

মুসলিম, নাসাঈ ও আহমদ (র) ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আদম (আ) ও মূসা (আ) বাদানুবাদে লিপ্ত হন। মূসা (আ) আদম (আ)-কে বলল যে, আপনি সে আদিম যে আপনার ত্রুটি আপনাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে। উত্তরে আদম (আঃ) তাঁকে বললেন, আর আপনি তো সে মূসা, যাকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর রিসালাত ও কালাম দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন। আপনি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য তিরস্কার করছেন, যা আমার সৃষ্টির পূর্বেই স্থির করে রাখা হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, : এভাবে আদম (আঃ) যুক্তিপ্রমাণে মূসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন। একথাটি তিনি দু’বার বলেছেন।

ইমাম বুখারী এবং মুসলিম (র) ভিন্ন সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : ‘আদম (আ) ও মূসা (আ) বিতর্কে লিপ্ত হন। মূসা বললেন, হে আদম (আ)! আপনি সে ব্যক্তি যে, আল্লাহ তা’আলা আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন ও আপনার মধ্যে তাঁর রূহ সঞ্চার করেছেন। আর আপনি লোকদেরকে ভ্ৰমে নিপতিত করলেন ও তাদেরকে জান্নাত থেকে বের করিয়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেন, : এর উত্তরে আদম (আ) বললেন, আর আপনি সেই মূসা (আ) যে, আল্লাহ তা’আলা আপনাকে তার কালাম দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন। আমার এমন একটি কৃতকর্মের জন্য আপনি আমাকে তিরস্কার করছেন, যা আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করার পূর্বেই আল্লাহ তা’আলা আমার নামে লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, ফলে

যুক্তিতে আদম (আ) মূসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন।

ইমাম তিরমিয়ী ও নাসাঈ (র) ভিন্ন সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিরমিয়ী (র) বলেন, হাদীসটি গরীব’ পর্যায়ের। বাযযারও ভিন্ন সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম আহমদ (র)

(১ম খণ্ড) ২৬—

RoR

আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : ‘আদম (আ) ও মূসা (আ) বাদানুবাদে লিপ্ত হন। মূসা (আঃ) বললেন, হে আদম (আ)! আপনি আমাদের পিতা। আপনি আমাদের সর্বনাশ করেছেন এবং আমাদের জান্নাত থেকে বের করিয়ে দিয়েছেন। উত্তরে আদম (আ) তাঁকে বললেন, আপনি তো সে মূসা যে, আল্লাহ্ তা’আলা আপনাকে তার কালাম দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন। কখনো বলেছেন, তার রিসালাতের জন্য এবং তিনি নিজ হাতে আপনাকে মনোনীত করেছেন। আপনি কি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য তিরস্কার করছেন, যা আমাকে সৃষ্টির চল্লিশ বছর পূর্বেই আমার নামে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল? রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, : যুক্তি-তর্কে আদম (আ) মূসার উপর জয়লাভ করেন। আদম (আ) মূসার উপর জয়লাভ করেন, আদম (আ) মূসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন।

ইব্‌ন মাজাহ (র) ব্যতীত সিহাহ সিত্তার সংকলকগণের অবশিষ্ট পাঁচজনই হাদীসটি দশটি ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেছেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : ‘মূসা (আ)-এর সংগে আদম (আ)-এর সাক্ষাৎ হলে মূসা (আ) তাঁকে বললেন, আপনি সে আদম (আ) যে, আল্লাহ তা’আলা আপনাকে তার নিজ হাতে সৃষ্টি করেন, তার ফেরেশতাদেরকে আপনার সামনে সিজদাবনত করান এবং আপনাকে জান্নাতে স্থান দেন। তারপর আপনি একটি কাজ করে বসেন। আদম (আ) বললেন, আপনি তো সে মূসা (আ) যে, আল্লাহ তা’আলা আপনার সাথে কথা বলেছেন, তার রিসালতের জন্যে আপনাকে মনোনীত করেছেন এবং আপনার উপর তাওরাত অবতীর্ণ করেছেন। আচ্ছা, আপনি বলুনতো আমার সৃষ্টি আগে হয়েছে নাকি আমার এ কর্মের উল্লেখ আগে হয়েছে? মূসা (আ) বললেন, না বরং আপনার এ কর্মের উল্লেখ আগে হয়েছে। এভাবে আদম (আ) মূসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন।’

ইব্‌ন আবু হাতিম (র) বর্ণিত এ হাদীসের শেষাংশে আদম (আ)-এর উক্তিসহ অতিরিক্ত এরূপ বর্ণনা আছে : আল্লাহ। আপনাকে এমন কয়েকটি ফলক দান করেছেন, যাতে যাবতীয় বিষয়ের সুস্পষ্ট বিবরণ রয়েছে এবং একান্তে নৈকট্য দান করেছেন। এবার আপনি বলুন, আল্লাহ্ তা’আলা তাওরাত কখন লিপিবদ্ধ করেছিলেন? মূসা (আ) বললেন, সৃষ্টির চল্লিশ বছর পূর্বে। আদম (আঃ) বললেন, তাতে কি আপনি এ64 4 446.531 ……….. কথাটি পাননি? মূসা (আ) বললেন, জী হ্যা। আদম (আ) বললেন, তবে কি আপনি আমাকে আমার এমন একটি কৃতকর্মের জন্য তিরস্কার করছেন যা আমার সৃষ্টির চল্লিশ বছর আগেই আল্লাহ্ তা’আলা। লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন যে, আমি তা করব? বৰ্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেন : এভাবে আদম (আ) মূসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন।

ইমাম আহমদ (র) বর্ণিত এ সংক্রান্ত বর্ণনা মূসা (আঃ)-এর বক্তব্যে অতিরিক্ত একথাটিও আছে : ‘আপনি আপনার সন্তানদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন।’ তবে এ অংশটি হাদীসের অংশ। কিনা তাতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

হাফিজ আবু ইয়ালা আল-মুসিলী তাঁর মুসনাদে আমীরুল মু’মিনীন উমর ইব্‌ন খাত্তাব (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : ‘মূসা (আ) বললেন, হে আমার রব! আপনি

NOV)

আমাকে সে আদম (আ)-কে একটু দেখান, যিনি আমাদেরকে এবং তার নিজেকে জান্নাত থেকে বের করিয়ে দেন। আল্লাহ তা’আলা তাকে আদম (আ)-কে দেখালেন। দেখে মূসা (আ) বললেন, আপনিই আদম (আ)?’ তিনি বললেন, হ্যা। মূসা (আ) বললেন, আপনি সে ব্যক্তি যার মধ্যে আল্লাহ তা’আলা তার রূহ সঞ্চার করেছেন, যার সামনে তার ফেরেশতাদেরকে সিজদাবনত করিয়েছেন এবং যাকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিয়েছেন। জবাবে তিনি বললেন, হ্যা। মূসা (আ) জিজ্ঞাসা করলেন, আমাদেরকে এবং আপনার নিজেকে জান্নাত থেকে বের করে দিতে কিসে আপনাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল? উত্তরে আদম (আঃ) বললেন, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি মূসা (আ)। আদম (আ) বললেন, আপনি কি বনী ইসরাঈলের নবী মূসা যে, আল্লাহ তা’আলা পর্দার আড়াল থেকে আপনার সাথে এমনভাবে কথা বলেছেন যে, আপনার ও তার মধ্যে কোন দূত ছিল না? মূসা (আ) বললেন, জী হাঁ্যা। এবার আদম (আ) বললেন, : আপনি আমাকে এমন একটি বিষয়ে তিরস্কার করছেন, যা পূর্ব থেকেই আল্লাহ তা’আলা নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেন, : এভাবে আদম (আ) মূসা (আ)-এর উপর জয়যুক্ত হন, এভাবে আদম (আ) মূসা (আঃ)-এর উপর জয়যুক্ত হন।

আবু দাউদ (র) ও ভিন্ন সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবু ইয়া’লা (র) ঈষৎ পরিবর্তনসহ ভিন্ন সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

উল্লেখ্য যে, এ হাদীসের ব্যাপারে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায়। কাদরিয়া সম্প্রদায়ের একটি দল এ হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ এ হাদীসে পূর্ব সিদ্ধান্ত তথা তাকদীরের প্রমাণ রয়েছে। জাবরিয়্যা সম্প্রদায়ের একটি দল এ হাদীস দ্বারা তাদের মতের সপক্ষে প্রমাণ পেশ করেছে। আর বাহ্যিক দৃষ্টিতে তা প্রমাণিত হয়ও। কারণ, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : পূর্ব সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে আদম (আ) মূসা (আ)-এর উপর জয়যুক্ত হন। এর জবাব পরে দেওয়া হবে। অন্য একদল আলিম বলেন, আদম (আ) মূসা (আ)-এর মতের বিপরীতে এ জন্য যুক্তি প্ৰদৰ্শন করেছেন যে, মূসা (আ) তাকে এমন একটি অপরাধের জন্য তিরস্কার করেছেন, যা থেকে তিনি তাওবা করে নিয়েছিলেন। আর অপরাধ থেকে তাওবাকারী ঠিক সে ব্যক্তির ন্যায়, যার কোন অপরাধ নেই। O

কারো কারো মতে, এ জয়লাভের কারণ হলো, আদম (আ) হলেন মূসা (আ)-এর চাইতে বয়োজ্যেষ্ঠ ও প্রবীণ। কেউ কেউ বলেন, এর কারণ হলো, আদম (আ) হলেন তাঁর আদি পিতা। কারো কারো মতে এর কারণ, তারা দু’জন ছিলেন ভিন্ন ভিন্ন শরীয়তের ধারক। আবার কেউ কেউ বলেন, এর কারণ তারা দু’জনই ছিলেন আলমে-বর যখে।(১ আর তাদের ধারণায় সে জগতে শরীয়তের বিধান প্রযোজ্য নয়।

সঠিক কথা হলো এই যে, এ হাদীসটি বহু পাঠে বর্ণিত হয়েছে। তার কতক বর্ণিত হয়েছে

অর্থগত রূপে। কিন্তু তা সন্দেহমুক্ত নয়। সহীহ বুখারী ও মুসলিমসহ অন্যান্য কিতাবের বেশির ভাগ বক্তব্যের সারকথা হলো, মূসা (আ) আদম (আ)-কে তাঁর নিজেকে ও সন্তানদেরকে

১. যা এ জগতের বা পরীকালের ব্যাপার নয়, বরং মধ্যবতী আরেক জগতের ব্যাপার।

ՀO8

জান্নাত থেকে বের করিয়ে দেয়ার জন্য দোষারোপ করেছিলেন। তাই উত্তরে আদম (আঃ) তাকে বলেছিলেন, আপনাদেরকে আমি বের করিনি। বের করেছেন সেই সত্তা যিনি আমার বৃক্ষ-ফল খাওয়ার সাথে বহিষ্কারকে সংশ্লিষ্ট করে রেখেছিলেন; আর যিনি তা সংশ্লিষ্ট করে রেখেছিলেন আমার সৃষ্টির পূর্বেই এবং তা লিপিবদ্ধ ও নির্ধারণ করে রেখেছিলেন, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। সুতরাং আপনি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য দোষারোপ করছেন, যার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। বড় জোর এতটুকু বলা যায় যে, আমাকে বৃক্ষ-ফল খেতে নিষেধ করা হয়েছিল, কিন্তু আমি তা খেয়ে ফেলি। এর সাথে বহিষ্কারের সংশ্লিষ্টতা আমার কর্ম নয়। সুতরাং আপনাদেরকে এবং আমার নিজেকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার আমি করিনি। তা ছিল সম্পূর্ণ আল্লাহ্ তা’আলার কুদরতের লীলাখেলা! অবশ্য তাতে আল্লাহর হিকমত রয়েছে। অতএব, এ কারণে আদম (আ) মূসা (আ)-এর উপর জয়যুক্ত হয়েছিলেন।

পক্ষান্তরে যারা এ হাদীসকে মিথ্যা প্ৰতিপন্ন করেছে, তারা আসলে একগুয়ে। কেননা, হাদীসটি আবু হুরায়রা (রা) থেকে মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। আর বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে আবু হুরায়রা (রা)-এর মর্যাদা প্রশ্নাতীত। তাছাড়া আরো কতিপয় সাহাবা থেকেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে যা আমরা উপরে উল্লেখ করে এসেছি। আর একটু আগে হাদীসটির যেসব ব্যাখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, তা হাদীসের শব্দ ও মর্ম উভয়ের সাথেই

ংগতিপূর্ণ। তাদের মধ্যে অবস্থানের যৌক্তিকতা জাবরিয়্যা সম্প্রদায়ের চাইতে বেশি আর কারোরই নেই। কিন্তু কয়েক দিক থেকে তাতেও আপত্তি রয়েছেঃ

প্রথমত, মূসা (আ) এমন কাজের জন্য দােষারোপ করতে পারেন না, যে কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাওবা করে নিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, মূসা (আঃ) নিজেও আদিষ্ট না হয়েও এক ব্যক্তিকে হত্যা করে আল্লাহ তা’আলার নিকট এ বলে প্রার্থীনা করেছিলেন

3۶۹ SITATI۹۹۹! Stifs f Ger > ر بمب ات خلش به نفسشی فاف فشرلی فففزله,N অত্যাচার করেছি। অতএব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। ফলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে ८नन्। (२br 8 S७)

তৃতীয়ত, আদম(আ)। যদি পূর্ব লিখিত তকদীর দ্বারা অপরাধের জন্য দােষারোপের জবাব দিয়ে থাকেন, তাহলে কৃতকর্মে তিরস্কৃত সকলের জন্যই এ পথ খুলে যেতো এবং সকলেই পূর্ব নির্ধারিত তকদীরের দোহাই দিয়ে প্রমাণ পেশ করতে পারতো। এভাবে কিসাস ও হুদুদ তথা শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তিসমূহের বিধানের দ্বার রুদ্ধ হয়ে যেতো। তকদীরকেই যদি দলীল রূপে পেশ করা যেতো, তাহলে যে কেউ ছোট-বড় সকল কৃত-অপরাধের জন্য তার দ্বারা দলীল পেশ করতে পারত। আর এটা ভয়াবহ পরিণতির দিকেই নিয়ে যেতো। এ জন্যই কোন কোন আলিম বলেন, : আদম (আ) তকদীর দ্বারা দুর্ভোগের ব্যাপারে দলীল পেশ করেছিলেন আল্লাহর আদেশ অমান্যের সপক্ষের যুক্তি হিসাবে নয়। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *