সহস্র ক্ষুধার্ত চোখ-মুখ

এমন একটা সময় ছিল, যখন
প্রায়শই সকালে অথবা বিকেলে
নদীতীরে হেঁটে বেড়াতাম কিংবা আয়েশে
বসতাম একা। বহুদিন থেকে হঠাৎ
সেই প্রিয় অভ্যাস কেন যে আমাকে
ত্যাগ করেছে, বুঝতেই পারিনি।

এখন আমি ছোট ঘরের এক কোণে একলা
বসে থাকি। আলসেমির এভাবে
কত যে বেলা আমাকে ছুঁয়ে কোথায়
মিলিয়ে যায়, বুঝতে পারি না কিছুতে।

বিকেলে দেখি, আমার ঘরের কিনারে
এক নিঝুম জলাশয়ে কতিপয় হরিণ
মুখ ডুবিয়ে জলপানে মগ্ন এবং খানিক
পরে এদিক সেদিক গোয়েন্দার মতো তাকায়।

আচমকা সেই দৃশ্য মুছে গিয়ে দৃষ্টিতে
ফুটে ওঠে কজন বাউলের আসর
এবং লালনের গান চৌদিকে, উৎসুক আকাশে
ছেয়ে যায় এবং একতারা সুর ঝরায়-
সেই সুরে বাউল নর্তক হয়, জ্যোৎস্না নর্তকী। দিগন্তে হঠাৎ
মঙ্গা সহস্র চোখ-মুখ হয়ে বানবতাকে শাসায়!
১০-১২-২০০৩