কৃষ্ণপক্ষে পূর্ণিমার পথ

(তুষার কর প্রীতিভাজনেষু)

আমাদের জীবনে কি কৃষ্ণপক্ষ শাসন করেই
যাবে বহুকাল? পূর্ণিমার
মুখে দেখে যেতে বুঝি পারবো না আর। চতুর্দিকে
নৈয়াশা-পীড়িত, নুয়ে-পড়া মানুষের আসা-যাওয়া।

এই আমি একদা ছিলাম জ্বল জ্বলে আশাবাদী;
হতাশার সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে জয়ী হয়ে
কাটিয়ে দিয়েছি বহুকাল। দুর্দশার মুখে থুতু
ছিটিয়ে এনেছি উৎসবের দিনগুলি, রাতগুলি।

কোন সে অশুভ ঝড় চকিতে গুঁড়িয়ে দিলো এই
ঈর্ষণীয় শান্তির মোহন নীড়? কার
অসুস্থ চেতনা সত্য, সুন্দরের বিলয় সাধনে
নিয়ত সৃষ্টির নয় ধ্বংসের সপক্ষে ক্রিয়াশালী সর্বক্ষণ।

ষড়যন্ত্র যতই তুখোড় হোক, অন্ধকারে অস্ত্র
যতই শানাক কিংবা অশুভের সঙ্গে সন্ধি করে
বুনুক ধ্বংসের বীজ যত্রতত্র, আখেরে নিশ্চিত শুভ জয়ী
হয়ে চতুর্দিকে কৃষ্ণপক্ষে পূর্ণিমার পথ খুলে দেবে ঠিক।


দিন, মাস, বছর, শতাব্দী,
শতাব্দীর পর শতাব্দীও
কেটে যাবে; অসংখ্য শতাব্দী
লুপ্ত হলে প্রিয় বাংলাদেশ,
দুনিয়াদারি কি রয়ে যাবে?
যাবে না কি সব লুপ্ত হয়ে?
শূন্যতাই পরিণতি নিশ্চিত আখেরে।
১১-১২-২০০৩