০১. যজুর্ব্বেদীয় গর্ভাধান

যজুর্ব্বেদীয় গর্ভাধান

যথোক্ত দিনে পূর্ব্বাহ্নে কৃতনিত্যক্রিয়া হইয়া বিবাহপদ্ধ্যত্যুক্ত নিয়মে গৌর্য্যাদি ষোড়শমাতৃকার পূজা করত স্বীয় দক্ষিণে পত্নীকে বসাইয়া তাহার দক্ষিণস্কোন্ধোপরি দিয়া হস্ত দ্বারা হৃদয় স্পর্শ পূর্ব্বক “ওঁ পূষা ভগং তে সবিতা” ইত্যাদি মূলের লিখিত মন্ত্র জপ করিবে।* ঐরূপে যথানিয়মে পঞ্চগব্য পান করাইয়া পরে নিষেক করিতে হয়। এরূপ করিলে যদি গর্ভধারণ না হয়, তাহা হইলে অন্য ঋতুকালে পতি পূর্ব্বদিনে উপবাসী থাকিয়া পুষ্যানক্ষত্রযুক্তদিনে উদ্ধৃত শ্বেতপুষ্প-কণ্টকারির মূল গুপ্তদেশে স্থাপন করিবে। পরে ঋতুস্নানদিনে দম্পতী নিরাহারে থাকিবে। তদনন্তর পতি সায়ংসন্ধ্যা সমাপন পূর্ব্বক শুভলগ্নে নববস্ত্রান্বিতা আচান্ত কৃতমঙ্গল বধুকে প্রাঙ্মুখীভাবে স্বীয় বামে বসাইয়া পূর্ব্বোদ্ধৃত কণ্টকারীর মূল আচারানুসারে পর্য্যষিতজলে পেষণ করত মঙ্গলাচরণ সহকারে তদীয় দক্ষিন নাসাপুটে সিঞ্চন করিবে। “ওঁ ইয়মোষধী” ইত্যাদি মূলের লিখিত মন্ত্রে উক্ত কার্য্য করিতে হয়। তৎপরে যথাসুখে ভোজন পূর্ব্বক পূর্ব্বোক্ত বিধানে নিষেক করিবে।

————
* যজুর্ব্বেদীয় ও ঋগ্বেদীয় দশসংস্কারের মন্ত্রগুলির সহিত সামবেদীয় মন্ত্রের তাৎপর্যের প্রভেদ অল্পমাত্র; বিশেষতঃ সহজবোধগম্য; এই হেতু মন্ত্রগুলির অনুবাদ প্রদত্ত হইল না। তবে যে স্থানে আবশ্যক বোধ হইবে, তথায় অর্থ লিখিত থাকিবে।