এই যে আমি

রাত্রি এসে হঠাৎ আমায়
আদ্যোপান্ত জড়ায় এবং
দেখায় কিছু
আজব ছবি। ছবিগুলো কেমন যেন
ভাঙাচোরা, ভয়-দেখানো ভঙ্গি ওদের।
কেউ আমাকে ভেংচি কাটে, কেউ বা নখের
ডগায় কিছু পাখির ছেঁড়া মাথা দোলায়
ডানে বামে। কেউ বা এসে কামড়ে ধরে।

হঠাৎ দেখি পড়ে আছি খাঁখাঁ পথের
কিনারে ঘেঁসে। উঠে বসার, নড়া-চড়ার
শক্তি উধাও; দু’ চোখে নীল পর্দা কারা
দিলো সেঁটে। একটি খুবই হিংস্র পাখি ঘন ঘন
ঠুক্‌রে খাচ্ছে আমার মাথা। কপাল থেকে রক্তধারা
বইছে বেজায়। এখুনি এই খাঁখাঁ পথে
হয়তো আমি থাকবো প’ড়ে
বেগানা এক লাশের মতো, পশু, পাখির খোরাক হবো।

এই যে আমি মধ্যরাতে নিজের ঘরে
আছি শুয়ে, আমার চোখে উঠছে ভেসে
ভয়-জাগানো নানা ছবি-
এগুলো কি ভবিষ্যতের
আগাম ছবি? নাকি মনের আবছা কোণে
গড়ছি শুধু নানা ঢঙের ভয়-দেখানো মূর্তিগুলো?

শান্ত মনে ঘুমিয়ে পড়ি, স্বপ্ন দেখি যাচ্ছি ভেসে
অচিন দেশে-নানা ঢঙের লোক সেখানে
হেঁটে বেড়ায়। ওদের মুখে
সুখের হাসি ফুলের মতো আছে ফুটে।
তবু হঠাৎ বিকট কিছু চিত্র আমায়
দিলো ঠেলে বিপদ ঘেরা ধূসর পথে কাঁপতে থাকি
আমার চোখে প্রেতের নাচন চলতে থাকে
রাত্রি জুড়ে। নতুন ভোরের
আভাস মনে ফোটায় নতুন ফুলের আভা,
ভাসতে থাকি অচিন পাখির কিছু দূরের সুরের ঢেউয়ে।
২৬-০৯-০৩