অবশেষে আসে ওরা

শেষ অব্দি ওরা আসবে কি আসবে না এ অঞ্চলে
দলে দলে, এ নিয়ে তুমুল তর্ক চলে পথে ঘাটে,
গ্রামেগঞ্জে এবং খেলার মাঠে, চা-খানায় আর
দপ্তরে দপ্তরে, আদালতে। কারা ওরা? কী রকম
আচরণ করবে প্রত্যাশা জনগণ অস্ত্রধারী
সেসব লোকের কাছে? ওরা কি বর্বর হুনদের
মতো নাকি নব্য সভ্যতার অগ্রদূত? পতাকার
সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেবে বন্দি মানবের মুক্তিদাতা?

জল্পনার অন্ত নেই। অনেকের মনে উল্লাসের
বান ডাকে, কেউ কেউ আশংকার কালো চোরা টানে
কেবলি তলিয়ে যায়। তবে সকলেই প্রতীক্ষায়
কাটায় প্রহর অকস্মাৎ কবে ওরা এসে পড়ে।
অনেকে প্রস্তুত থাকে ফুলের স্তবক, মালা নিয়ে
সগর্বে চুকিয়ে দিতে বীরদের প্রাপ্য হাতে হাতে।

অবশেষে আসে ওরা, যেন আকাশ আঁধার করে
নামে দিকে দিকে পঙ্গপাল ভরা ফসলের ক্ষেতে।
চকচকে অস্ত্রের আঘাতে যত্রতত্র মনীষার
কাটা মাথা ধুলায় গড়ায়, শুভবুদ্ধি তড়িঘড়ি
চলে যায় নির্বাসনে। বাকি থাকে যারা, তারা সব
পড়িমরি কোথাও লুকায়। বর্বরের ঘোড়াদের
শাণিত ক্ষুরের ধূলিঝড়ে মধ্যযুগী অন্ধকার
নেমে আসে সারা দেশে। ক্রুশবিদ্ধ বোধির বিলাপ,
এবং আড়ালে আবডালে অসহায় চেয়ে থাকে
কতিপয় লোক, যারা গড়ে নি কখনো প্রতিরোধ।