সপ্তর্ষিমন্ডল

কিশোরটি কেমন আলাদা যেন, হৈ চৈ থেকে দূরে
নিজেরই ভেতরকার অত্যন্ত সবুজ মুক্ত মাঠে হামেশাই
হুটোপুটি নয়, খুব আস্তেসুস্থে হেঁটে কিংবা মাঠের কিনারে
সহজে কাটিয়ে দিত একা-একা বহুক্ষণ ক্ষুৎপিপাসার
কথা ভুলে, কোনও কোনও মধ্যরাতে কিশোরের বিস্ফারিত চোখে
হঠাৎ পড়তো ধরা অপরূপ দৃশ্য এক-সে মাঠের মধ্যস্থলে বেশ গোল হয়ে
সাতজন কি নিবিড় স্থৈর্যে বসে আছেন যাদের ঘিরে ক’জন ঝাঁঝালো
নর্তকী ফোটায় নৃত্যকলার কলম শূন্য মাঠে। সাতজন
দেখেন কি দেখেন না, বোঝা দায়। কখনও কিশোর মুগ্ধতায়
লক্ষ করে, তারা যেন কী এক সুরায় ডুবসাঁতারে নিমগ্ন।

যখনই কিশোর মধ্যরাতে নিজের ভেতরকার মুক্ত মাঠে
সেই সাতজনের মণ্ডল দেখে, সে এক চকিত যাদুবলে
আশ্চর্য সৃজনশীল হয়ে ওঠে, কিছু ছবি আঁকে, ঝকঝকে
পদ্য লিখে ফেলে আর নিজেই বিস্ময়ে রুদ্ধবাক
হয়ে থাকে কিছুদিন। এ খেলায় ছিল না বিরাম বহুকাল
কিশোরের বার্ধক্য অবধি। অকস্মাৎ সবুজ সে মাঠ আর
অপরূপ গভীর রাতের সাতজনের আসর লুপ্ত হলো
হামেশার তরে আর দর্শকের সৃজনের সূর্যাস্ত এলো নেমে চিরতরে।
১২.৪.২০০০