কখনও আগুনে পোড়ে

তবে কি এখন হাল ছেড়ে দেবো? যখন তখন
শ্বাপদের পদশব্দে কেঁপে ওঠে বিবর্ণ প্রহর, পতনের
কর্কশ আওয়াজ চেতনাকে প্রায় ভোঁতা করে দিতে
চায় দিনরাত; দৃষ্টি ক্রমান্বয়ে ক্ষীণ হয়ে আসে।
বুঝি না কে আততায়ী, কেই বা ত্রাণের মুদ্রা নিয়ে
অদূরে দাঁড়ানো? ফিস্‌ফিস্‌, কানাঘুষো
চতুর্দিকে; অন্ধকারে বস্তুত যায় না দেখা কিছু, কে যে কোন
পক্ষে সমর্পিত
বোঝা ভার এ মুহূর্তে। সবাই তো মিত্রের ভঙ্গিতে
কাছে আসে, অথচ শক্রতা
সাধনে বেজায় দড় অনেকেই, ঘাড়
মট্‌কে রক্তপানে অভিলাষী। কাছে দূরে কেবলি পাগলা ঘন্টি।

পথঘাটে, সুদৃশ্য দোকানপাটে, ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে লোকজন
বড় বেশি সমার্পিত পরকালে, স্বসৃষ্ট ধোঁয়াটে
ঘূর্ণাবর্তে ঘুরে মরে অহর্নিশ। যারা এই পথ
থেকে দূরে হাঁটে, শুধু চেনা
পৃথিবীর রৌদ্রছায়া, জোনাকি, শিশির, ঘাসপাতা, গ্রন্থগীত
দোয়েল, কনকচাঁপা-নারী ভালোবেসে
সুখী হতে চেয়ে তারা হতেছে লাঞ্ছিত পদে পদে,
কখনও আগুনে পোড়ে, কখনও বা ক্রুশবিদ্ধ হয়।
৬.১২.৯৬