একটি অপমৃত্যু

খাম ছিঁড়ে কোন্‌ খেয়ালে
চিঠিটা ফেলে দিয়ে দেখি হাতে খাম
নড়ছে হাওয়ায় এবং
বাজে কাগজের ঝুড়ি থেকে কেমন
আর্তনাদ উঠে এসে জড়িয়ে ধরে আমাকে। মনে হলো,
সেই চিঠি শোক হয়ে ঝুলছে অক্ষর হারিয়ে।

হারিয়ে-যাওয়া অক্ষরগুলোকে
খুঁজতে থাকি এদিক ওদিক। হোঁচটা খাই
বারবার। টেবিলের কিনার ধরে
নিজেকে সামলে নিই। হারিয়ে-যাওয়া অক্ষরগুলো
আমাকে ঠোকরায় অবহেলিত
অস্তিত্বের জ্বালা জুড়োবার হিংস্রতায়।

ওদের জড়ো করে বসাই আমার টেবিলে,
কিন্তু কিছুতেই ওদের ঠিক গোছাতে
পারছিলাম না। একটা বিদঘুটে নক্‌শা হয়ে
ওরা আমার দিকে তাকায় বাঁকা চোখে,
যেন আমাকে খুব জব্দ করার প্রক্রিয়া
ওদের আয়ত্তে এসে গেছে। হেমন্ত-সন্ধ্যায় অচিন
কে পাখি ঘুরে ঘুরে ডাকে জানালা ঘেঁষে এবং
একটি কবিতার অপমৃত্যুর বেদনা ওর ডানায় কম্পমান।
১৯.১১.৯৬