কবি বলেন

এখানে এই ধুলোবালি, রক্তমাখা মাটির ঢেলা,
ছেঁড়া ন্যাকড়া, হু হু শাদা ক’খানা হাড় কান্নাকাতর।
রুক্ষ ফাটা মাটি ফুঁড়ে ছিন্ন হাতের জেগে-ওঠা,
ছিন্ন হাতে মরা পদ্ম নুয়ে থাকে সকল সময়।

পাথুরে এই রক্ষ পথে ঝর্ণাধারা পাবে না কেউ
কোনও মতে; ধু ধু তৃষ্ণায় বুকে ধুলো জমছে শুধু।
গলায় বালি, কাঁকর ভরা, কেবল ভীষণ ক্লান্ত লাগে,
প্রেতের মতো মানুষগুলো অন্ধকারে পাশা খেলে।

ভায়ের গলায় ভায়ের ছুরি যায় বসে যায় অবলীলায়,
দিন-দুপুরে রাহাজানি, সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া অষ্টপ্রহর;
পশুপ্রতিম যৌনমত্ত পুরুষেরা নারী-শিশুর খুঁড়ছে শরীর,
চোর পুলিশে তফাৎ কত, হারে কপাল, বোঝাই দায়!

কারা কখন কার পেছনে গুপ্ত ঘাতক লেলিয়ে দেয়,
সহজে কেউ বোঝে না আজ। মিথ্যার তোড়ে
সত্য ভাসে অন্ধ ডোবায়; মানবতার পা পড়েছে
পিছল গর্তে, প্রগতিভুক্ত ছায়াগুলো দেখাচ্ছে ভয়।

প্রেতের নাচন, ভাগাড় আছে, কবি বলেন, নিলাম মেনে;
কিন্তু দ্যাখো ফুল ফুটেছে পথের ধারে, মাঝে মাঝে
পাখি ছড়ায় গানের আভা। এখনও তো প্রেমের গানে
হৃদয় জাগে, শিশুর এবং চাঁদের হাসি হৃদয় জুড়ায়।