তিরাশি বছর

জানা মুশকিল ছিল, এতটুকু ছিল না আভাস;
কালো রাত্রি আগুন রঙের চোখ ভীষণ পাকিয়ে
ওৎ পেতে ছিল,
নিচু-হয়ে-আসা আকাশের
কোঁচকানো ভুরু থেকে কিছু
কালো ঝরে ছিল।
অকস্মাৎ লাফ;
লালসিক্ত মুখের গহ্বরে পোরা হ’লে
একটি কাহিনী ভাঙা কলসের পানির ধরনে
গড়িয়ে গড়িয়ে চিহ্নহীন হতে পারে।

বুভুক্ষু নিশীথ আচানক ভীষণ হিংসুটে সেজে
তিরিশটি বছরকে নিজের গুহায়
এক ঝটকায় গ্রাস করবার ব্যর্থতায় আরো
কুচকুচে; চিদ্রাহীন অনেক চোখের
আর্দ্রতার নিচে
শীতের পাতার মতো কম্পন্ন বছর।

তিরাশিটি সম্পন্ন বছর
নারীর গর্ভের শিশুটির মতো নিশীথের গুহা
ঠেলে প্রাণপণে
নিষ্করুণ ঊর্ণাজাল ছিঁড়ে
প্রত্যুষের স্ফীত স্তন থেকে শুকনো পিপাসার্ত ঠোঁটে
সুধারস টেনে টেনে হয়ে ওঠে জীবন আবার।