১৯. স্বামীর কাজে মাথা গলাবেন না

১৯. স্বামীর কাজে মাথা গলাবেন না

কিছুদিন আগে এক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে বলতে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তাঁর মতে,

কীভাবে স্ত্রীরা স্বামীদের জীবনে উন্নতির পথে সহায়তা করতে পারে।

ভদ্রলোক উত্তরে বললেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস স্ত্রীরা যেভাবে স্বামীদের উন্নতির সহায়তা করতে পারেন তার মধ্যে দুটি কাজ প্রধান। প্রথমটি হল, স্বামীকে প্রকৃত ভালবাসা; আর দ্বিতীয়টি হল, স্বামীর কাজে বাধা সৃষ্টি না করে তাঁকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া।’ যে কোনো প্রিয় স্ত্রীরই কর্তব্য হওয়া উচিত তার স্বামী যাতে সুখী-স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা।

অনেক স্ত্রী আবার স্বামীকে আরও উঁচু পদে প্রমোশন পাওয়ার জন্য উৎসাহ দান করতে পারে। তবে স্বামীর কাজে স্ত্রীর অকারণ হস্তক্ষেপ ও অনেক সময় বিপজ্জনক হতে পারে। তাই স্বামীর কাজে মাথা গলানো ঠিক নয়।

কিছুদিন আগে আমার জনৈক বন্ধু বলেন যে তার প্রতিষ্ঠানে বহুদিনের উচ্চপদস্থ একজন কর্মচারী বরখাস্ত হন, কারণ তার স্ত্রী বেশ জোর করেই তার কাজে হস্তক্ষেপ করতেন। স্ত্রী যে কাজ করেছিলেন তা অত্যন্ত গর্হিত তাতে সন্দেহ ছিল না। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানেরই অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তার ধারণা ছিল, তারা স্বামীর প্রতিদ্বন্দী। ভদ্রমহিলা ওইখানেই থামেন নি। তিনি ওই সব কর্মচারীর স্ত্রীদের বিরুদ্ধে নানা রকম কুৎসা রটাতে শুরু করেন।

স্বামী এসব ব্যাপার জানার ফলে নানাভাবে স্ত্রীকে নিরস্ত করতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত তিনি অপারগ হয়ে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এ ছাড়া তার কোনো পথ ছিল না। স্বামীর কাজে স্ত্রীর অকারণ অন্যায় হস্তক্ষেপের পরিণতি এই রকমই হতে পারে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *