১. সাফল্য ও ব্যক্তিত্ব : শুরুর কথা

ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যের সহজ পথ  / ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যলাভের সহজ পথ
ডেল কার্নেগি : রচনাসমগ্র

“ভালবাসাকে শেষ করতে কড়া কথা অথবা ব্যবহার হল ক্যান্সারের মতো।
আশ্চর্য ব্যাপার, লোকেরা এটা জানে বলেই–
আমরা আপন আত্মীয়স্বজনের চেয়ে অচেনাদের কাছেই ভদ্রতা দেখাই।
নিজের লোকেদেরই আমরা অসম্মান করি বেশি।”
–মিসেস ড্যামরস।

“ভদ্রতা হল হৃদয়ের এমন কোনো গুণ,
যেটা ভাঙা সদরের বাইরে মনোলোভা ফুলের ওপরই
দৃষ্টি ফেলতে সাহায্য করে।”
–হেনরি ক্লে রিমনার

.

সাফল্য ও ব্যক্তিত্ব : শুরুর কথা

আপনাদের কথাটা হয়তো বিশ্বাসই হবে না। অবশ্য সেটা সাধারণভাবে বিশ্বাস না হওয়ারই কথা যে, পৃথিবীতে যথাযথভাবে জীবন কাটাতে গেলে চারটি বিশেষ পথ অবলম্বন করা দরকার। এই চারটে বিষয় ধরেই প্রত্যেক মানুষের আসল বিচার ঘটে। অন্যেরাই সে বিচার করে জেনে রাখা চাই। বিষয় চারটি

হ্যাঁ, এই প্রশ্ন এই বই পড়তে শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। আর তার উত্তরও আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। এবং তার উত্তরও আপনাকে পেতে হবে। শুধু পাওয়া নয়, জীবনে সুখ স্বাচ্ছন্দ্য পেয়ে বেঁচে থাকতে গেলে তাকে কাজেও লাগাতে হবে।

সেই চারটি বিষয় হল :

১। আমরা কী করি?
২। আমাদের বাহ্যিক আকৃতি কী?
৩। আমরা কীভাবে কী কথা বলি?
৪। আমাদের সেই বলার পদ্ধতি কী রকম?

একটু ভেবে দেখুন কথাগুলো।

ভাবলেই পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন মানুষকে এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে নিজের স্থানটি ঠিকমত আয়ত্ত করতে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়। আর সে কাজ করার জন্য উপরের চারটি বিষয়ই হলো সবচেয়ে মনে রাখার মত। এ মত পদ্ধতিগত ব্যাপারে না ঢুকেও বলা যায় উপরের বিষয়গুলোই একজন সফল মানুষের সব সাফল্যের গোড়ার কথা।

কথাটা অবশ্য এভাবে না বলাই ঠিক। কারণ এই বিষয়গুলো কোন পদ্ধতি নয়। আসলে কাউকে বিচার করার পথ মাত্র। এই পথ দিয়েই একজন সফল মানুষের বিচার সম্ভব।

কিন্তু বিচার করার ফলশ্রুতি কী?

এ প্রশ্নও করা স্বাভাবিক।

আসলে এগুলো থেকেই একজন পরিপূর্ণ মানুষের সঠিক পরিচয় পেতে পারে সবাই।

কী বলতে চাই নিশ্চয়ই সকলে উপলব্ধি করতে পেরে থাকবেন।

হ্যাঁ, একজন সরল মানুষের সাফল্যের গোড়ার সেই কথাটাই বলতে চাই। অর্থাৎ চারটি বিষয়ের অর্থ হলো একজন মানুষের সঠিক ব্যক্তিত্ব প্রকাশেরই চাবিকাঠি।

এই পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা কত? অন্তত কয়েক’শ কোটি তো বটেই, এতো একজন স্কুলের ছাত্রও জানে। অথচ ভাবলেও অবাক হতে হয় সেই কোটি কোটি মানুষের মধ্যে সফলতার মুখ দেখেন কজন? দেশে দেশে এমন মানুষের সংখ্যা জনসংখ্যার অনুপাতে বড়ই নগণ্য। তাই না?

এ কথা তাই সকলের স্বীকার করা উচিত সফলতা তাদেরই আসে যারা সঠিকভাবে তাদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারেন।

সেই জীবনকে পরিচালনা করে এগিয়ে নিতে তারাই তাই পারেন, জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত আর বাধা বিপত্তিকে যারা অনায়াসে জয় করতে পারেন।

সবাই তা পারে না কেন?

এখানেই আসছে ব্যক্তিত্বের কথা। সকলের ব্যক্তিত্ব কখনই সমানভাবে স্ফুরিত হয় না, হতে পারে না।

এর মধ্যে অবশ্যই আরও কিছু বিষয়ের অবতারণা কেউ কেউ করে থাকেন। ব্যক্তিত্ব প্রকাশ আর সাফল্যের জন্য এটাও অনেকটাই কাজ করে অনেকেরই ধারণা।

সেটা কী?

সঙ্গত প্রশ্ন, তাতে দ্বিমত নেই। সেটা হল ভাগ্য। অনেকেই বলে থাকেন ভাগ্য সহায় থাকলে অনেকখানি কাজ এগিয়ে দিতে পারে কিন্তু পৃথিবীর অসংখ্য কৃতী, সফল মানুষের জীবনী পর্যালোচনা করুণ একবার, দেখতে পাবেন যে সেখানে ভাগ্যের কোন স্থান নেই। বিশ্বের বহু মানুষই সামান্য অবস্থা থেকে শুধু মাত্র প্রত্যয় আর ব্যক্তিত্বের জোরেই সাফল্যলাভ করে স্মরণীয় হয়েছেন।

সেখানে দারিদ্র্যও তাদের অগ্রগতি রোধ করতে পারেনি। বহু খ্যাতিমান মানুষ চরম দারিদ্র্যে প্রথম জীবন কাটিয়েও শেষ পর্যন্ত খ্যাতি এবং প্রাচুর্যের শিখরে উঠেছেন।

এ ব্যাপারে একজনের নাম করতে পারি। আপনাদের মধ্যে অনেকেই তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত।

তিনি হলেন বিখ্যাত ইংরাজ ঔপন্যাসিক এইচ, জি, ওয়েলস। নিজের ব্যক্তিত্ব, অধ্যবসায় আর পরিশ্রমের জোরেই তিনি খ্যাতিলাভ করেছিলেন, সফল হয়েছিলেন সাহিত্যিক হিসেবে।

এরকম আর একজন মানুষ ছিলেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন। ব্যক্তিত্বই তার সাফল্যের চাবিকাঠি ছিল।

এরকম আরও অসংখ্য মানুষেরই নাম করা যায় যাঁরা তাঁদের জীবনে সেই চারটি বিষয় কাজের ক্ষেত্রে উৎকর্ষের চরমতম শিখরে নিতে পেরেছিলেন।

এমনই আর একজন ছিলেন ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট। ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে সম্রাট নেপোলিয়ানের তুলনা ছিলো না। সেনাবাহিনীর প্রত্যেকে তাঁকে অসম্ভব রকম শ্রদ্ধা করতেন।

নেপোলিয়ান এরকম শ্রদ্ধা আকর্ষণ করতেন কিভাবে? এটাই তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

নেপোলিয়ানের এই অসাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অদ্ভুতভাবেই শেষ পর্যন্ত থেকে যায়। শেষ পর্যন্ত শত্রুপক্ষের, অর্থাৎ ইংরাজদের হাতে বন্দী হয়েও তার ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল থেকে যায়।

শোনা যায় নেপোলিয়নকে বন্দী করে সেন্ট হেলেনায় নিয়ে যাওয়ার সময় ইংরাজ সেনারা তাঁকে অভিবাদন জানায় তাঁর অস্বাভাবিক ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে।

ঠিক এ রকমই আবার লক্ষ্য করা গেছে তুর্কী সেনাধ্যক্ষ আর অবিসম্বাদী নেতা কামাল আতাতুর্কের ক্ষেত্রেও।

একটা কথা তাই মনে রাখা দরকার। আর তা হল, যে কোন মানুষের জীবনে ব্যক্তিত্বই হলো সাফল্যের মূল কথা। আর সেই কারণেই সেই ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করাই আসল কাজ।

আবারও সেই চারটি বিষয়ের উল্লেখ করতে হয়। ওই চারটি বিষয় নির্ভর করেই গড়ে ওঠে যেকোন মানুষের ব্যক্তিত্ব। আর তারই পরে স্বভাবতই এসে পড়ে সাফল্য।

আরও কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা দরকার। কারণ এই ব্যক্তিত্ব যেমন গড়ে তুলতে পারা সম্ভব সেভাবে একজনের বাহ্যিক আকৃতির পরিবর্তন কি সম্ভব?

না। এটাই হল উত্তর। শুধু তাকে কিছুটা বদলে নেওয়াই সম্ভব। আব্রাহাম লিঙ্কনের কথাটাই ধরুন। লিঙ্কন সুপুরুষ ছিলেন না। এজন্য তার ব্যক্তিত্ব স্ফুরণের কোন রকম অসুবিধা হয় নি। কারণ ব্যক্তিত্ব কেবলমাত্র বাইরের আকৃতির উপর নির্ভর নয়।

ব্যক্তির মধ্যে এমন কিছু থাকে যা অনায়াসেই হাজার হাজার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে তাদের বশে আনা সম্ভবপর। ব্যক্তিত্বহীন মানুষ কদাচিৎ সফল হতে পারে। পৃথিবীর যেকোন দেশের ইতিহাস ঘাটলেই এ কথার সত্যতা আপনাদের চোখে পড়বে তাতে সন্দেহ নেই।

একবার ইংল্যাণ্ডের প্রধানমন্ত্রী ডিসরেলী আর গ্ল্যাডস্টোনের কথাটা ভাবুন।

ব্যক্তিত্বের জোরেই তাঁরা ইতিহাসে খ্যাতিমান বলে পরিচিত হয়েছিলেন। সাফল্য তাঁদের অনুসরণ করেছিল সারা জীবন।

নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অসম্ভব সচেতন ছিলেন জার্মানীর প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক। তাঁর এই ব্যক্তিই তার অস্বাভাবিক জনপ্রিয়তা আর সাফল্যের মূল কথা তাতে কোন রকম সন্দেহ নেই কারও।

ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে কেমন করে?

এ কথার উত্তর আগেই দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মানুষ আর পশুর মধ্যে তফাৎ হলো মানুষ ব্যক্তিত্বের মধ্য দিয়ে সহজেই ক্ষমতা দখল করতে পারে অথচ পশুর একমাত্র সম্বল তার দৈহিক শক্তি।

ব্যক্তিত্বের মধ্যে কখনও আকাঙ্ক্ষাকে জড়িয়ে ফেলা সমীচীন হবে না। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির মধ্যে ব্যক্তিত্ব থাকা সত্বেও অহঙ্কার তাদের বেশি এগুতে দেয় নি, এনেছে পতন। কলম্বাসের কথাই এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়।

মানুষের কতকগুলি ত্রুটির কথা স্বীকার করে নেওয়াই বোধ হয় ভালো। যে কোন দুঃখজনক পরিস্থিতি বা জটিলতার আবর্তে পতিত হলে মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই ভুল পথ গ্রহণ করে। এসব ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্ব বা সাফল্য অনেককেই সঠিক পথ গ্রহণে সাহায্য করতে পারে। এজন্য অবশ্যই প্রয়োজন নিঃসন্দেহে বাস্তববুদ্ধি আর সঠিক পথ গ্রহণে সক্ষমতা। এর মধ্যেই মানব চরিত্রের ব্যাখ্যা মিলতে পারে। পশুর সঙ্গে মানুষের তফাৎ এখানেও।

মানুষের সফল হওয়ার ক্ষেত্রে নানা বাধাই আসে। সে বাধা নানাভাবে আসা সম্ভব। একটা উদাহরণ রাখা যাক।

কোন মানুষের বিশেষ ব্যক্তিত্ব আর কার্যকরী ক্ষমতা থাকা সত্বেও সে হয়তো বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যর্থও হতে পারে, শতকরা একশ ভাগ সাফল্য যেহেতু কোন রকমেই আসতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাস ঘাঁটলে এমন অজস্র উদাহরণ চোখে পড়তে পারে। যেমন নেপোলিয়ান বোনাপার্টের জীবন। নেপোলিয়ান উদ্দাম ঝড়ের মতই সাফল্যের শীর্ষে আরোহণ করেছিলেন কিন্তু তার বিশাল সেনাবাহিনী রাশিয়া জয়ে সক্ষম হয়নি।

এক্ষেত্রে নেপোলিয়নের ব্যক্তিত্ব সফল হতে পারেনি। কারণ বাধা হয়ে দাঁড়ায় রুশ সেনার প্রতিরোধ আর নিষ্করুণ প্রকৃতি।

জীবনে সাফল্য আনার কাজে ব্যক্তিত্বকেই একমাত্র বড় করে দেখুন এমন কথা বলা হয়তো বেশি বাড়াবাড়ি বলে মনে হবে। এর সঙ্গে অবশ্যই ভাগ্যের কিছু স্পর্শকে অস্বীকার করা উচিত নয়।

হ্যাঁ, এর সঙ্গে চাই আরও একটা বস্তু। আর তা হলো মানসিক শক্তি। এই মানসিক শক্তিই একজন মানুষকে চালনা করে নিয়ে যায়। এটাই হলো যেকোন মানুষের চালনাশক্তি, গাড়ির জ্বালানী।

ব্যক্তিত্ব প্রকাশের সঙ্গে কি শিক্ষার সম্বন্ধ থাকে? এটা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক না হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে ঠিক। অথচ বিশ্বের নানা দেশের ইতিহাস পাঠ করলে দেখা যায় প্রকৃত পুঁথিগত শিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিত্ব পূরণে বাধা হয়নি।

ভারতবর্ষের ইতিহাসে মহান সম্রাটের কোন অভাব দেখা দেয়নি। মোগল সম্রাট আকবরের কথাই ধরুন। আকবর ছিলেন অক্ষর জ্ঞানহীন সম্রাট। অথচ ভারতবর্ষের ইতিহাসে তাঁর নাম বেশ উঁচুতেই।

সম্রাট আকবরের এই ক্ষমতা আর সুনাম কি কারণে? কারণ তাঁর প্রখর বাস্তব বুদ্ধি, চতুরতা আর অবশ্যই কিছুটা সহিষ্ণুতা। সব মিলে গড়ে উঠেছিল তাঁর ব্যক্তিত্ব। তা অতি বড় শত্রুও তাঁর সামনে ম্লান হয়ে পড়তেন।

ব্যক্তিত্ব আর সাফল্য অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত অনেকেই এমন কথা বলে থাকেন।

কথাটায় হয়তো কিছুটা সত্যতার প্রকাশ ঘটে। ব্যক্তিত্ব কথাটা কেবল অপর কাউকে জয় করাই বোঝায় না। ব্যক্তিত্ব এমন একটা শক্তি যার প্রকাশে মানুষ আপনা আপনিই বশ হয়ে যায়। শুধু সুইচ টিপলেই যেমন আলো জ্বলে উঠতে পারে তেমনভাবে ব্যক্তিত্ব আচমকা কারও মধ্যে এসে যায় না।

ব্যক্তিত্ব ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে, তার জন্য অনেক মেহনতও করা চাই।

পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে গিয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি মাথা ঘামাতে চায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে।

হ্যাঁ, প্রতিষ্ঠিত বলছি খেয়াল রাখবেন। সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।

প্রতিষ্ঠিত মানুষ আর সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষের মধ্যে অনেকটাই ফারাক। সকলের পক্ষে সুপ্রতিষ্ঠা লাভ আদপেই সম্ভবপর হয় না। যেমন সেনাধ্যক্ষ একজন, অথচ সেনা অনেক। সকলেই সেনাধ্যক্ষ হতে পারে না।

কিন্তু এমন হওয়ার কারণ কী?

এ প্রশ্নের জবাব গোড়াতেই দিতে চেয়েছি–ব্যক্তিত্ব। হ্যাঁ, সকল প্রতিষ্ঠিত মানুষের প্রধান হাতিয়ার হলো তার ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিত্বই সাফল্যের মূল কথা।

এ বইয়ে মানুষের ব্যক্তিত্বকে গড়ে তোলার কথাই তাই বলতে চাওয়া হয়েছে। ব্যক্তিত্ব অনায়াসলভ্য কখনই নয়। তাই এটা গড়ে তোলার কাজে চাই আত্মবিশ্লেষণ। সমস্ত ক্রটি, নানা অসুবিধা আর বাধা জয় করার মধ্য দিয়েই আসে প্রকৃত সাফল্য আর যে সাফল্য লাভ করে ব্যক্তিত্বই হয় তার প্রধান সহায়।

পৃথিবীতে এরকম অসংখ্য কৃতী, বিখ্যাত ব্যক্তি আছেন যাদের জীবনী আলোচনা করলেই একথার সত্যতা প্রকট হয়ে পড়বে।

তাই আসুন বৃথা সময় নষ্ট না করে বইটি পড়তে আরম্ভ করুন।

কে বলতে পারে আগামী ভবিষ্যতে আপনিও আপনার নিজের ক্ষেত্রে একজন প্রকৃত সফল ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে উঠবেন না। কারণ অনেকেই তাই হয়েছেন।

আমাদের পরিশ্রম তখনই সার্থক হবে সামান্যতম সহায়তাও যদি আপনার ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে করতে পারি।

তাহলে এবার আগ্রহী হয়ে থাকলে বইখানার পাতা উল্টে পড়ে ফেলুন আর তারপর দেখে নিন আপনি এ থেকে কতখানি সহায়তা পেতে পারেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *