রোগা গোলান্তের ছোটো নাইট ক্লাব।
ভেসপারকে ঢুকল বন্ড। শ্যাম্পেন খেতে খেতে গল্প চলল। নানা বিষয়–ম্যাথুস, লিটার, ল্য শিফের ভবিষ্যৎ–ইত্যাদি। জানা গেল, ওরা বডিগার্ড দুটোর ওপর নজর রাখছিল বটে। কিন্তু বন্ডের পেছনে চলে-আসা ছড়ি রিভলবারধারীকে লক্ষ করেনি আগেই। সে অবশ্য প্যারিসে ফোন করেছে। এম-এর লোককে খেলার ফলাফল জানিয়ে দিয়েছে।
ভেসপার লিন্ড যেন একটু নিস্পৃহভাবে কথা বলছিল। বন্ড একটু বিরক্ত হল। রেগে মেগে একটু বেশি শ্যাম্পেন খেয়ে আবার ডিমের অর্ডার দিল।
স্টুয়ার্ট ভেসপারকে একটা চিঠি দিয়ে গেল। সে চিঠিতে ম্যাথুস লিখেছে–তুমি সামনের হলে এস। বন্ডের জন্য খবর আছে। আমার ইভিনিং ড্রেস পরা হয়নি, তাই এখন আসতে পারছি না, বাড়ি যাচ্ছি।
বন্ড সিগারেট ধরিয়ে উঠে দাঁড়াল। মেজাজটা আরও বিগড়ে যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে শরীরও ক্লান্ত। শ্যাম্পেনের শেষ চুমুকটা তেতো লাগল। ভাবল-হঠাৎ এমন চিঠি কেন? এটা ম্যাথুসের কাজ বলে তো মনে হচ্ছে না। ইভিনিং-ড্রেসের ব্যাপারটা ছুতো বলে মনে হচ্ছে। সত্যি কি চিঠিটা ম্যাথুসের থেকে এসেছে? ঘর থেকে বেরিয়ে এল বন্ড।
তার আগে সামনের হলেতে গিয়ে দেখেছে–ভেসপার বা ম্যাথুসেব কোনো পাত্তা নেই।
রাস্তায় বেরিয়ে এল বন্ড। সঙ্গে সঙ্গে শুনতে পেল একটা অস্ফুট চিৎকার। গাড়ির দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দ। দুসেকেন্ড পবেই ওর সামনে দিয়ে হাই স্পিডে বেরিয়ে গেল একটা সিত্রো। গাড়ির ভেতরটা অন্ধকার। তাই বিশেষ কিছু দেখা না গেলেও বোঝা গেল, ভেতরে একটা লড়াই চলছে। কারণ পিছনের দিকের স্পিংটা ওঠানামা করছে। তীব্রবেগে টপ গিয়ারে গাডিটা রাস্তায় পৌঁছেই উধাও হয়ে গেল।
একটা কালো ব্যাগ কুড়িয়ে পেল বন্ড। এটা যে ভেসপারেব তাতে কোন সন্দেহ নেই। সিঁড়িব আলোর কাছে দৌড়ে এসে ব্যাগটা খুলল বন্ড। এক টুকবো কাগজে লেখা আছে যা ভেসপার লিন্ড বন্ডকে আগেই জানিয়েছিল–সামনের হলে একবার এস। খবর আছে, তোমার সঙ্গীর জন্য। রেনে ম্যাথুস।
Leave a Reply