মিনতি

তুমি কি এসেছ ফিরে? তুমিতো জানোই বহুদিন
ধরে আমি নীরেট বধির আর দু’চোখ আমার
জ্যোতিহীন। প্রত্যহ কে এক পাখির সুরের আড়ালে
বলে যায়, ধৈর্য ধরো, প্রতীক্ষা শিখতে হয় তাকে,
যে চায় প্রকৃত রূপ দেখে নিতে অন্তরের চোখে।
বৃশ্চিক দংশন করলে নড়বে না, বেনো জলে
বেবাক তৈজসপত্র ভেসে গেলে শান্ত থাকা চাই।
সবুরে জ্বলবে বাতি ছন্নছাড়া অন্ধকার ঘরে’।
কত আর ধৈর্য ধরি? পক্ষী-পর্যবেক্ষকের মতো
চেয়ে থাকি সর্বক্ষণ দৃষ্টিহীন। প্রতীক্ষার শেষে
আসবে তারার মতো শব্দস্রোত ভেবে কী নিশ্চুপ
বসে আছি; অজস্র বল্মীক এসে আমাকে নিশ্চিত
দেবে ঢেকে। যত শীঘ্র পারো ফিরে এসো এ নিবাসে,
আমার চোখের জ্যোতি আবার স্থাপন করো আজ।