সদ্যলেখা এই পদ্য

সদ্যলেখা এই পদ্য আমার পাবে না কল্কে কস্মিনকালেও
কবিতার নাক উঁচু সমঝদারের
কাছে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে
অধ্যাপনারত সাহিত্যের বুধমন্ডলী তামাশা
করবেন, কাটবেন টিপ্পনী বিস্তর
প্রসাধনবর্জিত পংক্তির খোলামেলা ভঙ্গি দেখে।
এ পদ্য হবে না ছাপা অভিজাত পত্রিকায়, রম্য
সাপ্তাহিকে। মাননীয় সম্পাদক বলবেন, ‘এতে
গোলাপ, চামেলী, জুঁই, মল্লিকার ঘ্রাণ
কোথায়? কোথায় মেঠো বংশীধ্বনি, নারীর চোখের
কুহক অথবা কিউবিক
বাহার? না, এই পদ্য, বুঝতেই পারছেন, সাহিত্য পত্রের যোগ্য নয়।

নিমেষে ফেরত আসে পাণ্ডুলিপি আমার মুঠোয়-
শব্দ্যাবলী ব্যাপক ছড়ায়
শ্রমিকের ঘেমো গন্ধ, পুষ্টিহীনতায়
জীর্ণ বালকের
চোখের ক্ষুধার্ত নিভু নিভু আলো আর জ্যোৎস্নাপ্লুত
ধর্মঘঢী মানুষের লাশের ওপর খুব ঝুঁকে-থাকা নারীর বিলাপ।

শব্দ্য বলে, ‘আমি পথ আর আমি সত্য ও জীবন।
সদ্যলেখা এই পদ্য আমার শহুরে
দেয়ালে দেয়ালে, গ্রাম্য হাটে পথে ঘাটে
পেলে ঠাঁই হৃদয় আমার হয়ে যাবে
রবীন্দ্রনাথের নৃত্যপর
ময়ূর এবং হেঁটে যাবো একা দিকে দিগন্তরে।