নবীন প্রভাত কনক-কিরণে নীরবে দাঁড়ায়ে গাছপালা — কাঁপে মৃদু মৃদু কী যেন আরামে , বায়ু বহে যায় সুধা-ঢালা । নীল আকাশেতে নারিকেল-তরু , ধীরে ধীরে তার পাতা নড়ে — প্রভাত আলোতে কুঁড়েঘরগুলি , জলে ঢেউগুলি ওঠে পড়ে । দুয়ারে বসিয়া তপনকিরণে ছেলেরা মিলিয়া করে খেলা , মনে হয় সবি কী যেন কাহিনী শুনেছিনু কোন্ ছেলেবেলা । প্রভাতে যেন রে ঘরের বাহিরে সে কালের পানে চেয়ে আছি , পুরাতন দিন হোথা হতে এসে উড়িয়ে বেড়ায় কাছাকাছি । ঘর-দ্বার সব মায়া-ছায়া-সম , কাহিনীতে গাঁথা খেলা-ধূলি — মধুর তপন , মধুর পবন , ছবির মতন কুঁড়েগুলি । কেহ বা দোলায় কেহ বা দোলে , গাছতলে মিলে করে মেলা , বাঁশি হাতে নিয়ে রাখাল বালক কেহ নাচে-গায় করে খেলা । এমনি যেন রে কেটে যায় দিন , কারো যেন কোনো কাজ নাই , অসম্ভব যেন সকলি সম্ভব — পেতেছে যেন রে যাহা চাই । কেবলি যেন রে প্রভাততপনে , প্রভাতপবনে প্রভাতস্বপনে বিরামে কাটায় , আরামে ঘুমায় গাছপালা বন , কুঁড়েগুলি । কাহিনীতে ঘেরা ছোটো গ্রামখানি , মায়াদেবীর মায়া-রাজধানী , পৃথিবী-বাহিরে কলপনা-তীরে করিছে যেন রে খেলা-ধূলি ।
Leave a Reply