এত ঋণ, এত ঋণ

এত ঋণ, এত ঋণ

ভোরের বাতাস কিছু চায়
হিরণ্য আঁচলখানি দিগন্তে ছড়িয়ে কিছু চায়
কী দেব তোমাকে?
টগর, মল্লিকা, জুঁই, বৃষ্টিতে গা ধুয়ে
চুল বাঁধে, টিপ পরে, আমি কাছে গিয়ে দাঁড়ালেই
কলস্বরে বলে ওঠে, শুধু নেবে, কিছু কি দেবে না?
দিতে হবে, কী দেব ওদের?

মাটিতে পায়ের ছাপ, কোনোদিন ক্ষমা চেয়েছি কি?
সকলেই স্বার্থপর দৈত্য, শুধু নিয়ে যাচ্ছি,
অনর্গল ভোগী
চুষে, ছিঁড়ে কামড়ে খেতে দ্বিধা নেই, দিই না কিছুই
দেশ দেশ বলে এত কান্না, এত গলা ফাটাফাটি
এত কবিতা ও গান
সব ভান! জননী না ছাই! তলপেট ছিন্নভিন্ন করে
দিতে দ্বিধা নেই।

ভোরের বাতাস কিছু চায়
নদীটির কুলুকুলু ধ্বনি কিছু চায়
ঘুম ভাঙা আকাশের বিমূর্ত কিরণ কিছু চায়
ভাঙা বাড়িটার পাশে নিঃসঙ্গ নয়নতারা, সেও কিছু চায়
চারিদিকে সুন্দরের অজস্র আসন পাতা, কাদা মাখা পায়ে
আমরা দৌড়োচ্ছি সব লণ্ডভণ্ড করে
এত ঋণ, এত ঋণ, চোখে এক বিন্দু অশ্রু নেই।