দু’-একবারই মাত্র

দু’-একবারই মাত্র

আজ আর ঘুম এল না, জেগে উঠে দেখলাম ঘুমকে
এ রকম হয়
মানস নদীর ধারে মাথায় চাঁদ জাগা সেই এক রাতে
আর কিছু দেখিনি, অন্ধকার রাত্রির শরীর দেখেছি
জীবনে দু’-একবারই মাত্র এ রকম দেখা হয় চকিতে
তেইশ বছর বয়সের সেই যে বুক ফাটা চোখ ভেজা
দুঃখ পাওয়া
যা নিয়ে লিখেছি কত না কবিতা
আজ তা বুঝতে পারি, অনেকটাই ছিল ভুল
মেয়েটি নয়, সেই প্রথম আমি দুঃখকে দেখেছি স্বচক্ষে
বরাইবুরুর কাছে একটি ঝর্নার ধারেকাছে কেউ ছিল না
ঝর্নাটি নিজেই সেখানে স্নান করছিল আপন মনে
যেমন একটা বই মাঝে মাঝে পাতা উল্টে নিজেকেই পড়ে
একটা থেমে থাকা গান নিজেকেই গানটা শোনায় কখনো
আগুন এক এক সময় মুগ্ধ হয়ে দেখে আগুনেরই রূপ
শুধু আজও তেমন করে দেখতে পেলাম না ভালোবাসাকে
সমস্ত শরীর ছাপিয়ে তার এক পাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা!