বকুল, বকুল, কথা বলো

বকুল, বকুল, কথা বলো

বকুল গাছের নীচে যার জন্য প্রতীক্ষায়, এক পায়ে দাঁড়ানো এতক্ষণ
সে এলো না
এ রকম প্রায়ই সে আসে না, তার না-আসা মানায়
বকুল গাছটি তো ছিল ব্যগ্র চোখে, ছুঁতে চেয়েছিল হাত
দেখা হলো না তাকেও।

এরকম হয়, নদী দেখতে যাওয়া হলো, নদী নেই
শুয়ে আছে নীল ইতিহাস
অড়হর খেত থেকে উঁকি মারলো শোলার টুপির নীচে
কার নগ্ন মুখ
অলীকও সে হতে পারে, অথবা নিছক এক খয়েরি শিকারি
কোথা থেকে উড়ে এলো চিঠির খসড়ার মতো, পরেও যা লেখা হয়নি
সে রকম পাতা
দুপুর তিনটে দশে ভাঙা ঘাটলার নীচে তীব্র শিস বেজে ওঠে
কেউ কি শুনেছে
পুরোনো প্রবাদ বলে, না শোনাই ভালো
তখন আকাশ ঠিক ততই দুরধিগম্য, যেন শ্বেতকেতুর সারল্য

মাঠ ঘাট, আল জাঙ্গাল, জঙ্গল পেরিয়ে ফের অসমাপ্ত
দিনে ফিরে আসা
বকুল, বকুল, কথা বলো!